কথাবার্তা
হতাশায় চাকরি খোঁজা ছেড়েছেন ৪৫ কোটি ভারতীয়!
-
পত্রপত্রিকার পাতার খবর
শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ।আজ ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম
- নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: অস্ত্রধারী ১০ জনের একজনও গ্রেফতার হয়নি -যুগান্তর
- সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছালো ৮৮ বার –ইত্তেফাক
- পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকিকে ছোট করে দেখা যাবে না, বিশ্বকে সাবধান করলো রাশিয়া -মানবজমিন
- আর যাব না তেঁতুলতলা মাঠে-প্রথম আলো
- আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বললে তা হাস্যকর মনে হয়-মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- দেশে বাড়তে পারে সংক্রমণ, ৬ দফা সুপারিশ-কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- কাজ না পাওয়ার হতাশায় চাকরি খোঁজা ছেড়েছেন ৪৫ কোটি ভারতীয়, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট-সংবাদ প্রতিদিন
- মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ! কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ ২ শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে বাংলায় -আজকাল
- হাঁসখালি: ‘ধর্ষকের’ বাবা, তৃণমূল নেতা সমরেন্দুকে গ্রেফতার করল সিবিআই-আনন্দবাজার পত্রিকা
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে প্রচণ্ড নির্যাতনের পর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ ও মুক্তিপণ দাবি করেছে ছাত্রলীগের সদস্যরা। দৈনিক মানব জমিনসহ বেশি কয়েকটি পত্রিকা এই খবর দিয়েছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
২. আন্তর্জাতিক আইনে আল-আকসা মসজিদকে সুরক্ষা দিতে হবে-এই দাবি করেছে ইরান। এ বক্তব্যকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:
নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: অস্ত্রধারী ১০ জনের একজনও গ্রেফতার হয়নি-যুগান্তর

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও দোকানীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো ১০ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৫ জন কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও সংঘর্ষের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে সংঘাতের ঘটনার ছয় দিন অতিবাহিত হলেও ১০ জনের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
১৯ এপ্রিলের ওই সংঘর্ষের সময় নাহিদের পাশাপাশি পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় দোকানকর্মী মোহাম্মদ মোরসালিনকে। তার খুনিদের বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি সূত্র বলছে, মোরসালিন হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, সে বিষয়ে জানতে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
মোরসালিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত করা আহ্বায়ক কমিটির এক নেতার অনুসারীরা জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণের পাশাপাশি নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী সূত্র বলছে, সংঘর্ষের সময় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির চার নেতার অনুসারীরা বেশি বেপরোয়া ছিলেন। তাদের অনেকে হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র এবং রড–পাইপ হাতে ভাঙচুর–সহিংসতায় অংশ নেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
-নানা চুক্তির প্রস্তাব খড়গ নাকি, সম্ভাবনা-প্রথম আলো
টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোতে প্রকাশিত তার মতামত কলামে লিখেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পতনের পর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে চীনের ব্যাপক উত্থান বেশি দিন টিকবে কি না, এই প্রশ্ন এখন বেশ আলোচিত। ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে শ্রীলঙ্কা নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান আগে থেকেই বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত ছিল, অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকট ও দুর্বল জোট সরকারের ক্ষমতারোহন দেশটিতে মার্কিন প্রভাব বাড়াবে। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে উদ্ধারে চীন এগিয়ে আসেনি বলে দেশ দুটির ভরসা এখন আইএমএফ ঋণ ও ঋণনির্ভর সংস্কার পরিকল্পনা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশে তার স্বার্থ বিস্তারের লাল সংকেত দিয়ে রেখেছে। ভারত আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানতম কৌশলগত মিত্র। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্টভাবেই প্রভাব কায়েমে মাঠে নেমেছে।
মার্চের শেষ দিকে পাকিস্তানের পরিশোধ করা মোট চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ রি-ইস্যু করার প্রতিশ্রুতি চীন এখনো রাখেনি। ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট সাপোর্টের জন্য শ্রীলঙ্কার আবেদনেও দ্বিধাগ্রস্ত চীন সাড়া দেয়নি। বেইজিং ঋণগ্রস্ত দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে। এতে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ‘ঋণের ফাঁদ’ ফেলে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজের ওপর নির্ভরশীল করা এবং অর্থনৈতিক বিপদের সময় অনুদার ও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র যাকে সামরিক বন্ধু বানিয়েছে, তার নির্মম পরিণতি বিশ্ব দেখেছে। সাদ্দাম থেকে গাদ্দাফি, তালেবান থেকে পাকিস্তান—সবখানেই যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সামরিক বন্ধুত্বের প্যাকেজে ঢুকে প্রত্যক্ষ–পরোক্ষ মদদে কার্যত দেশ ধ্বংস করে ছেড়েছে। ইউরোপ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্থায়ী মিত্র নেই। চীন যেমন অর্থনৈতিক বিপদের সময় অবিশ্বস্ত প্রমাণিত, যুক্তরাষ্ট্রও তেমনি সামরিক দিক থেকে প্রতারক। নিজেদের সামরিক জ্বালানি ও অর্থনৈতিক আধিপত্য ছাড়া তারা কিছুই বোঝে না। অন্যদিকে ভারত ও রাশিয়ার বিষয়ে সত্য হচ্ছে তারা অনুদার ও কৃপণ মিত্র।
মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বৈধতার সংকটে থাকা সরকারকে যাতে আরেকটি নির্বাচনী বৈতরণি পারের সুযোগ কেউ না দেয়, সেটাই জনগণের প্রত্যাশা। আন্তর্জাতিক বৈধতার সংকট কাটাতে সরকার যাতে দেশের ভবিষ্যৎ স্বার্থ বিসর্জন না দেয়, সেটাও জনগণের দেখার বিষয়। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক দক্ষ, যোগ্য ও সৎ সরকারই শুধু দেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বকে অর্থনৈতিক সুযোগ ও সম্ভাবনার দর-কষাকষিতে পরিণত করতে সক্ষমতা দেখাতে পারে।
আর যাব না তেঁতুলতলা মাঠে-প্রথম আলো

তেঁতুলতলা মাঠটা আমি চিনি। এমন কোনো মনকাড়া মাঠ নয়। ঘাসহীন ন্যাড়া এই একচিলতে খোলা জায়গাকে অনেকে মাঠ বলতে আপত্তিও করতে পারেন। আশপাশে আবাসিক ভবন, মাঠের কোনার দিকের উল্টো পাশে মসজিদ, মাঠের এক কোনায় একটা পানির পাম্পের মতোও আছে। পাশ দিয়ে চলে গেছে মহল্লার সরু রাস্তা।
ঠিক মাঠের মতো না হলেও ওটা মাঠই। এলাকার শিশু, কিশোর, তরুণ, এমনকি বয়স্কদেরও নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা। আমি দেখেছি এ মাঠে বাচ্চারা সাইকেল চালানো শেখে। ছোট গোলপোস্টে ফুটবল খেলা হয়। চক পাউডারে পপিং ক্রিজ এঁকে হয় ক্রিকেট। শীতকালে হয় ব্যাডমিন্টন খেলা। ঈদে হয় নামাজ।
এলাকার কিশোর-তরুণ বয়সীরা এখানে মাঝেমধ্যে ক্রিকেট, ফুটবলের টুর্নামেন্ট ছাড়ে। অনেক সময় খেলা হয় রাতে, নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা করা ‘ফ্লাডলাইট’ জ্বালিয়ে। তখন কলাবাগানের এই পাড়ায় উৎসবের আবহ ভর করে।

মাঠের পাশে চেয়ার পেতে বসে, দাঁড়িয়ে মা-বোনেরা খেলা দেখেন। মসজিদ থেকে বের হয়ে মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে পড়েন খেলা দেখতে। আমি নিজেও অনেকবার এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলের গতি কমিয়েছি, হেঁটে গেলে দাঁড়িয়ে পড়েছি। বাচ্চাদের খেলা দেখেছি। মনের আনন্দে খেলা বলতে যা বোঝায়, সে খেলাটাই হয় কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে। ঠিক যেমন আমরা ছোটবেলায় খেলতাম।
