এপ্রিল ২১, ২০২৩ ১৪:২৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • এবারের ঈদযাত্রা ভোগান্তি মুক্ত: ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক
  • জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই: র‍্যাব মহাপরিচালক-প্রথম আলো
  • নতুন কোনো হুমকি নেই, অতীত মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার-যুগান্তর
  • কমলাপুরে স্ট্যান্ডিং টিকিট যেন সোনার হরিণ-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • যেভাবে আগের নির্বাচন হয়েছে এবার সেভাবে সম্ভব হবে না-মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • বাংলায় ৩৫ পেতে ছকে বদল অমিতের-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ঢাল আইনি মারপ্যাঁচ, মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহকে ‘ফোন’ করার প্রমাণ নিয়ে ঢোঁক গিললেন শুভেন্দু!-সংবাদ প্রতিদিন
  • অভিষেকের নামে কুন্তল তুলেছেন ৫০০ কোটি!-গণশক্তি
  • জম্মু ও কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ৫ ভারতীয় সেনা নিহত-এনডিটিভি অনলাইন

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই: র‍্যাব মহাপরিচালক-প্রথম আলো

র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাব।’ রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আর ইত্তেফাকের খবর ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, নতুন কোনো হুমকি নেই, অতীত মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেম প্রতিদিনের খবর-ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে কমলাপুর রেলস্টেশন। ফলে সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শত চেষ্টার পরেও কোথাও মিলছে না টিকিট নামের সোনার হরিণ। একটি টিকিটের জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রশ্ন- স্ট্যান্ডিং টিকিট গেলো কই?

মতামত লোডশেডিং থামবে কবে-প্রথম আলো

সরকারের উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সাল থেকে যে লোডশেডিং একেবারেই থাকবে না, তার ঘোষণা গত ছয়-সাত মাসে নেতা, মন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ বিভাগ একাধিকবার দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে উদ্ধৃতিগুলো তুলে ধরছি—‘সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং থাকবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী’; ‘অক্টোবর থেকে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী’; ‘নভেম্বরের শেষের দিকে লোডশেডিং সমস্যার সমাধান হবে: হানিফ’; ‘ডিসেম্বর থেকে থাকবে না লোডশেডিং: পিডিবি চেয়ারম্যান’; লোডশেডিং থাকবে না সামনের গ্রীষ্ম থেকে: সংসদীয় কমিটিকে বিদ্যুৎ বিভাগ’; ‘সেচ মৌসুমে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী’।

লোডশেডিং থামবে কবে

বাস্তবতা হচ্ছে রেকর্ড উৎপাদনেও দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট চাহিদার ঘাটতি থাকছে। ফলে লোডশেডিংয়ে নাকাল শহর এবং মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দেশের ২৩টি জেলার অর্ধশতাধিক মানুষ দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন যে দিনে ১০ থেকে ১৯ বার পর্যন্ত বিদ্যুৎ চলে যায়। লেখকের বন্ধু তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গ্রামের বাড়িতে আসলাম প্রায় ৩০ ঘণ্টা হয়েছে। এই ৩০ ঘণ্টায় অন্তত ৫০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। ইফতার এবং সাহ্‌রি—কোনো সময়েই বিদ্যুৎ পাইনি, টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল এমনও কখনো পাইনি।’ ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে, অসহ্য গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে, সেচকাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সীমাহীন কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে গ্রামের মানুষ। কিছু এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে।

সবশেষে ১৮ এপ্রিল লোডশেডিংয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগের জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এ বছর গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম এবং রোজা একসঙ্গে হওয়াতে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেটা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্বপ্রস্তুতির স্বাক্ষরও রেখেছি। কিন্তু গত ৫০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে বর্তমানে যে নজিরবিহীন দাবদাহ চলছে, তাতে ধারণার চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’

