জুলাই ১৩, ২০২৩ ১৬:১৭ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের জবাবের অনুষ্ঠান 'প্রিয়জন'। আজকের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় রয়েছি- আমি নাসির মাহমুদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: প্রত্যেক আসরের মতো আজও অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি একটি হাদিস শোনাতে চাই। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)বলেছেন : 'যে ব্যক্তি না জেনে কাজ করে, সে যতটা না ভালো করে- তার চেয়ে বেশি খারাপ করে।'

আকতার জাহান: খুবই মূল্যবান একটি হাদিস শুনলাম। আমরা সবাই যেকোনো বিষয়ে জেনে-বুঝে কাজ করার চেষ্টা করব- এ আহ্বান রেখে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।

আসরের প্রথম মেইলটি এসেছে কিশোরগঞ্জের খড়মপট্টি থেকে আর পাঠিয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কিশোরগঞ্জের অর্থ সম্পাদক শরিফ আক্তার পান্না।

নাসির মাহমুদ: এ শ্রোতাবোন মনে হয় অনেকদিন পর চিঠি লিখলেন!

আশরাফুর রহমান: হ্যাঁ, আপনার ধারণােএকদম

সঠিক। আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে ওনার মতামত চলতি বছর এটাই প্রথম। অবশ্য চিঠি না লেখার পেছনে একটি কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন- গত বছর স্পীডবোট এক্সিডেন্টের পর বাম হাতের আঙুলে কিছু আঘাত পাওয়ায় কম্পিউটারের কীবোর্ডে কাজ করতে সমস্যা হয়। এ কারণে এতদিন লিখতে পারেননি। যাইহোক, এ শ্রোতাবোন তার চিঠিতে কী লিখেছেন?

আকতার জাহান: "২৫ মে বৃহস্পতিবার রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগ থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রংধনু আসর আমাদের খুব ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নাসির মাহমুদ ভাইয়ের লেখা শালিক পাখির বাচ্চার গল্পটি প্রচারিত হয়। আসলে এটি ছিল একটি চিত্রনাট্য। এতে শিশুশিল্পীরা দারুণ অভিনয় করেছে, চরিত্র অনুযায়ী তাদের কণ্ঠ ছিল পারফেক্ট। চিত্রনাট্য শেষে তেহরান প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু আলি মুনাদির সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। তার সাক্ষাৎকার আমাদের খুব ভালো লেগেছে। তার কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা ইরান সম্পর্কেও জানতে পারলাম। তার কণ্ঠে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও ফার্সি গান ছিল খুবই উপভোগ্য।"

নাসির মাহমুদ: 'জিপিএস' শিরোনামে শালিক পাখির বাচ্চার গল্পটি একটি বিশেষ আয়োজন। রংধনু আসরে এ ধরনের চিত্রনাট্য এবারই প্রথম প্রচারিত হলো। অনুষ্ঠানটি আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। তো দীর্ঘদিন পর চিঠি লিখার জন্য বোন শরিফা আক্তার পান্না আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটিও রংধনু আসর সম্পর্কে। বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের পূর্ব নলছিয়া থেকে এটি পাঠিয়েছেন হারুন অর রশীদ।

তিনি লিখেছেন, স্মৃতির স্বপ্ন নাটাই ঘুড়ির সুতোয় টান লাগল। মনে পড়ে গেল রংধনু আসর-এর কথা। ফেসবুকে পার্স টুডে'র পেইজ ঘেঁটে ঘেঁটে খুঁজে পেলাম রংধনুর চমৎকার এক গল্প- 'হিংসুটে চাষীর গল্প' শিরোনামে কবি হাসান হাফিজের অনুবাদে বুলগেরিয়ার প্রচলিত গল্পটি। গরীব চাষীর অলৌকিকভাবে সুদিন আসলেও শুধুমাত্র হিংসার কারণে আবার তাকে গরীব হওয়ার ঘটনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, হিংসার ফল কখনোই ভালো নয়। অনুষ্ঠানের শেষাংশে কবি আসাদ বিন হাফিজের লেখা মেট্রোরেলের ছড়াটি ভীষণ ভালো লেগেছে।

আশরাফুর রহমান: রংধনু আসর সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়ে ইমেইল পাঠানোয় শ্রোতাবন্ধু হারুন অর রশীদ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আমাদের অন্য অনুষ্ঠানগুলো সম্পর্কেও মতামত জানাবেন।

আকতার জাহান: আসরের পরের মেইলটি এসেছে ভারতের আসামের কোকরাঝাড় জেলার কাজিগাঁও থানার দলগাঁও থেকে আর লিখেছেন ওসমান গনি সেখ।

