'সরকার কেবল ভোট নয়, মানুষের পকেটও চুরি করছে'
'ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথে'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২৫ জুন রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- বিশেষ সাক্ষাৎকার: মুস্তফা কামাল মুজেরী সবখানেই গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় আমরা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছি- প্রথম আলো
- জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলার রায় পেছালো-ইত্তেফাক
- আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যু, চিকিৎসক কারাগারে, মালিকপক্ষ বাইরে কেন? -মানবজমিন
- বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসায় জাতিসংঘ কর্মকর্তারা-কালের কণ্ঠ
- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে বিএনপির নতুন কৌশল-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- মোদ্দা কথা বিজেপি হটাও-গণশক্তি
- বুথের সংগঠন মজবুত চাই, মঙ্গলবার ক্লাস নেবেন প্রধানমন্ত্রী-আনন্দবাজার পত্রিকা
- ক্ষমতা হারানোর ভয়েই জরুরি অবস্থা! ৪৮তম বছরে কংগ্রেসকে তোপ মোদি-শাহর-সংবাদ প্রতিদিন
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
বিশেষ সাক্ষাৎকার: মুস্তফা কামাল মুজেরী সবখানেই গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় আমরা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছি- প্রথম আলোতে প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে- এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল মুস্তফা কামাল মুজেরীকে। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যাংকিং খাত ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যাংকিং খাতের পুঞ্জীভূত সংকটের বহিঃপ্রকাশ বেশ কিছুদিন থেকে আমরা দেখছি। অনেকগুলো ব্যাংক ভালোভাবে চলছিল, এখন সেগুলোতেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতার জন্য ইদানীং ব্যাংক পরিচালকদের ভূমিকার বিষয়টিও লক্ষ করা যাচ্ছে। ব্যাংকিং কাঠামোকে আমরা যদি সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে চাই, তাহলে এখন যেসব দুর্বলতা আছে, সেগুলো বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত জরুরি।
এখানে গোষ্ঠীস্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা প্রকটভাবে দেখা গেল। এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থের পুরোপুরি পরিপন্থী। যে প্রক্রিয়ায় ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ বাড়ানো, সেটি খুব প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়া।
ঋণখেলাপিরা যখন ক্ষমতার অংশীদার হয়ে যান, তখন এ দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসা খুবই দুষ্কর। আমরা সবখানেই গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের জাতির জন্য, আমাদের উন্নয়নের জন্য, এই গোষ্ঠীস্বার্থ দীর্ঘকালীন মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে ডলার–সংকট চলছে। অনেক ব্যাংক, বিশেষত ইসলামি ব্যাংকগুলো তারল্যসংকটে ভুগছে। ডলারের সঙ্গে টাকারও সংকট। কেন সংকট দীর্ঘ হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকের ডলার–সংকট, তারল্যসংকট কিন্তু হঠাৎ তৈরি হয়নি। সমস্যাটি যখন স্বল্প ছিল, তখন এখানে খুব একটা সুদৃষ্টি দেওয়া হয়নি; বরং লালন–পালন করা হয়েছে। সমস্যাটি এখন যখন বিস্ফোরিত হয়েছে, তখন সেটা অনেকটাই আমাদের আওতার বাইরে চলে গেছে। ডলারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, সেটা শিগগিরই কমে আসবে বলে মনে হয় না। আমাদের অর্থনীতি আমদানিনির্ভর। শুধু খাদ্যপণ্য নয়, শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি—সবকিছুই আমদানি করতে হয়। এই আমদানিনির্ভরতা কোনোভাবে কমিয়ে আনা গেলে সংকট হয়তো কিছুটা লাঘব হতে পারত; কিন্তু জ্বালানি, শিল্পের কাঁচামাল ও খাদ্যপণ্যে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনা দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। এ কারণে আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের চাহিদা আশু কমিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই।
ডলার সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। আমাদের ডলারপ্রাপ্তির বড় দুটি উৎস হচ্ছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। এ দুটোর ক্ষেত্রে হঠাৎ উল্লম্ফন হওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। রপ্তানি আয় বাড়াতে হলে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে, বাজার বাড়াতে হবে। প্রবাসী আয় যদিও ক্রমাগত বাড়ছে, কিন্তু নানা টানাপোড়েনের কারণে সেটা খুব দ্রুত বাড়ার সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতে দেখি না। সবকিছু মিলিয়ে ডলার–সংকট বা বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আমাদের আরও বেশ কিছুদিন ভোগাবে। আমরা অনেকগুলো মেগা প্রকল্প করেছি। সেগুলোর কিস্তি শোধ করতে হচ্ছে। এটাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আইএমএফ বা অন্য কোনো সংস্থার ঋণ এ ক্ষেত্রে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু সেগুলো সমস্যার সমাধান নয়। আমাদের নিজস্ব শক্তির ওপরই দাঁড়াতে হবে। চাহিদা ও সরবরাহ দুদিকেই তাকাতে হবে, যাতে আমরা আরও বেশি আত্মনির্ভরশীল হতে পারি।
জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলার রায় পেছালো-ইত্তেফাক
মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বহুল আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছেন আদালত। রোববার (২৫ জুন) এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিপক্ষ অধিকতর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম ১৭ জুলাই রায় ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করেন।
ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথে: মির্জা ফখরুল-যুগান্তর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার কেবল ভোট নয়, মানুষের পকেটও চুরি করছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথে। এদের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করে তারপর ঘরে ফিরব।গতকাল বরিশালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে বিএনপির নতুন কৌশল। এ খবরে বলা হয়েছে, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। মিথ্যা মামলা, বাসায় গিয়ে হয়রানি, মুঠোফোনের ব্যক্তিগত আলাপে নজরদারিসহ এমন সব অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এ অবস্থায় হয়রানি এড়াতে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিনব কৌশল অবলম্বন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ব্যবহার করছেন সবসময় বহনযোগ্য পকেট রাউটার এবং বিদেশি ফোন নম্বর।
কেবল বিএনপি নয়, বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও একই কৌশল অবলম্বন করছেন। এতে করে ডিজিটাল মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা খুব সহজেই তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং মুঠোফোনের কথোপকথনে নজরদারি করতে পারছেন না।
রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা মহানগরের ১১টি থানা এলাকার পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
মানবজমিনের নির্বাচিত কলাম- খোলা চোখে আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যু, চিকিৎসক কারাগারে, মালিকপক্ষ বাইরে কেন? এ কলামে লেখা হয়েছে, আঁখির মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি দায়ীদের শাস্তি দেয়ার কথা বলেছেন। আমরা মনে করি এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। এখানে কার কী দায়। কার কী দোষ তা খুঁজে বের করে প্রকৃত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এমন আর একটি ঘটনাও না ঘটে। আঁখির মতো কোনো মায়ের এমন মৃত্যু না হয়।
মাহবুবা রহমান আঁখির ইচ্ছা ছিল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তানের জন্ম দেবেন। তাই শুরু থেকেই সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসক ডা. সংযুক্তা সাহার কাছে সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা ও পরামর্শ নিচ্ছিলেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে তিনি পরামর্শ নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু নিরাপদে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারেননি। অপচিকিৎসার শিকার হয়ে তার নিজের জীবনটাও বিপন্ন হয়েছে।আঁখি যে ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার শিকার হয়েছেন তা স্বীকার করেছে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তিনি যথাযথ চিকিৎসা পাননি। জরুরি মুহূর্তে তার জন্য যেসব ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা নিতে পারেনি।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
মোদ্দা কথা বিজেপি হটাও-গণশক্তি
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন আরএসএস-বিজেপি’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দলগুলির সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। গত বেশ কয়েক মাস ধরে একাধিক বিরোধী নেতা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করছিলেন। নানা উপলক্ষে একাধিক দলের নেতারা এক জায়গায় উপস্থিত হলে সেখানেও প্রাথমিক কিছু কথাবার্তা হয়েছে। পাটনার এই বৈঠকের মধ্য দিয়েই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে হটানোর একমাত্র লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
বৈঠকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক হয়েছে সন্দেহাতীতভাবে মোদী সরকার হটানো।
বাংলায় এখন পঞ্চায়েত ভোটের আবহ। সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার পরে পরেই লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মঙ্গলবার দেশের ১০ লাখ বুথের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লি নয়, মঙ্গলবার মোদীর ‘মেরা বুথ, সবসে মজবুত’ (আমার বুথ, সবচেয়ে মজবুত) কর্মসূচি হবে ভোপালে। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের সব রাজ্যের বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। বিজেপি যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে বুথ স্তরের সংগঠনেই দলের জোর সবচেয়ে বেশি। বাংলাতেও ক্ষমতায় আসতে হলে সেটা করতে হবে বলে বারবার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ থাকলেও দেশে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটও রয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার দেশের সব বুথকর্মীদের বার্তা দেবেন মোদী।
ক্ষমতা হারানোর ভয়েই জরুরি অবস্থা! ৪৮তম বছরে কংগ্রেসকে তোপ মোদি-শাহর-সংবাদ প্রতিদিন
আমেরিকা সফরের আগে ‘মন কি বাত’-এ অশান্ত মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তবে গর্জে উঠেছিলেন কংগ্রেস আ্মলের ‘জরুরি অবস্থা’র (Emergency) বিরুদ্ধে। দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৪৮তম বার্ষিকীতে ফের টুইট করে সরব হলেন মোদি এবং তাঁর পার্ষদরা। আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসকে (Congress), যাঁরা “জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিন” প্রতিরোধ করেছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) টুইট করেছেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একটি পরিবার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। টুইট করা হয়েছে বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও। সেখানে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্দিরা গান্ধীর ছবি করা হয়েছে। সঙ্গে ক্যাপশান- “১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা। গণতন্ত্রের মন্দির পদদলিত করার ভয়ঙ্কর কাহিনি!”#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৫