এপ্রিল ১০, ২০২২ ১৬:৪১ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ।আজ ১০ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট সোমবার, প্রার্থী শাহবাজ-কালের কণ্ঠ 
  • মধ্যরাতের নাটক শেষে পতন, ইসলামাবাদ ছাড়লেন ইমরান-মানবজমিন
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা কেন মেয়াদ শেষ করতে পারেননি-প্রথম আলো
  • কৃত্তিম সংকট, ফের বাড়ছে দাম-যুগান্তর
  • ফুটপাতে মাসে কোটি টাকার চাঁদা আদায়, চলে মাদক ব্যবসাও–ইত্তেফাক
  • গৃহহীনদের জন্য ৪০০টি গৃহ নির্মাণ করেছে পুলিশ : আইজিপি-বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ‘অন্যের দোষ না ধরে নিজেদের ভুলগুলো শুধরোক ওরা’, মমতার সুরেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন মায়াবতী-সংবাদ প্রতিদিন
  • ক্ষমতাচ্যুত ইমরান, ভারত সহ বাকি পড়শি দেশের সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে?-আজকাল
  • পাক রাজনীতির ধারা বজায় রেখে মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না ইমরানও, তবে গড়লেন অনাস্থা-নজিরআনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. পরীক্ষার হল থেকে ছাত্রলীগ নেতার লাইভ, সমালোচনার মুখে কমিটি বিলুপ্ত। এ খবর দিয়েছে দৈনিক মানবজমিন। কী বলবেন আপনি?

২. অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খান। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

পাকিস্তান প্রসঙ্গ: মধ্যরাতের নাটক শেষে পতন, ইসলামাবাদ ছাড়লেন ইমরান-মানবজমিন

ইমরান খান

দিনভর হাই ড্রামা। মধ্য রাতে তাতে যবনিকাপাত হলো। ড্রামা বা নাটকের শেষ অংক মঞ্চায়ন হলো। আর রচিত হলো পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস।পার্লামেন্টে নাটকের শেষ অংকের যবনিকাপাত হলো শনিবার দিবাগত মধ্যরাতের পরে। দেশটিকে প্রথম ক্রিকেটে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনে দেয়া ক্যাপ্টেন ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি হেলিকপ্টারে করে ইসলামাবাদ ত্যাগ করেছেন। ক্রিকেটের মাঠে অসম্ভব নৈপুন্য দেখালেও রাজনীতিতে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি হলেন অনাস্থা প্রস্তাবে প্রথম ক্ষমতা হারানো পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে পেরে বিরোধী শিবিরে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। শোকে মুর্ছমান হয়ে পড়ছেন ইমরানভক্তরা। শনিবার দিনভর, মধ্যরাত পর্যন্ত নানা নাটকীয়তার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ভোটে পাস হয়েছে। এর ফলে অনানুষ্ঠানিক বা কোনো আয়োজন ছাড়াই বিদায় নিতে হচ্ছে ইমরান খানকে। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় রাত এক টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা) এই প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এমপি। পাস হতে প্রয়োজন হয় ১৭২ টি ভোট। কিনতু তার চেয়ে দুটি ভোট বেশি হওয়ায় প্রস্তাব পাস হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্পিকারের আসনে নতুন আসা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা আয়াজ সাদিক।

ইমরান যুগের অবসান, শাহবাজ হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী!-মানবজমিন

শাহবাজ শরিফ

ইমরান খানকে সরানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা বললো- যুগান্তরের এ খবরে লেখা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে সরানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই বলে দাবি করেছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে। খবর দ্যা ডনের। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া শেষ ভাষণেও ইমরান খান বলেছেন, আমার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ‘বিদেশি শক্তি’ বিরোধী দলকে অর্থ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা আনার ষড়যন্ত্র করেছে। জাতির উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার রাতে দেওয়া ভাষণে তিনি আবারও এ ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর হিসেবে এক মার্কিন কূটনীতিকের নাম পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

