বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর
আমরা আর অশান্তি চাই না, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী
শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ২৮ মে (রোববার) ঢাকা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার খবরটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তবে ভারতের বাংলা দৈনিকগুলো ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। তবে প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার শিরোনাম
- খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে ‘বিষ খেয়ে আত্মহত্যা’র ঘোষণা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের- প্রথম আলো
- জনগণ এখন শুধুই সরকারের পতন চায়: আলাল –যুগান্তর
-
বিবিসি বাংলাকে শ্রীরাধা দত্ত ‘আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না ভারত সরকার’ – দৈনিক ইত্তেফাক
- নিজের রাজনৈতিক উত্তরসূরীর নাম ঘোষণা করলেন ইমরান খান- মানবজমিন
- আমরা আর অশান্তি চাই না, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী: কালের কণ্ঠ
- গোটা দেশকে কারাগারে রুপান্তরিত করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল: নয়াদিগন্ত
কোলকাতার পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম
- রাজ্যাভিষেক হচ্ছে!’ সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের: আনন্দবাজার
- নতুন সংসদ ভবন বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের প্রতীক’, উদ্বোধনে না থেকেও বার্তা রাষ্ট্রপতির: সংবাদ প্রতিদিন
- ব্রেকিং: হজ যাত্রীদের জন্য দারুণ খবর! এবার ভারত থেকে ট্রেনে যাওয়া যাবে মক্কায়?: পূবের কলম
বিশ্লেষণের বিষয়:
কথাবার্তার প্রশ্ন (২৮ মে/২৩)
১. পাচার করা টাকাই রেমিট্যান্স হয়ে ফিরে আসছে। এতথ্য দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি। কী বলবেন আপনি?
২. যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দিতে হবে। একথা বলেছে রাশিয়া। এটা কী মানবে ইউক্রেন?
বিশ্লেষণের বাইরে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত
আমরা আর অশান্তি চাই না, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী: কালের কণ্ঠ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই। আজ রবিবার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক পেয়েছিলেন।
দুর্ভাগ্য আমাদের। যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবনটা দিতে হলো। যে দেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন, সেই দেশের কিছু অমানুষের হাতেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই তার এ দেশটি গড়ে উঠুক উন্নত সমৃদ্ধ হয়ে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল, সেটা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিল ২৫ দশমিক ৯ ভাগ, সেটা আমরা ৫ দশমিক ৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ মৌলিক অধিকার পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮-এর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।
খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে ‘বিষ খেয়ে আত্মহত্যা’র ঘোষণা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের- প্রথম আলো
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যদি খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন, তাহলে তিনি ‘বিষ খেয়ে আত্মহত্যা’ করবেন। নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট না দিলে সেটি ‘জাতির জন্য বেইমানি’ হবে বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ভুটিয়ারকোনা গ্রামে নারীদের নিয়ে এক উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন নাজিম উদ্দিন আহমেদ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে এই উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
বক্তব্যের একপর্যায়ে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার কোনো সহায় সম্বল নাই, ব্যাংকে কোনো টাকাপয়সা নাই। এ দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, তাঁদের মনের আশা, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে। আত্মারা যদি আপনাদের কাছে দাবি করে, নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য, যদি আপনারা নৌকায় ভোট না দেন, তাহলে জাতির জন্য বেইমানি হবে। তাই আপনাদের কাছে দাবি করব, আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আরেকবার সুযোগ দেন, যাতে এ দেশে রাজাকার আলবদরেরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিভিন্ন অপরাধের কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারাই যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আপনাদের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব। যদি শুনতে পারি নৌকা হেরে গিয়েছে, ক্ষমতায় এসেছে খালেদা জিয়া, তাহলে আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। কারণ, এ বেঁচে থাকার আর মূল্য নাই।’
ময়মনসিংহ–৩ আসনের দুবারের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার এই হাতে অস্ত্র ধরেছিলাম, দেশ স্বাধীন করেছিলাম। এরপরও যদি আবার হায়েনারা ক্ষমতায় আসে, তাহলে আমি মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থেকে লাভ কী? তাই আপনাদের কাছে আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন। আমি দুইবার এমপি হয়েছি। আগামী নির্বাচনে আবার চাই শেখ হাসিরা যেন আমাকে নৌকা দেন। আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন।’
