মে ২৮, ২০২২ ১৮:৪২ Asia/Dhaka

টেক্সাসে বাচ্চাদের স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ২১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আমি মর্মাহত হয়েছি। আমি ভাগ্যবান যে আমার ছেলের স্কুলে ঘটনাটি ঘটেনি। আমার ছেলে বেঁচে আছে। কিন্তু যে নিষ্পাপ বাচ্চাগুলো মারা গেছে তাদের বাবা-মায়েদের কি অবস্থা! এমন ঘটনা অনেক ঘটছে। ঘটনাটি আমার নিজের ওপরেও একটা প্রভাব পড়েছে। ভেতরে শোক এবং ক্ষোভ জমা হয়েছে। এটি আমার তাৎক্ষণিক অনুভূতি।

রেডিও তেহরানকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান।

বিশিষ্ট এই অধ্যাপক আরো বলেন, এরকম ঘটনা তো বারবার ঘটছে এবং আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ত্রাসে নিষ্পাপ লোকজনদেরকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। এটি আমেরিকার মতো একটি উন্নত দেশে বারবারই ঘটছে! এসব ঘটনা নিজেদের নিরাপত্তাবোধের ভিত্তিটাকে নাড়িয়ে দেয়। মনে হয় কখন যেন আমার দিকেও আসছে!

পুরো সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ, উপস্থাপনা ও প্রযোজনা করেছেন গাজী আবদুর রশীদ।

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা! রেডিও তেহরানের সাপ্তাহিক সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান আলাপনে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন।

রব্ব ইলিমেন্টারি স্কুল, টেক্সাস

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গোটা আমেরিকা জুড়ে শোক, সমবেদনা ও সমালোচনা চলছে। মর্মান্তিক এবং নৃশংস এ ঘটনা নিয়ে আমরা কথা বলব টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমানের সঙ্গে।

রেডিও তেহরান: জনাব অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান রেডিও তেহরানে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: অনেক ধন্যবাদ জনাব গাজী আবদুর রশীদ। রেডিও তেহরানকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।

রেডিও তেহরান: জনাব অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান, আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে  একটি প্রাথমিক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থী বাচ্চা শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়েছে। গোট যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে শোক ও সমবেদনা একইসাথে সমালোচনা ও বিতর্ক। তো ঐ মর্মান্তিক ঘটনাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: দেখুন, আমিও আর সবার মতো মর্মাহত, যখন শুনেছি ঐ ঘটনার কথা। প্রথমে মনে হয়েছে এই ঘটনা আমার ছেলের স্কুলে নাতো! যখন জানতে পেরেছি ঘটনাটি ঘটেছে আমার শহর থেকে একটু দূরে তখন  একটু আশ্বস্ত হয়েছি। নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয়েছে যে আমার ছেলেটা এখনও বেঁচে আছে। তো এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আমার ভাবতে খুবই অবাক লাগে ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে কিভাবে গুলি করে হত্যা করা হলো। বাচ্চাগুলোর ছবি দেখেছি পত্রিকায়। আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে মানুষ কি করে এরকম নিষ্পাপ শিশুদের মারতে পারে? এই ছোট ছোট বাচ্চারা যারা মারা গেছে তাদের বাবা-মায়েদের এখন কি অবস্থা!

আমার ছেলেটা বেঁচে আছে আমি ভাগ্যবান কিন্তু ঐ দুর্ভাগা মানুষগলোর কি হবে! যাঁদের বাচ্চারা ঐ ঘটনায় তারা এটাকে কিভাবে নেবে!

তবে ঘটনাটিকে কিভাবে দেখছি তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমার নিজের ওপরেও একটা প্রভাব পড়েছে ঐ ঘটনার। ভেতরে শোক এবং ক্ষোভ জমা হয়েছে। এটি হচ্ছে ঘটনার ঠিক পর আমার নিজের যে অনুভূতি।

আর ঘটনাটি কিভাবে দেখছি! এরকম ঘটনা তো বারবার ঘটছে এবং আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ত্রাসে নিষ্পাপ লোকজনদেরকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। এটি আমেরিকার মতো একটি উন্নত দেশে বারবারই ঘটছে! এসব ঘটনা নিজেদের নিরাপত্তাবোধের ভিত্তিটাকে নড়িয়ে দেয়। মনে হয় কখন যেন আমার দিকেও আসছে!

অধ্যাপক মাহফুজ রহমান, মাত্র ১৮ বছর বয়সী যে ছেলেটি এই নিষ্ঠুর কাজটি করল-কেন করল সে সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কী?

