জানুয়ারি ৩০, ২০২২ ১৪:১৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৩০ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ইসি নিয়োগ বিলের গেজেট প্রকাশ-প্রথম আলো
  • এক বছরে মেয়াদ বেড়েছে ৩৩৭ প্রকল্পের-ব্যয় ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধি শুভংকরের ফাঁকি-যুগান্তর
  • যে কারণে ভাইরাল শামীম পাটোয়ারী-মানবজমিন
  • লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার তদন্ত হবে: তথ্যমন্ত্রী-ইত্তেফাক
  • এক বছরে মেয়াদ বেড়েছে ৩৩৭ প্রকল্পের-ব্যয় ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধি শুভংকরের ফাঁকি -যুগান্তর
  • বুস্টার ডোজ পাবেন ৪০ বছর বয়সী সবাই-স্বাস্থ্যমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

ভারতের শিরোনাম:

  • জম্মু-কাশ্মীর: পুলিশের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে নিহত পাঁচ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • পশ্চিমবঙ্গে করোনার গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে-আজকাল 
  • পেগাসাস অস্বস্তিতে বিজেপি, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ‘সুপারি মিডিয়া’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী– সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১.শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’। এই খবরটি মূলত একটি বেকার ছেলের জীবনের কাহিনী। কি বলবেন আপনি?
২.ইয়েমেনের মারিব প্রদেশ থেকে ভাড়াটে সেনা প্রত্যাহার করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার তদন্ত হবে: তথ্যমন্ত্রী-ইত্তেফাক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ফাইল ফটো)

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, সেগুলো তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে।’

চট্টগ্রামের সিটিভি কেন্দ্র চত্বরে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যেভাবে চিঠি দিয়ে সাহায্য বন্ধের কথা বলেছে, সেটি দেশবিরোধী দেশদ্রোহী কাজ। তারা যে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, সেগুলো তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। খুঁজে বের করে অবৈধ অর্থ কোথা থেকে গেল, কীভাবে গেল, কারা দিল, সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। সুতরাং, এটা নিয়ে তদন্ত হবে, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থাও হবে।’

যে কারণে ভাইরাল শামীম পাটোয়ারী-মানবজমিন

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনে তার দেওয়া একটি বক্তব্য রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লাখ লাখ মানুষ তার বক্তব্য শুনছেন। বহু মানুষ তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, সংসদে বক্তব্য এমনই হওয়া উচিত। সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা কেন বাড়া উচিত সে ব্যাপারেও কথা বলছেন সাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ

বক্তব্যে কী বলেছেন ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী। মোটাদাগে তিনি কথা বলেছেন র‌্যাব এবং প্রতিষ্ঠানটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে।তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক ঐক্যমতের ওপর। শামীম পাটোয়ারী বলেন, আমরা এখন সংকটে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। যতই হম্বি-তম্বি করি না কেন, যতই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের তুলনা করি না কেন, গুমের সঙ্গে তুলনা করি না কেন? তথাকথিত লবিস্ট তত্ত্ব কিংবা পিআর নিয়ে আলোচনা করি না কেন এতে সমস্যার সমাধান আসবে না। সমস্যাটির সমাধান করার জন্য অবশ্যই আমাদের জাতীয় ঐকমত্য লাগবে। ভুলে গেলে হবে না, ভেনিজুয়েলা একটা সময় পৃথিবীর চতুর্থ বড় অর্থনীতির দেশ ছিল। তাদের মাথাপিছু আয় ছিল বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আজকে সেখানে ৯৭ ভাগ মানুষ দরিদ্র। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে।ব্যারিস্টার শামীম হায়দার বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যখন জেনেভাতে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল, তখন বিরোধী দলীয় নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীকে পাঠিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও। এজন্যই ভারত এখনো টিকে আছে। ১৯৬৫ সালে যখন (পাকিস্তানের সঙ্গে) যুদ্ধ হলো তখন যুক্তরাষ্ট্র বললো, যুদ্ধবিরতি না করলে খাদ্যশস্য দেবো না ভারতকে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তার জনগণকে বললেন, আমরা যদি সবাই সপ্তাহে একবেলা খাদ্য কম খাই, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা লাগবে না। তাদের সেই ঐক্যের ডাকে সবাই সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ঐকমত্যের ডাকে সবাই সাড়া দেবে না, এটাই রাজনৈতিক বাস্তবতা।