নিজের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বক্তব্যে মূলত আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করেছি। স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এসেছে। সেটা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমি আমার আক্ষেপ প্রকাশ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধীরা যখন গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে চলাচল করে, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটা আমার জন্য আত্মহত্যার শামিল।’
জনগণ এখন শুধুই সরকারের পতন চায়: আলাল –যুগান্তর
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাটের কথা দেশের জনগণ আর শুনতে চায় না। দেশের জনগণ এখন চায় শুধুই শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী) পতন।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আন্দোলনরত বিরোধী দলের উপর জুলুম নির্যাতন হামলা-মামলা -গ্রেফতার বন্ধ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
আলাল বলেন, ১০ টাকা কেজির চালের প্রতিশ্রুতি এখন কততে দাঁড়িয়েছে? এদেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য কামনা করে লাভ নেই। কারণ এই সরকারকে হটিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করা পর্যন্ত সুস্বাস্থ্য কামনা করা যাবে না। এই সরকারের কাছে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবি করে লাভ নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য এখনো সময় আছে। আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের হাতিয়ার হচ্ছে ছাত্রলীগ। সেই ছাত্রলীগ তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগ তৈরি হওয়ার এক বছর আগে। ছাত্রলীগের ধর্ষণ, লুটপাট, দুর্নীতি দুঃশাসন এবং নানাবিধ কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ এখন তাদের নাম হারিয়ে ফেলেছে।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের পাশে একদল নামধারী মুক্তিযোদ্ধা চেঁচামেচি করছে। এদের নাম দেওয়া হয়েছে চেঁচামেচি লীগ। চেঁচামেছি লীগের মতো কর্মকাণ্ড না করে কিভাবে আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে হবে। এখন ডিজিটাল অ্যাক্ট তৈরি করে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করে যত অপকর্ম, কুকর্ম করা শুরু করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, লুটপাটের কথা দেশের জনগণ আর শুনতে চায় না, তারা এখন চায় শুধুই বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন।
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের সভাপতি হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি ডা. শামসুল আলম প্রমুখ।
বিবিসি বাংলাকে শ্রীরাধা দত্ত ‘আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না ভারত সরকার’ – দৈনিক ইত্তেফাক
ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত। বিবিসি বাংলাকে এক কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির ইস্যুতে ভারত সরকার কি বাংলাদেশে সরকারের পাশে থাকবে? এ প্রশ্ন এখন নানা জায়গায় আলোচিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সুরাহার জন্য বাংলাদেশ সরকার দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল যা তারা অস্বীকার করেনি। ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত সহযোগী দেশ। কোয়াডের সদস্য। খুবই ঘনিষ্ঠ একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। তাছাড়া, ভারতের বাজারও আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই লোভনীয়।
কিন্তু দিল্লি কি তাদের সেই কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে? ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দিল্লির ওপর ভরসা করে এবং এখনও করবে, কিন্তু ভারতেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। ভারত কি আমেরিকাকে বলবে বাংলাদেশ নিয়ে তোমরা যা করছো সেটি ঠিক নয়? আমার মনে হয়না ভারত তা করবে।’
বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে ভারত সরকার দেন-দরবার করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে কূটনীতি বিভিন্ন চ্যানেলে হয়, ভারত হয়ত ট্র্যাক টু বা ট্র্যাক থ্রি চ্যানেলে একথা তুলবে, কিন্তু ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চাপ থাকলেও রোহিঙ্গা সংকটে নিয়েও ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর কখনই খোলাখুলিভাবে কোনো চাপাচাপি করেনি। তবে মিজ দত্ত স্বীকার করেন ভারত চায় আওয়ামী লীগের সরকার বাংলাদেশে থাকুক কারণ, তার মতে, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো সবসময় শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছেন যা নিয়ে দিল্লি কৃতজ্ঞ।’
এ কারণে, তিনি বলেন, ‘পরপর দুটো নির্বাচন নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠলেও ভারত চোখ বুজে ফলাফলকে মেনে নিয়েছে। এটা ঠিক যে ভারত আওয়ামী লীগকে অন্ধের মত সমর্থন করেছে...কিন্তু আমেরিকা এখন যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে সেটা ভারতের জন্য চিন্তার জায়গা তো বটেই। মনে হচ্ছেনা আমেরিকানরা পেছোবে। সেখানে ভারত কী করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’ এর আগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ভারত যে বাংলাদেশের হয়ে আমেরিকার সঙ্গে জোরালো কোনও দেন-দরবার করেছে তার কোনো প্রমাণ নেই। ভারত যতই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবুক না কেন তাদের তো অনেক জায়গাতেই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজন বলে মনে করেন দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত।