স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, সরকারের লোড ফোরকাস্টিং ভুল ছিল, বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে আবহাওয়া ফোরকাস্টের সংযোগ ছিল না, ফলে প্রস্তুতিও ভুল হওয়ার কথাই ছিল। বাংলাদেশের সব পরিকল্পনা এমনই ভুলে ভরা এবং অসম্পূর্ণ থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে তীব্র গরম কিছুটা কমে সহনীয় হয়ে এলেই কি লোডশেডিং চলে যাবে? উত্তরটা হ্যাঁ বলার অবকাশ নেই। কারণ, বিদ্যুতের সংকটের কারণ শুধু প্রচণ্ড দাবদাহ নয়; বরং মূল কারণ তীব্র ডলার–সংকট, ভুল পরিকল্পনা ও অব্যবস্থাপনা।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন, এটা ভালো। কিন্তু তাঁর বক্তব্য লোডশেডিং কেন এবং কবে থামবে, সেই ব্যাখ্যা দেয় না। দাবদাহ নয়; বরং তীব্র ডলার–সংকটের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের মূল কারণ অক্ষম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, স্বল্প সক্ষমতার বিতরণব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন, দুর্নীতিযুক্ত কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যুৎ খাতে অটেকসই, অসামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন এবং সবুজ বিদ্যুতের অভাব।

বরং দলীয় প্রভাববলয়ের ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের সহজ কাজে যুক্ত হয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং এতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়েছে। যার প্রমাণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ড লোকসান। একদিকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডলার–সংকট এবং অসম্ভব খরুচে চুক্তির কারণে দেড় বছরে গড় ব্যয় বেড়েছে ৮১ শতাংশ, অন্যদিকে রেন্টাল, আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) এবং সরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া পড়েছে প্রায় ২৮ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সরকার নিজেই অর্থসংকটে থাকায় ২০২২ সালের শুরু থেকে বিদ্যুৎ খাতে নিয়মিত ভর্তুকি ছাড় করছে না অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সাল থেকে আদানির অন্যায্য ক্যাপাসিটি চার্জ এবং রূপপুরের রুশ ঋণের কিস্তি প্রদান শুরু হলে পিডিবির দেনার দায় সীমাহীন হবে।

অভিযোগ আছে যে বিশেষ গোষ্ঠীর কমিশন–বাণিজ্যের লোভে দীর্ঘমেয়াদি আমদানি চুক্তির বদলে মোট তেল ও গ্যাস আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশই খোলাবাজার থেকে করা হচ্ছিল। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকটে পড়ে ২০২২ সালের জুলাইয়ে খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পর গত ফেব্রুয়ারিতে আবার আমদানি শুরু হলে লোডশেডিং কিছুটা কমে আসে। কিন্তু নতুন সমস্যা আমদানি ও উৎপাদন উভয়ের বকেয়া।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দিল্লির সাকেত আদালত চত্বরে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি-আনন্দবাজার পত্রিকা

দিল্লির সাকেত আদালত চত্বরে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি

দিল্লির সাকেত আদালত চত্বরে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে এই গুলি চালনার ঘটনায় আদালত চত্বরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারী এক জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। আদালত চত্বরে নিরাপত্তা এড়াতে আইনজীবীর পোশাক পরে এসেছিলেন। ফলে সহজেই পুলিশের নজর এড়িয়ে যায়। যে মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ওই দুষ্কৃতী, তিনি তখন আদালত চত্বরেই ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মহিলা একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন হামলাকারী। মহিলাকে লক্ষ্য করে পর পর চারটি গুলি চালান তিনি। তিনটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও একটি গুলি লাগে মহিলার শরীরে। তাতেই গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি।

আচমকাই আদালত চত্বরে গুলি চলায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কেন তাঁকে গুলি করা হল, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলাকারীর খোঁজ চালানো হচ্ছে।

দিল্লির আদালতে গুলি চালানোর ঘটনা কিন্তু নতুন নয়।গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে বার গুলির লড়াইয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন। দিল্লির কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিতেন্দ্র গোগী নিহত হন গুলির লড়াইয়ে।

ঢাল আইনি মারপ্যাঁচ, মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহকে ‘ফোন’ করার প্রমাণ নিয়ে ঢোঁক গিললেন শুভেন্দু!-সংবাদ প্রতিদিন