তিনি বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলবো এই বিশাল অত্যাসন্ন এবং অবশ্যম্ভাবী সংকটে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের কেউ কেউ আমার ব্যক্তিগত মতে অর্বাচীন ও বালখিল্যসুলভ আচরণ করছেন। লবিস্ট ও পিআর নিয়ে যা বলেছেন তা সত্যিই হাস্যকর। পিআর-লবিস্ট আলোচনা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।অবশ্যই আমরা এই ব্যাপারে প্রফেশনালিজম চাই। রাষ্ট্রীয় নির্বুদ্ধিতা, রাষ্ট্রীয় অহমিকা চাই না।

এক বছরে মেয়াদ বেড়েছে ৩৩৭ প্রকল্পের-ব্যয় ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধি শুভংকরের ফাঁকি-যুগান্তর

উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটাকে আপাতদৃষ্টিতে দূষণীয় মনে না হলেও প্রকারান্তরে খরচ বাড়ার যৌক্তিক অনেক বিষয় রয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধাও বহাল থাকে। অনেক সময় এসব ক্ষেত্রে প্রকল্পের এক খাতের টাকা কাটছাঁট করে অন্য খাতে জোগান দেওয়া হয়। এতে কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকে যায়। উপরন্তু যথাসময়ে প্রকল্পের সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় সরকার তথা দেশের জনসাধারণ।

২০২০-২১ অর্থবছরেই ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই মেয়াদ বেড়েছে ৩৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের। ৬ মাস থেকে সাড়ে ৩ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এছাড়া এর আগের অর্থবছরে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৮৪টি প্রকল্পে। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মেয়াদ বৃদ্ধির এসব তথ্য।

এ প্রসঙ্গে আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লা যুগান্তরকে বলেন, ‘ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধি কথাটিই একটি ভুয়া কথা। কেননা মেয়াদ বাড়লে অবশ্যই ব্যয় বাড়বে। কন্টিনজেন্সি খাতসহ বিভিন্ন খাতে মোটা অঙ্কের টাকা ধরা থাকে। বর্ধিত মেয়াদে এগুলো খেয়ে ফেলা হয়। এছাড়া সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় সেটি থেকে সুফল না আসার যে আর্থিক ক্ষতি, সেটি তো মূল্যায়ন করা হয় না। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির একটি বিষয় থাকে। শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সংশোধনী প্রস্তাব একনেকে অনুমোদনের জন্যই এমন কথা বলা হয়। যাতে কেউ আপত্তি না তোলে।’

প্রসঙ্গত, যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে সম্পৃক্ত থাকেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও বেতনভাতার জন্য ব্যয় করতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। সাধারণত একটি প্রকল্পে রাজস্ব ব্যয়ের মধ্যে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের বাইরেও থাকে প্রায় ১১ ধরনের ভাতা। এগুলো হলো বাড়ি ভাড়া ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, টিফিন ভাতা, যাতায়াত ভাতা, শিক্ষা ভাতা, মোবাইল/সেলফোন ভাতা, অন্যান্য ভাতা এবং ভ্রমণ ভাতা। সেই সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচের মধ্যে থাকে টেলিফোন বিল, গাড়ি পরিচালনা, ড্রাইভারের বেতন, গ্যাস ও জ্বালানি বিল, পেট্রোল-ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট বিল এবং অফিস ব্যয়সহ নানামুখী ব্যয়। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে এ ধরনের ব্যয় চলমান থাকে। কিন্তু প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবের সময় সেটি আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফা কে. মুজেরী শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য নয়। কেননা প্রকল্প তৈরির সময়ই ফ্যাট বা চর্বি হিসাবে কিছু বাড়তি অর্থ রাখা হয়।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

