মার্চ ০১, ২০২২ ১৯:০৯ Asia/Dhaka

শ্রোতা ভাই-বোন ও বন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আপনাদেরই চিঠিপত্রের আসর 'প্রিয়জন'। আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আজকের আসরে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি আমি নাসির মাহমুদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: প্রত্যেক আসরের মতো আজও অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি একটি বাণী শোনাতে চাই হযরত ইমাম জাফর সাদেক (আ.) বলেছেন, ‘যে ভূখণ্ডে তিনটি উপাদান নেই সেখানে জীবন উপভোগ্য নয়। এগুলো হচ্ছে: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হাওয়া, প্রচুর সুপেয় পানি এবং কৃষিযোগ্য উর্বর জমিন।’

আকতার জাহান: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণী শুনলাম। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।

ভারতের নয়াদিল্লির সিদ্ধার্থ এক্সটেনশন থেকে জয়ন্ত চক্রবর্তী পাঠিয়েছেন আসরের প্রথম মেইলটি। ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে সমস্ত ইরানি জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পর তিনি লিখেছেন, "এটা বিস্ময় ও প্রশংসার বিষয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির দীর্ঘ ৪৩ বছরের অবৈধ ও অনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের বীর ও গতিশীল জনগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন করতে অনেকাংশে সফল হয়েছে। বিশ্ববাসী ইরানের গবেষণার দক্ষতা এবং কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতার স্বীকৃতি দিয়েছে। ইরান আজ মহাকাশ ও ন্যানো প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, ওষুধ, কৃষি, প্রকৌশল এবং অন্যান্য হাই-টেক সেক্টরে তার অভূতপূর্ব অগ্রগতি গর্বিতভাবে প্রদর্শন করতে পেরেছে। ইরান কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও অনেকাংশে সফল হয়েছে। আমি ইরান এবং ইরানের পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান নাগরিকদের আগামী দিনগুলিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।"

নাসির মাহমুদ: ইরানের বিপ্লবী বার্ষিকী উপলক্ষে পরের মেইলটিও এসেছে ভারত থেকে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বারুইপাড়া থেকে এটি পাঠিয়েছেন এস এম নাজিমউদ্দিন। এগারো শ' শব্দের এ লেখায় তিনি ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস, প্রভাব, চেতনা ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। লিখেছেন, "গোটা বিশ্বে যুগ যুগ ধরে চলে আসা বর্ণবাদ, যায়নবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের মূলে কুঠারাঘাত হেনেছে এই বিপ্লব। তাই যায়নবাদী ইসরাইল-মার্কিন লবি আদাজল খেয়ে লেগেছে এই বিপ্লব ও বিপ্লবী চেতনাকে শুধু ইরান নয়, দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। আর এ কারণেই মার্কিন প্রশাসন স্বতন্ত্র বাজেট বরাদ্দের মতো কাজ করতেও দ্বিধা করেনি। দিনের পর দিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে কোণঠাসা আর দুর্বল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু তারা জানে না যে, আল্লাহর ইচ্ছা সকল মানুষের ইচ্ছার উপরেই কার্যকরী হয়ে থাকে এবং সকল প্রকার চক্রান্তের জবাবদানে আল্লাহই যথেষ্ট।"

আশরাফুর রহমান: ইরানের ৪৩তম বিপ্লববার্ষিকী উপলক্ষে চমৎকার লেখা দুটির জন্য জয়ন্ত চক্রবর্তী ও নাজিমউদ্দিন আপনাদের দুজনকেই অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিপ্লববার্ষিকী উপলক্ষে আমরা শ্রোতাদেরকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়েছিলাম। আর শ্রোতারাও আমাদেরকে ইমেইলে ও ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি তাদের কয়েকজনের নাম ঠিকানা জানিয়ে দিচ্ছি।

  • ভারতের আসামের বড়পেটা জেলার কান্দুলিয়া থেকে আবদুস সালাম সিদ্দিক
  • পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর থেকে দেশ মাতৃকা প্রসাদ রাই
  • একই রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার ইসলামপুর থেকে রাজিব দত্ত
  • বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার আটমুল থেকে এম শামসুল ইসলাম
  • এবং হরিদাস রায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থেকে।

আকতার জাহান: ইরানের ইসলামি বিপ্লবের বিজয়বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোয় আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে আমাদের কাছে দুটি লেখা পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সিনিয়র শ্রোতা। ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান তার প্রবন্ধের একাংশে লিখেছেন, "আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হিসেবে রেডিও তেহরান সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী দালাল মিডিয়াগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী একটি গণমাধ্যম। সত্য প্রকাশ ও প্রচারে অকুতোভয় ও আপোষহীন এবং এর একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠভাবে সকলের বক্তব্য তুলে ধরা।"