পৃথক এক ভাষণে ইমরান খান ওই মার্কিন কূটনীতিকের নাম ধরে সমালোচনা করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সচিব ডোনাল্ড লুকে তিনি মূলহোতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানকে ডেকে ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের শাসক পরিবর্তনের হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান। ইমরান খানের এ অভিযোগের পর শুক্রবার রাতেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র জালিনা পোর্টার বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও অসত্য। জালিনা পোর্টার আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানের সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। দেশটির সাংবিধানিক সব ধরনের পদক্ষেপকেই আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমরা জড়িত নই।

ইমরান খানকে সরাতে কলকাঠি নেড়েছেন যারা- এ শিরোনামের খবরে একই দৈনিকে লেখা হয়েছে, রাতভর নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে (পার্লামেন্ট) অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। স্পিকারের পদত্যাগের পর তার ভাগ্য নির্ধারণী ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার রাত ২টার দিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এন) সদস্য আয়াজ সাদিকের পরিচালনায় অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৩৪২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৭৪ জন ভোট দেন। যদিও বিরোধীদের ১৭২ জনের সমর্থন দরকার ছিল।

বিরোধী জোটের সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, জাতীয় সরকারের মতো নতুন ফেডারেল সরকার গঠন করা হবে। এতে আনুপাতিক হারে শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এর মেয়াদ ছয় মাস অথবা এক বছর রাখার বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনায় রয়েছে। এই মেয়াদের মধ্যে নির্বাচনি সংস্কার ও জবাবদিহি–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আইনগুলো পাস হতে পারে। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে। 

অনাস্থা ভোট যেন না হয়, সেজন্য অধিবেশন দীর্ঘায়িত করতে সরকারের পরিকল্পনার পালটা কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফের চেম্বারে পরামর্শক বৈঠক করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। অধিবেশনের বিরতির সময় বৈঠক করেন তারা। 

ইমরান খানের প্রতি এই অনাস্থা ভোটের আয়োজনে কাদের ভূমিকা রয়েছে সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা। মূলত ইমরানকে হটাতে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো এক হয়েছিল। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে একটি শক্তিশালী জোটও গঠন করেছিল তারা।  

২০১৯ সালে ইমরান খান সরকারের পতন পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দেশজুড়ে লংমার্চ করেছিলেন পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান। সেসময় মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ প্রায় সব বিরোধী দলই মাওলানার আহ্বানে আজাদি মার্চে সরাসরি অংশ নিয়েছিল। মূলত তখন থেকেই রাজপথে প্রকাশ্যে ইমরান খান বিরোধী তৎপরতা নজরে আসে। 

এছাড়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন-র (পিএমএল-এন) বর্তমান প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ, মাওলানা ফজলুর রহমান ও  বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির যৌথ প্রচেষ্টাতেই ইমরান সরকারের পতন হয়েছে।  

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গ:

এবার পোল্যান্ডের ৪৫ কূটনীতিক বহিষ্কার করল রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনকে ড্রোন দিতে বাইডেনকে আহ্বান জানাল মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

জনসন-জেলেনস্কি

ভারতের সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় লেখা হয়েছে, দেখতে দেখতে দেড় মাস পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। যুদ্ধের শুরুতে ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলি কিংবা আমেরিকা, পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে (President Zelenskyy)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই সেনা পাঠায়নি। এই পরিস্থিতিতে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাজির হলেন সেদেশে। যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের পথে তাঁকে হাঁটতে দেখা গেল জেলেনস্কির সঙ্গে। জেলেনস্কির সঙ্গে বরিসের সাক্ষাতের পরে ব্রিটেনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ”প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপের কারণেই ইউক্রেনীয়রা পুতিনের শয়তানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।” পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, বরিস জনসন ১২০টি সাঁজোয়া গাঁড়ি ও নতুন ধরনের জাহাজ-ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও ব্রিটেন অস্ত্র সাহায্য করেছে কিয়েভকে। জনসন ইউক্রেনকে অর্থসাহায্য়ের আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