জম্মু-কাশ্মীর: পুলিশের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে নিহত পাঁচ-আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশের সঙ্গে পৃথক দুটি সংঘর্ষে জইশ-ই-মুহাম্মদের কমান্ডারসহ পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছে।  

পুলিশ বলছে, সংঘর্ষ দুটি হয়েছে পুলওয়ামা ও বুদগামে জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চালানোর সময়। এক টুইট বার্তায় এ অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ ঘোষণা করেছে পুলিশ। টুইটে কাশ্মীর পুলিশ লিখেছে, ‘গত ১২ ঘণ্টায় জোড়া সংঘর্ষে পাক মদতপুষ্ট পাঁচ জঙ্গি মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে জইশ-ই-মুহাম্মদের কমান্ডার জাহিদ ওয়ানি রয়েছে। এটা আমাদের কাছে বড় সাফল্য। ’ প্রসঙ্গত, লেতপুরা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জাহিদ ওয়ানি। ওই বিস্ফোরণে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়। ওই ঘটনার পর থেকে জাহিদকে খুঁজছিল ভারতের পুলিশ।

সংঘর্ষে নিহত জঙ্গির পাশ থেকে একটি রাইফেল উদ্ধার করার কথা বলেছে পুলিশ। কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান বলেছেন, মাসখানেকের মধ্যে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এটাই তাদের বড় সাফল্য। এর আগে গত ডিসেম্বরে কাশ্মীর উপত্যকায় দশটির বেশি সংঘর্ষে ২২ জন জঙ্গি নিহত হয়েছিল।

পেগাসাস অস্বস্তিতে বিজেপি, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ‘সুপারি মিডিয়া’ বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

পেগাসাস নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের (New York Times) নতুন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ফের অস্বস্তিতে কেন্দ্র। বিরোধীরা একযোগে সরকারকে কোণঠাঁসা করার চেষ্টা করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের সিনিয়র নেতামন্ত্রীরা সেভাবে মুখই খোলেননি। বিজেপির শীর্ষ নেতারাও এখনও এ নিয়ে নীরব। সব মিলিয়ে শাসক শিবিরের তরফে প্রতিক্রিয়া বলতে শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেজর জেনারেল ভি কে সিং (VK Singh) যে টুইট করেছেন, সেটিই। মেজর জেনারেল ভি কে সিংয়ের দাবি, নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বিশ্বাসযোগ্য নয়।

পেগাসাস ইস্যুতে অস্বস্তিতে মোদি

প্রসঙ্গত ওই মার্কিন সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ২০১৭ সালেই ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস (Pegasus) কিনেছিল ভারত। এরপরেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে ফের কেন্দ্রের সমালোচনায় নেমেছে। সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই নিয়ে বিরোধীরা ফের ঝড় তুলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগেও সরব বিরোধীরা। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ইজরায়েলের সঙ্গে ২০০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি সই করেছিল ভারত। সেই চুক্তির অন্যতম ছিল পেগাসাস। যদিও এখনও পর্যন্ত পেগাসাস কেনা নিয়ে ভারত বা ইজরায়েল কোনও দেশের সরকারই মুখ খোলেনি। প্রসঙ্গত ওই মার্কিন সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ২০১৭ সালেই ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস (Pegasus) কিনেছিল ভারত। এরপরেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে ফের কেন্দ্রের সমালোচনায় নেমেছে। সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই নিয়ে বিরোধীরা ফের ঝড় তুলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগেও সরব বিরোধীরা। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ইজরায়েলের সঙ্গে ২০০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি সই করেছিল ভারত। সেই চুক্তির অন্যতম ছিল পেগাসাস। যদিও এখনও পর্যন্ত পেগাসাস কেনা নিয়ে ভারত বা ইজরায়েল কোনও দেশের সরকারই মুখ খোলেনি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩০

ট্যাগ