নাসির মাহমুদ: একই বিষয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের শ্রোতা বিধান চন্দ্র সান্যাল বেতারের গুরুত্ব সম্পর্কে লিখেছেন, "আমাদের সুখে-দুঃখে হতাশায় একমাত্র বেতারই সান্ত্বনার প্রলেপ দিতে পারে। বেতার সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে অভিজ্ঞতাজাত ফসল থেকে আমরা অনেক হিত কথা জানতে পারি। সুখে-দুঃখে, মিলনে-বিরহে, আনন্দে-নিরানন্দে বেতার আমাদের সাথী, আমাদের বন্ধু।"

আশরাফুর রহমান: বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে প্রবন্ধ দুটির জন্য জিল্লুর রহমান ও বিধান চন্দ্র সান্যাল আপনাদেরকে অংসখ্য ধন্যবাদ। একই দিবস উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের বেশকিছু শ্রোতাবন্ধু ইমেইল ও ফেসবুকে আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি তাদের পরিচয় তুলে ধরছি।

  • ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট থেকে মোঃ আনারুল ইসলাম
  • বর্ধমান জেলার চুপী থেকে হাফিজুর রহমান
  • ছত্তিশগড়ের ভিলাই থেকে আনন্দমোহন বাইন

আকতার জাহান: বাংলাদেশ থেকে যারা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন তারা হলেন-

  • শাওন হোসাইন রাজবাড়ী জেলার খোশবাড়ী থেকে
  • বগুড়ার চাঁদনী বাজার থেকে মোঃ সাইফুল ইসলাম
  • নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ফেটগ্রাম থেকে সুলতান মাহমুদ সরকার
  • একই জেলার সান্তাহার থেকে খোন্দকার রফিকুল ইসলাম
  • ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে নজরুল ইসলাম
  • ঠাকুরগাঁওয়ের মোহাম্মদপুর থেকে শ্রী বৃত্তি রায়
  • কুষ্টিয়ার খাদিমপুর বাজার থেকে মোখলেছুর রহমান
  • এবং গোপালগঞ্জের জলিরপাড় থেকে বিধান চন্দ্র টিকাদার

নাসির মাহমুদ: বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোয় আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে রয়েছে এক শ্রোতাবন্ধুর সাক্ষাৎকার। টেলিফোনের অপর প্রান্তে যিনি অপেক্ষা করছেন প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।

 

নাসির মাহমুদ: ভারতের আসামের বড়পেটা জেলার কান্দুলিয়া থেকে আবদুস সালাম সিদ্দিক পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রচারিত প্রিয়জন অনুষ্ঠানটির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ২০২১ সালের বার্ষিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা শিরোপা অর্জনকারী দুই বাংলার দুই প্রিয় শ্রোতা- বাংলাদেশের গুরুদয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভাই শাহাদত হোসেন ও পশ্চিম বাংলার শ্রোতা বিধান চন্দ্র সান্যাল দা'র অসাধারণ অনুভূতি ও আবেগমাখা লেখনি। সেইসাথে দীর্ঘ দিনের পুরাতন শ্রোতা কিন্তু এই প্রথম পত্রলেখক আব্দুস সেলিম ভাইয়ের অসাধারণ অভিব্যক্তি সত্যি সবার মন কেড়েছে। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাবোন ডা. সাহানা হাসানের সাক্ষাৎকারটি ছিল অতি চমৎকার ও আকর্ষণীয়। আমি আশা করব রেডিও তেহরান আরো অধিক মহিলা শ্রোতার সাক্ষাৎকার প্রচারে সচেষ্ট হবেন।"

আশরাফুর রহমান: প্রিয়জন অনুষ্ঠান সম্পর্কে অভিমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, মহিলা শ্রোতারা বেশি বেশি সাক্ষাৎকার দেবেন- আমাদের প্রত্যাশাও এটাই।

আসরের পরের মেইলটি পাঠিয়েছেন হারুন অর রশীদ। এ শ্রোতাবন্ধুর ঠিকানা হচ্ছে- গ্রাম-পূর্ব নলছিয়া, উপজেলা- মাদারগঞ্জ, জেলা: জামালপুর, বাংলাদেশ।