ফুটপাতে মাসে কোটি টাকার চাঁদা আদায়, চলে মাদক ব্যবসাও-ইত্তেফাক

রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিকের সামনের সড়কের বিপরীতে তিনতলা একটি ভবন ভাড়া নিয়ে চলছে ‘মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’, হোটেল ‘সী আলিফ’ ও ‘তাজমহল’-এর ব্যবসা। ভবনটির প্রবেশ পথের ডান পাশের ফুটপাত দখল করে চা-সিগারেটের ব্যবসা করছেন এক যুবক। নাম রাসেল। তার ঐ দোকানটি দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। নিজের পেছনের তিনতলা ঐ ভবনটির মালিক রাসেলই। তবুও তিনি ফুটপাত দখল করে চায়ের স্টল দিয়ে বসেছেন। এই চিত্র পুরো নগরীর। গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়কের ফুটপাত এমনকি সড়কও অবৈধভাবে দখলে চলে গেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ফুটপাতে মাসে কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছে এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক একটি প্রভাবশালী চক্র। এছাড়া ফুটপাতে কৌশলে চলে মাদক ব্যবসাও।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফুটপাত ও সড়ক অবৈধভাবে দখল করে অনেকে ব্যবসা করছেন। কেউ দখল করে ভাড়ায় খাটাচ্ছেন। এসব স্থানে চা-সিগারেট, মুদি, কাপড় কিংবা অন্য দোকানের আড়ালে অনেকে করছেন মাদক কারবারও। পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কৌশলে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও ফেনসিডিল প্রভৃতি মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। এই চিত্র মহানগরের সাহেব বাজার, গণকপাড়া, শিরোইল বাসটার্মিনাল, ভদ্রা, কোর্ট স্টেশন, তালাইমারী, বিনোদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ফুটপাত ও সড়কের। এসব দখলদারদের কারণে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের হাঁটার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সড়কের একাংশ দখল করে রাখা হয় কার-মাইক্রোবাস। পথচারীরা বাধ্য হয়ে চলেন সড়কের মাঝখান দিয়ে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ক্ষমতাচ্যুত ইমরান, ভারত সহ বাকি পড়শি দেশের সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে?-আজকাল

নাটকীয় বিদায় ইমরান খানের

মধ্যরাতে নাটকীয় বিদায়!‌ অনাস্থা ভোটে হার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন ইমরান খান। যদিও তার আগে চেষ্টা কম করেননি।মনে করা হচ্ছে, বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফই হতে চলেছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। এবার প্রশ্ন উঠছে নতুন প্রধানমন্ত্রী আমলে কেমন হবে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো এবং আমেরিকার সম্পর্ক। কারণ এখন এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে উপমহাদেশের পরিস্থিতি।
পাকিস্তানে পশ্চিমে আফগানিস্তান। উত্তর–পূর্বে চীন। পূর্বে ভারত। সেদেশে বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা নীতি মূলত নির্ধারণ করে পাকিস্তান সেনা। কিন্তু ইমরানের আমলে তার ব্যতিক্রম ঘটতে শুরু করেছিল। ইমরানের আলটপকা মন্তব্য সে দেশের সঙ্গে আমেরিকার দূরত্ব বাড়িয়েছিল। বরং ইমরান অনেক বেশি আগ্রহী ছিলেন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ায়।
 

‘অন্যের দোষ না ধরে নিজেদের ভুলগুলো শুধরোক ওরা’, মমতার সুরেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন মায়াবতী-সংবাদ প্রতিদিন
“জোট করুন। আপনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সাড়াই দেননি বহেনজি। কেন? সিবিআই… ইডি… পেগাসাস…” সদ্যসমাপ্ত উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে (UP election 2022) কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন মায়াবতী (Mayawati)। নিজেদের মতো করে তার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন অনেকে। শনিবার বর্ষীয়ান নেত্রীর নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে তাঁকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপরই তাঁকে পালটা আক্রমণ করতে দেখা গেল মায়াবতীকে। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন। সেই সুরই বিএসপি নেত্রীর গলাতেও।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।