গোটা দেশকে কারাগারে রুপান্তরিত করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল: নয়াদিগন্ত
সরকার গোটা দেশকে কারাগারে রুপান্তরিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেল থেকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ বর্তমান আওয়ামী সরকার এখন দিশেহারা হয়ে অমানবিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের খেলায় মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হত্যা, গুমসহ অব্যাহত গতিতে গ্রেফতার করে কারান্তরীণের মাধ্যমে গোটা দেশকেই কারাগারে রুপান্তরিত করেছে নিশিরাতের সরকার। বর্তমান সময়ে এই গ্রেফতারের ঘটনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ ধরণের অপকর্ম সরকারের চলমান প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে। নোয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের ঘটনা সেই চলমান প্রক্রিয়ারই অংশ।
অবিলম্বে আব্দুর রহমান চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
রাজ্যাভিষেক হচ্ছে!’ সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের: আনন্দবাজার
দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই অনুষ্ঠানকে মোদীর ‘রাজ্যাভিষেক’ বলে মনে হচ্ছে, দাবি তাঁর।
সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে রবিবার বেলার দিকে একটি টুইট করেছেন রাহুল। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘‘সংসদ আসলে দেশের মানুষের গলার স্বর।’’ এর পরেই মোদীকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে রাজ্যাভিষেক ভেবেছেন।’’
রবিবার সকাল সকাল সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মোদী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। বিরোধীরা অবশ্য এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল। ২০টি বিরোধী দল অনুষ্ঠানে ছিল গরহাজির। তবে তাতে অনুষ্ঠানে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। বেদমন্ত্র পাঠ করে, পুজো এবং যজ্ঞে অংশ নিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন মোদী। তিনি সর্বধর্ম প্রার্থনাতেও অংশ নেন। তার পর ১০১ তম ‘মন কি বাত’-এ ভাষণ দেন মোদী।
ব্রেকিং: হজ যাত্রীদের জন্য দারুণ খবর! এবার ভারত থেকে ট্রেনে যাওয়া যাবে মক্কায়?: পূবের কলম
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-ভ্রাতৃত্বের মহাসম্মেলন হজ। ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে হজ চতুর্থ। প্রতিবছরই বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ হজ করতে সউদি আরবে রওনা দেন। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। তবে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। তাই নতুন পরিকল্পনা করতে চলেছে মোদি সরকার। কমখরচে যাতে হজ যাত্রা করা যায় তার জন্য ট্রেন চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর।
জানা গেছে, ভারত থেকে সউদি আরবের সরাসরি ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিমানে করেই মক্কায় যায় হজযাত্রী। যা অনেকটাই ব্যয়বহুল। সেই কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে হজে যেতে পারেন না। তাই খরচ লঘু করতে মক্কা থেক সোজা ভারত পর্যন্ত ট্রেন চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সউদি আরব মিলিতভাবে দীর্ঘ আলোচনার পর এই পরিকল্পনা করেছে। এই আলোচনার লক্ষ্য ছিল পরিবহণ সংযোগ উন্নত করা এবং জড়িত দেশগুলির মধ্যে সংযোগ বাড়ানো। খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি খুশির খবর।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বুলেট ট্রেন সহ একাধিক দেশে যেভাবে দ্রুত গতির ট্রেন চলাচল করে থাকে সেরকমই ট্রেন পরিষেবা এই রুটে চালু করা হবে বলে আলোচনা চলছে। সেই মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ট্রেন পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। দ্রুত গতির ট্রেন পরিষেবার পাশাপাশি খরচের দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবছর হজ যাত্রীর সময় বিমানের টিকিটের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। মোটা টাকা খরচ করে হজ যাত্রা করতে হয়। ভারতে সেকারণে মধ্যবিত্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হজ যাত্রা করতে পারেন না। সেকারণে ট্রেন যাত্রা যাতে খরচ নিয়ন্ত্রিত এবং সাধ্যের মধ্যে থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
সেই সঙ্গে ট্রেন যাত্রার ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ এবং পরিচ্ছন্নতার কথাও মাথায় রাখতে হবে। কারণ দ্রুত গতির ট্রেন হলেও ভারত থেকে মক্কা এক দিনে পৌঁছনো যাবে না। যাতে মাঝ পথে কোথাও যাত্রীরা হল্ট করে বিশ্রাম নিতে পারেন সেদিকেও বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
কোন পথে যাবে ট্রেন সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তান দিয়ে ট্রেন পথ তৈরি করতে হবে। বালুচিস্তান, জাগোরাস পর্বত, ইরানের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হবে ট্রেন। তার উপরে আবহাওয়ার বদল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একাধিক দেশের সীমান্ত পেরিয়ে যাবে রেলপথ সেক্ষেত্রে হজ যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকটিএও খতিয়ে দেখতে হবে।#