অমিত শাহ-শুভেন্দু ও মমতা বন্দোপাধ্যায়

তৃণমূল (TMC)জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর অমিত শাহকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ফোন করেছিলেন বলে বিস্ফোরক দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি প্রমাণ-সহ তা পেশ করবেন বলে টুইটও করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর এসব হুঁশিয়ারি কার্যত ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবেই প্রতিপন্ন হল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে এ বিষয়ে কোনও প্রমাণ দিতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। বললেন,  ”এভাবে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টেলিফোনিক কথোপকথন প্রকাশ্যে আনা যায় না। একমাত্র বিচারব্যবস্থাই তা করতে পারে। তাই বলছি, উনি এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। তখন আদালত এই ফোনের প্রমাণ চাইলে কল রেকর্ড প্রকাশের জন্য আবেদন জানাব।”

মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, “দল সর্বভারতীয় তকমা হারাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চারবার ফোন করেছিলেন অমিত শাহকে। জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন। কিন্তু অমিত শাহজি (Amit Shah) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে নিয়ম মেনেই করেছে।” মমতার দাবি, শুভেন্দুর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর কোনও ভিত্তি নেই। এমনকী, শুভেন্দু যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে পদত্যাগ করার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর পালটায় শুভেন্দু টুইট করে জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারই তিনি প্রমাণ পেশ করবেন। কিন্তু সময় এলে দেখা গেল, কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলেন না বিরোধী দলনেতা। উলটে দাবি করলেন, ল্যান্ডফোন ফোন করা হয়েছিল। সেই কল রেকর্ড এভাবে প্রকাশ করা যায় না, আইনি বাধা রয়েছে। বরং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি আদালতের কাছে এই টেলিফোনিক কথোপকথন প্রকাশের অনুমতি চাইবেন।  

রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের চাপেই এ বিষয়ে বড়সড় চ্যালেঞ্জ করেও ঢোক গিলেছেন শুভেন্দু। তাই এদিন প্রমাণের বদলে আইনি জটিলতার কথা বললেন।

জম্মু ও কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ৫ ভারতীয় সেনা নিহত-এনডিটিভি অনলাইন

ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে একটি সামরিক গাড়িতে গেরিলা হামলায় পাঁচ সেনা নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ট্রাকটি কাশ্মিরের ভীমবার লেন থেকে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে পুঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় সন্ত্রাসীরা ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পরে গ্রেনেড হামলার কারণে আগুন ধরে যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ট্রাকটি কাশ্মিরের ভীমবার লেন থেকে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে পুঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় সন্ত্রাসীরা ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পরে গ্রেনেড হামলার কারণে আগুন ধরে যায়।

বাংলায় ৩৫ পেতে ছকে বদল অমিতের-আনন্দবাজার পত্রিকা

চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বীরভূমের সিউড়ির সভা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জিততে হবে বলে রাজ্য বিজেপিকে নতুন টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন অমিত শাহ। আর তার পরের দিন পয়লা বৈশাখে কলকাতায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তী গন্তব্য হবে মুর্শিদাবাদ।

প্রথম পর্বে এই রাজ্য থেকে হেরে যাওয়া আসন জয়ের লক্ষ্য থেকে বাদ ছিল বহরমপুর। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল এবং বড়ঞার বিধায়কের মোবাইল-কাণ্ডের পরে নতুন ছক গেরুয়া শিবিরের।

অভিষেকের নামে কুন্তল তুলেছেন ৫০০ কোটি!-গণশক্তি

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি

নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের এল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির প্রসঙ্গ! অভিষেক ব্যানার্জির নাম করেই নিয়োগকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ টাকা তুলতেন। 

সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি! বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল।

কুন্তল ঘোষের গ্রেপ্তারিতেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেক ব্যানার্জির নাম আসে আদালতে। অভিষেক-ঘনিষ্ঠ এই যুব তৃণমূল নেতাই আদালত ও পুলিশকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁকে জেরায় অভিষেক ব্যানার্জির নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি সংশ্লিষ্ট মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, তদন্তের প্রয়োজনে অভিষেক ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং ইডি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২১

ট্যাগ