তেঁতুলতলা মাঠে থানা বানানো নিয়ে যা যা হচ্ছে, তা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয়, এ দেশে ছোটদের কথা ভাবার লোক তেমন নেই। বিশেষ করে যাঁরা ভাবলে ছোটদের উপকার হয়, তাঁরা ভাবেন না। আমার-আপনার মতো আমজনতা এসব নিয়ে শুধু ভাবতেই পারি, ছবি তুলে ফেসবুকে দিতে পারি, কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারি না যে তেঁতুলতলা মাঠে খেলাই হবে, থানা হবে না।
যাঁরা সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারেন, তাঁরা সমস্যার শুরু থেকে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। ঘটনা ঘটতে ঘটতে একজন প্রতিবাদী মা আটক হয়ে যান, তাঁর হাফপ্যান্ট-পরা কিশোর ছেলে গারদে ঢুকে যায়, তবু ওনারা ঘটনা পর্যবেক্ষণই করতে থাকেন।
এরপর দেখেন ফেসবুকের সেন্টিমেন্ট, এ নিয়ে আর কে কী বলল। এভাবে চূড়ান্ত জল ঘোলা হওয়ার পর তাঁরা নড়েচড়ে বসে একটা কিছু করেন, যেটা আসলে যতটা শিশু-কিশোরদের কথা ভেবে, তার চেয়ে বেশি বেগতিক পরিস্থিতি সামলাতে। তেঁতুলতলায় অবশ্য এখনো সে ‘সুবাতাস’ও বয়নি।
অথচ তেঁতুলতলা মাঠ থেকে যাঁরা খেলা উৎখাত করতে চাইছেন, তাঁদের ঊর্ধ্বতন মহলের অনেকেই এখন ক্রীড়াজগতেরও লোক। তাঁরা ক্রীড়া ফেডারেশন চালান, খেলার ক্লাব চালান, ক্রিকেট লিগে দল গড়েন। সেই তাঁদেরই লোকজন যখন মাঠে থানা বানাতে ইট-বালু-সিমেন্ট নিয়ে হাজির হন, অবাক হই, তাঁরা কীভাবে দেখেও না দেখে থাকেন!
আমি তাই ঠিক করেছি তেঁতুলতলা মাঠের দিকে আর যাব না। শেষ পর্যন্ত যদি সেটি আর খেলারই জায়গা না থাকে, গিয়ে কী করব! হয়তো দেখব, নবনির্মিত থানার বারান্দায় হাতকড়া পরে বসে আছে বখে যাওয়া কোনো তরুণ; শৈশব-কৈশোরে যে মনের আনন্দে খেলত তেঁতুলতলা মাঠে।
মাঠটি রক্ষা পেলে সব ভুলে যাব-একথা বলেছেন সৈয়দা রত্না। কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নেমে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটক ছিলেন তিনি ও তাঁর কিশোর ছেলে।
বিচারবহির্ভূত সব হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত এবং রিপোর্ট দেখার অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র-মানবজমিন
নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকার পর ফের র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহতের ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার যেসব অভিযোগ উঠেছে তার স্বচ্ছ তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র সোমবার রাতে এমনটাই জানিয়েছেন।
গত ১৭ এপ্রিল কুমিল্লায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু এবং দু'দিন পর (২০শে এপ্রিল) মানিকগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কাউসার র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, বিচারবহির্ভূত সব হত্যার অভিযোগ তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব মেকানিজম রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে সম্যক অবহিত। অভিযোগগুলোর বিষয়ে মার্কিন সরকারের উদ্বেগ পূনর্ব্যক্ত করে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি। আমরা দেখতে চাই সরকার হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্ত কিভাবে করে, আর তাতে কী রিপোর্ট আসে। সেইসব তদন্তের ফলাফল প্রকাশ না হওয়া অবধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রশ্নে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপেক্ষায় থাকবে বলেও ক্ষুদে বার্তায় ইঙ্গিত দেয়া হয়।
সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছালো ৮৮ বার-ইত্তেফাক
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৮৮তম বারের মতো পিছিয়েছে। আগামী ৭ জুন এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতের নথি বলছে, এ নিয়ে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদালত ৮৮ বার সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকিকে ছোট করে দেখা যাবে না, বিশ্বকে সাবধান করলো রাশিয়া-মানবজমিন