টেক্সাস স্কুল ট্রাজেডি

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: আমি যতটুকু পত্রপত্রিকায় পড়েছি তাতে এখনও জানা যায় নি কেন সে এটা করেছে। তার সমস্ত অতীত পুলিশ খতিয়ে দেখেছে কিন্তু সেখানে কোনো রেকর্ড নেই আগে এধরনের ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মানসিক স্বাস্থ্যের খারাপ কোনো রেকর্ড আছে কি না তাও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ কিন্তু এখনও কিছু পায় নি। এই যে ছেলেটা প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে নির্বিচারে এতগুলো বাচ্চাকে মেরে ফেলল-ছেলেটির বয়স মাত্র আঠারো। ছেলেটির জন্মদিন গিয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগে। তার জন্মদিনের পরেই সে অস্ত্র কিনেছে এবং নৃশংস এই কাজটি করেছে।

রেডিও তেহরান:  অধ্যাপক মাহফুজ রহমান, মে মাসের সর্বশেষ ১৫ দিনে আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে গুলিতে ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অহরহ গুলির ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ টেক্সাসের ১৯ শিশুসহ ২১ জনের মৃত্যুর ঘটনা। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের নথি এ তথ্য দিচ্ছে। এতো ভয়াবহ খবর। বলা চলে এ যেন এক ভয়ংকর মাস! তো কেন এত বেশি গান ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটছে? এর কারণ কি?

টেক্সাস ট্রাজেডি

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: অনেক ধন্যবাদ প্রশ্নটির জন্য। এই মে মাসে এতগুলো হত্যার ঘটনা কেন ঘটেছে এর কারণটা যে ঠিক কি  সে কারণটা এখনও কারও জানা নেই বলে আমার মনে হয়।

আপনি যে তথ্যটি দিলেন সেটি খুবই ভালো। আমি এর সাথে আরও কিছু তথ্য যোগ করছি। সেটি হচ্ছে, ২০২০ এবং ২০২১ এ দুই বছরে গান ভায়োলেন্স বলেন কিংবা গান সম্পর্কিত মৃত্যু বা আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে মৃত্যু ঘটেছে  প্রায় ৪৫ হাজার বছরে। তারমানে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ১২৩ জন মারা গেছে আমেরিকাতে। এটাতে যদি আরেকটু ভাগ করে বলি তাহলে প্রশ্নটি ওঠে তাহলে সবাই কি আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ত্রাসে মারা যাচ্ছে?

২০২০ সালের তথ্য বলছে এই যে ৪৫ হাজার বছরে মারা যাচ্ছে তারমধ্যে ২৫ হাজার মারা যাচ্ছে আত্মহত্যা করে। আর সেই আত্মহত্যা বা সুইসাইড করছে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে। অপর যে ২০ হাজার মারা যাচ্ছে তা অন্যের অস্ত্রের গুলিতে। তো এই সংখ্যাটা কিন্তু অনেক বড় সংখ্যা! আর এই সংখ্যাটা খুবই ভয়াবহ।

রেডিও তেহরান: টেক্সাসের হৃদয়বিদারক ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে আমি ক্লান্ত –পরিশ্রান্ত। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, টেক্সাসের মতো এমন ঘটনা একের পর এক ঘটছে, অনেক হয়েছে!  তিনি আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন আসে কেন সরকার আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে না, সমস্যাটা কোথায়?

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: আবারও অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটি। এর উত্তরও জানা কিন্তু এটির সমাধান হবে না। আমরা সেটাই দেখে আসছি।

মার্কিন সিনেট

কারণ সম্পর্কে বলব-এই যে যখনই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন, এরআগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চেষ্টা করেছেন এ বিষয়ে কিন্তু ওনারা এর সমাধান করতে পারেন নি। এ সম্পর্কিত যে আইন আছে সে আইনটিকে আরেকটু ব্যাপ্ত করতে পারেন নি। আর এর কারণ হচ্ছে 'রাজনৈতিক'।

