ইরান সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকবে: আরাকচি
ইহুদিবাদী ইসরাইল এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি: বাকায়ি
-
ইরান সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকবে: আরাকচি
পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন: ইরান সর্বদা সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকবে। সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি ওই মন্তব্য করেন।
গত কয়েকদিন ধরে, ইহুদিবাদী ইসরাইল দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করার অজুহাত দেখিয়ে সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় সে দেশে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। তাসনিম সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি সামাজিক নেটওয়ার্ক "এক্স"-এ লিখেছেন: ইরান সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে এবং সর্বদা সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকবে।
সিরিয়ার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি আক্রমণের একটি ছবি প্রকাশ করে আরাকচি লিখেছেন: দুর্ভাগ্যবশত, এই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে অনুমানযোগ্য ছিল। পরবর্তী রাজধানী কোথায়? তিনি যোগ করেছেন যে বর্বর এবং লাগামহীন ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা কোন সীমানা জানে না এবং কেবল একটি ভাষাই বোঝে। এই উন্মাদনাপূর্ণ আগ্রাসন বন্ধে সমগ্র অঞ্চলসহ বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আমরা সিরিয়ার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই: বাকায়ি
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়িল বাকায়ি সিরিয়ার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের ব্যাপক সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সইসরাইলের বিমান হামলার তীব্রতা এবং বেসামরিক ও সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে দেশটির বিশাল অংশ দখল করে রাখার কথা উল্লেখ করে বাকায়ি আরও বলেন: আজ এটা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ইহুদিবাদী ইসরাইল এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এই দখলদাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে জার্মানি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের অস্ত্রশস্ত্রসহ রাজনৈতিক মদদ পেয়ে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে ভয়ংকরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে।
গত দুই বছরে পশ্চিম এশিয়ার উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বাকায়ি আরও বলেন: "সিরিয়ায় যা ঘটছে তা ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা, যুদ্ধ-প্ররোচনা এবং আধিপত্যবাদের ব্যাপারে নীরবতা ও অতিরিক্ত নিষ্ক্রিয়তার ফল। এই হামলার ক্ষতি এবং প্রভাব কেবল সিরিয়ার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সমগ্র অঞ্চলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য এ অঞ্চলের সকল দেশের যৌথ দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন: আশেপাশের অঞ্চলে দখলদার ইসরাইলের বিপজ্জনক যুদ্ধের বিরোধীতা এবং সম্প্রসারণবাদ বন্ধ করার জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাসহ জাতিসংঘকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।#
পার্সটুডে/এনএম/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।