তাহলে কি পরমাণু বোমা ব্যবহারের হুমকি দিলো রাশিয়া? দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ঘোষণা করেছেন, পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি এখন কনসিডারেবল বা বিবেচনাযোগ্য। রুশ টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত তার ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলো যে অস্ত্র পাঠাচ্ছে তাতে হামলা চালানোর বৈধতা রাশিয়ার আছে। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
খবরে জানানো হয়েছে, বিশ্বকে পরমাণু বোমা ব্যবহারের ঝুঁকি বিবেচনায় নিতে বলেছেন ল্যাভরভ। তিনি বলেন, আমি কৃত্রিমভাবে এই ঝুঁকি বৃদ্ধি হোক তা চাইবো না। কিন্তু অনেকেই সেটি পছন্দ করবে। এর বিপদ খুবই গুরুতর এবং বাস্তব। আমাদেরকে অবশ্যই এটিকে ছোট করে দেখলে চলবে না।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। টুইটারে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়ায় সমগ্র বিশ্বকে ভয় দেখাতে সর্বশেষ অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এটি প্রমাণ করে, মস্কো এখন নিজের পরাজয় টের পাচ্ছে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কাজ না পাওয়ার হতাশায় চাকরি খোঁজা ছেড়েছেন ৪৫ কোটি ভারতীয়, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট-সংবাদ প্রতিদিন
উন্নয়নের স্বর্ণযুগই হবে ‘অমৃত কাল’। আর সেই উত্তরণের পথে কর্মসংস্থানই (Employment) অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু হাতে গরম তথ্য সাক্ষী, মোদির সেই স্বপ্নের উড়ান এদেশে ইদানীং নেহাতই মরীচিকা। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়াই দায়। পেলেও তার জন্য বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোই যেন দস্তুর। তাই স্রেফ হতাশায় গোটা ভারতে কর্মক্ষম ৯০ কোটি মানুষের অর্ধেকের বেশি ইদানীং চাকরি খোঁজা ছেড়ে দিয়েছেন। আর মহিলাদের মধ্যে এই প্রবণতা রীতিমতো উদ্বেগজনক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র ( Centre for Monitoring Indian Economy) তরফে প্রকাশিত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।
ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ভারতে পরিস্থিতি’উদ্বেগজনক’রিপোর্ট মার্কিন কমিটির-সংবাদ প্রতিদিন/আজকাল
ফের ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করল আমেরিকা। গোটা বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে মার্কিন (USA) ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’। সেখানেই বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ভারতে পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার কাজে সমর্থন করছে দেশের সরকার।সম্প্রতি কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।
এবার যোগীর খাস তালুক গোরক্ষপুরে নৃশংসতা! একই পরিবারের তিনজনের গলা কাটল আততায়ীরা-সংবাদ প্রতিদিন
গত শনিবারই একই পরিবারের ৫ জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। এবার যোগীরই খাস তালুক গোরক্ষপুরে (Gorakhpur) একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে নৃশংস ভাবে হত্যার (Murder) ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য যোগীরাজ্যে। জেলার খোরবারে এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের ২০ বছরের তরুণী কন্যাকে খুন করল আততায়ীরা। পুলিশ অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।
আনন্দবাজার পত্রিকার একটি খবরে লেখা হয়েছে, অবশেষে হাঁসখালি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমরেন্দু গয়ালিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
সমরেন্দু গ্রেফতার হওয়ায় হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের অনেক তথ্যই সামনে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। অবশেষে তাঁকে জালে পুরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁকে সিবিআই ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৬