আমেরিকাতে চাইলেই একজন প্রেসিডেন্ট হঠাৎ করে একটি আইন করে দিতে পারে না। প্রেসিডেন্ট কিছু কিছু জিনিষ করতে পারে কিন্তু এরকম একটা সরকারি আইন তৈরি করে ফেলতে পারেন না। সেটার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে ভোট হতে হয়। কংগ্রেসের দুটো কক্ষ আছে। একটি কক্ষ হচ্ছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও  অপরটি সিনেট। তাদের ভোটে এই আইনগুলো পাস হতে হয়। সুতরাং প্রেসিডেন্ট বাইডেন অথবা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হারিস ওনারা যতই এ সম্পর্কে বলুন না কেন আমি মনে করি না খুব শিঘ্রই এরকম কোনো একটা আইন দেখতে পাব যাতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার অথবা সহজলভ্যতাটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

রেডিও তেহরান: অধ্যাপক মাহফুজ রহমান:  মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকার নিশ্চিত করা আছে। এ সম্পর্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা বন্ধ করতে না পারার জন্য বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির দিকে আঙুল তুলেছেন। তাহলে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা নিয়ে মার্কিন সমাজ-রাজনীতি ব্যাপকভাবে বিভক্ত?  বিশেষ করে রাজনীতির জায়গা থেকে -একথা কি বলা যায়?

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই একথা বলা যায়। আমি আমেরিকার টেক্সাসে আছি প্রায় ২২/ ২৩ বছর ধরে। এখানে সমাজটা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। আমেরিকাতে দুটো বড় রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি। এই দুটো দলের যে নীতি বা তাদের যে ধ্যান ধারণা সেই দুটো ধ্যান ধারণায় মানুষ দুইভাগে বিভক্ত। তবে এরমাঝখানে কিছু কমন জিনিষ আছে। এমন না যে এই দুই দল সবসময় মারামারি করছে। ঠিক তেমনটি না।  কিন্তু যখনই আইন প্রণয়নের প্রশ্নটি দেখা তখন মানুষ ভোট দেয় তাদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী। আরেকটি বড় সমস্যার জায়গা হচ্ছে রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদরা এটাকে ব্যবহার করেন তাদের নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে অথবা ব্যক্তিগত স্বার্থে। যদিও এখানে রাজনীতিবিদদের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবার কথা। কিন্তু তারা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে মানুষের বিশ্বাস ও ধ্যান-ধারণাকে ব্যবহার করেন। এইসমস্ত কিছু মৌলিক বিষয়ে মানুষের ধ্যান-ধারণায় বিভক্তি।

রেডিও তেহরান: তো অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান, আমেরিকা উন্নত দেশ, ধনী দেশ এবং সেখানকার জনগোষ্ঠী সচেতন ও শিক্ষিত। তারপরও সেখানকার সামাজিক নিরাপত্তা এত বেশি দূর্বল কেন? সেখানে সমাজে বিভক্তি রয়েছে। তো সাধারণ মানুষ কি নিরাপদ সেখানে?

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: দেখুন, টেক্সাসে বাচ্চাদের স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে যে ২১ জন মারা গেল বা এ ধরনের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই তাতে সামাজিক নিরাপত্তা যে খুব কমে গেছে অথবা আমি আগামীকাল রাস্তায় বের হয়ে কম নিরাপদ বোধ করব ব্যাপারটা ঠিক সেরকম না। তারপরও বলব এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণটা হচ্ছে যখনই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে তখন মনোবেদনা হচ্ছে। নিরাপত্তাবোধের জায়গাটা একটু নড়ে যাচ্ছে কিন্তু এখানকার সামাজিক নিরাপত্তার জায়গাটা আরও ব্যাপ্ত। সামাজিক নিরাপত্তার ভিত্তিটা আরও অনেক শক্ত। সেইজন্য বলা যাবে না যে সামাজিক নিরাপত্তা কমে গেছে। কিন্তু এই ঘটনাগুলো যখন ঘটে তখন অবশ্যই এই বোধটা তৈরি হয়। আমি এখনও মনে করি যে আমেরিকার সামাজিক নিরাপত্তা যথেষ্ট ভালো। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও যথেষ্ট ভালো। রাস্তায় বের হয়ে আমাকে ভয়ে ভয়ে চলতে হয় না। এগুলো এখনও ভালো।

রেডিও তেহরান: তো জনাব, অধ্যাপক মাহফুজ রহমান, টেক্সাসে বন্দুকধারীর গুলিতে মর্মান্তিভাবে ২১ জনসহ  নিহত হওয়াসহ সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরণের বহু ঘটনা এবং সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রেডিও তেহরানকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচিছ।

অধ্যাপক শেখ মাহফুজ রহমান: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এসব প্রশ্ন করার জন্য এবং আমাকে ডাকবার জন্য এবং রেডিও তেহরানকে আবারও আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