রেডিও তেহরানের রংধনু আসর সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, "ন্যায়, নীতি, আদর্শ ও বিচক্ষণতার অনুপম দৃষ্টান্ত 'রংধনু আসর'। এতে তিন মুসাফিরের আট রুটি খাওয়া ও দুই মুসাফিরকে আট দেরহাম পুরস্কারের ভাগ বণ্টন নিয়ে আমিরুল মুমেনীন হযরত আলী (আ.)-এর উচ্চতর হিসাবের ফলাফল আমাকে বিস্মিত করেছে। 'রংধনু আসর' দ্যূতি ছড়াক সমগ্র বিশ্ব পরিমণ্ডলে। নৈতিকতা ফিরে আসুক মানুষের চরিত্রে এই কামনায় আজ ইতি টানছি।"

আকতার জাহান: শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠান রংধনু আসর সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন ও প্রত্যাশার কথা জেনে ভালো লাগল। ইমেইলের জন্য হারুন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ঢাকার সাভারের নামা গেন্ডা থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি। লিখেছেন, "আমি একজন বেতার শ্রোতা তবে বাংলাদেশ বেতার অনুষ্ঠানই শুধু শুনি। আমার সহকর্মী গোপালগঞ্জের বিধান চন্দ্র টিকাদার তিনি আজ জানালেন যে, রেডিও তেহরান থেকে প্রতিদিন সুন্দর বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়। তিনি রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান মোবাইলের মাধ্যমে শোনার কৌশল দেখিয়ে দিলেন। নিয়মিত রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানের সাথে থাকব বলে আশা রাখি।"

নাসির মাহমুদ: ভাই হাবিবুর রহমান, নিয়মিত অনুষ্ঠান শোনার পাশাপাশি মতামতও জানাবেন আশা করি। আর আপনাকে রেডিও তেহরানের সন্ধান দেওয়ায় বিধান চন্দ্র টিকাদারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আজকের আসরের শেষ মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী জেলার শাপলা শর্টওয়েভ লিসেনার্স ক্লাব থেকে আর পাঠিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস।

তিনি রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের ৪০তম বার্ষিকীর শুভলগ্ন থেকেই ইরানি কবি-সাহিত্যিকের সংক্ষিপ্ত জীবন ও সাহিত্য কর্ম নিয়ে একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। সেইসাথে আজকের আসরে ইরানি কবি কলিম কাশানি'র সংক্ষিপ্ত জীবন ও সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে আলোকপাত করার অনুরোধ করেছেন। 

আশরাফুর রহমান: ভাই আব্দুল কুদ্দুস, ইরানের কবি-সাহিত্যিকসহ বিশিষ্ট মনীষীদের জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান আমরা ইতোপূর্বে প্রচার করেছি 'পারস্যের প্রতিভা বিশ্বের গর্ব' নামে। আশা করি ওয়েবসাইটে দেখে নেবেন। আর কবি কলিম কাশানি'র জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য আজকের আসরে তুলে ধরছি।

আকতার জাহান: হিজরি দশম ও একাদশ শতকের প্রখ্যাত ইরানি কবি আবু তালিব কলিম কাশানি ফার্সি কবিতায় ভারতীয় স্টাইল প্রয়োগে সফল শীর্ষস্থানীয় কবিদের অন্যতম। ইরানি সম্রাট শাহ-আব্বাসের সমসাময়িক যুগের খ্যাতিমান ফার্সি কবি হিসেবে তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। মোগল সম্রাট শাহজানের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন এই ইরানি কবি। তার কবিতা এই সম্রাটের কাছে খুবই ভালো লাগায় তিনি তাকে 'মালেক-উশ শোয়ারা' উপাধি দিয়েছিলেন। 

কবি আবুতালিব কলিম কাশানির সাহিত্য-কর্মের মধ্যে রয়েছে মাসনাভি বা দ্বিপদী কবিতা, কাসিদা, গজল ও আরও নানা আঙ্গিকের কবিতা। ১০৬১ হিজরিতে কবি কলিম কাশানি কাশ্মির অঞ্চলে ইন্তেকাল করেন। তার সমাধি রয়েছে শ্রীনগরে।

নাসির মাহমুদ: শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আপনাদের জন্য রয়েছে 'ভালোবাসা আল্লাহর জন্য' শিরোনামের একটি গান। তিন ভাষার এ গানটির কথা, সুর ইকবাল হোসেন জীবনের। আর গেয়েছেন গীতিকার নিজেই।  

আশরাফুর রহমান:  তো শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদাই নিচ্ছি প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে।#  

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