নাসির মাহমুদ: তিনি লিখেছেন, "১৪ এপ্রিল রোজ রবিবার রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত বেতার বন্ধু আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার সাহেবের অনুপ্রেরণায় শুনলাম যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। নারী : মানব ফুল’ নামক আলোচনাটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে। উক্ত অনুষ্ঠানে আমি আসিয়া বিবির বিষয়ে শুনতে চাই।"

আকতার জাহান: ভাই ওসমান গনি সেখ, বিবি আসিয়ার জীবন সম্পর্কে আমরা সোনালী নীড়ের ৩৭তম পর্বে আলোচনা করেছি। তারপরও আপনার প্রস্তাবটি আমাদের বিবেচনায় থাকল।

আশরাফুর রহমান: আচ্ছা, বিবি আসিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু কথা আজ বলা যায় না?

আকতার জাহান: হ্যাঁ, তা বলা যায়। মহীয়সী নারী বিবি আসিয়া ছিলেন মিশরের জালিম শাসক ফেরাউনের স্ত্রী। তিনি ছিলেন উন্নত আধ্যাত্মিক ও খোদায়ি প্রকৃতির অধিকারী। তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী  হযরত মুসা (আ.)-এর পালকমাতা। নবী যখন যখন একত্ববাদী ধর্ম প্রচার শুরু করেন তখন বিবি আসিয়া তাঁর এই দাওয়াতে সাড়া দেন। ফিরাউন তার স্ত্রীকে এ ধর্ম ত্যাগে বাধ্য করার জন্য প্রথমে নানা প্রলোভন দেখান। পরের নির্যাতনের পথ বেছে নেন। কিন্তু আসিয়ার হৃদয়ে খোদাপ্রেমের যে অনির্বাণ শিখা জ্বলে উঠেছিল তার কাছে ফিরাউনের জুলুম-নির্যাতন ছিল তুচ্ছ। তিনি শেষ পর্যন্ত খোদায়ী ধর্মে অটল ও অনড় ছিলেন। হযরত আসিয়ার মর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন— খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুজাহিম।’

নাসির মাহমুদ: ওসমান গনি সেখের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো। আশা করি তার কৌতুহল মিটেছে।

বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার জোনাইডাঙ্গা গ্রাম থেকে স্মার্ট রেডিও লিসেনার্স বেতার শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

চিঠির শুরুতেই তিনি গ্রীষ্মে পাকা আম,কাঁঠাল ও লিচু খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন।

আশরাফুর রহমান: আমাদের জন্য এটা একটা লোভনীয় দাওয়াত বলা যায়। কারণ ইরানে আম পাওয়া গেলেও কাঁঠাল আর লিচু পাওয়া যায় না। আমার ভীষণ মিস করি বাংলাদেশের এই ফলগুলো। তো সময়োপযোগী দাওয়াতের জন্য ফারুক ভাইকে ধন্যবাদ।

আকতার জাহান: ফারুক ভাই তার মেইলে লিখেছেন, "গত ২৪ মে প্রচারিত সবগুলো অনুষ্ঠানই আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানে ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে অনেককিছু জেনে খুব উপকৃত হয়েছি। কারণ আমি একজন ডায়াবেটিক রোগী।"

নাসির মাহমুদ: স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠান থেকে উপকৃত হয়েছেন জেনে ভালো লাগল। আশা করি আবারো লিখবেন।

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, 'আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ'-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে আজ পড়ে শোনানো হবে বাংলাদেশের ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের সমাজকর্মী এ কে এম নাসির উদ্দীনের লেখার কিছু অংশ।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা শ্রোতাদেরকে খুবই উৎসাহিত করে। কারণ বিশ্বের গণমাধ্যমসমূহের মধ্যে রেডিও তেহরান সত্য সংবাদ ও তথ্য-প্রদান করে থাকে। শ্রোতারা সত্য সংবাদ ও তথ্যের জন্য এখন রেডিও তেহরানের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে রেডিও তেহরানের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বজুড়ে। পাক-ভারত উপমহাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে রেডিও তেহরান তার বস্তুনিষ্ঠা সংবাদ তথ্য পরিবেশনায় সারা বিশ্বে বর্তমানে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে এতে কোন সন্দেহ নেই। রেডিও তেহরান অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে অগণিত শ্রোতাদের মনে প্রাণে। কারণ, রেডিও তেহরানই শ্রোতাদের মনকে জয় করে নিয়েছে।"

আশরাফুর রহমান: রেডিও তেহরান সম্পর্কে চমৎকার মূল্যায়নধর্মী লেখাটির জন্য নাসির উদ্দীন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা ও শ্রোতাবান্ধব কর্মসূচি সম্পর্কে সরাসরি মতামত জানব বাংলাদেশের এক সিনিয়র শ্রোতা কাছ থেকে।

Image Caption

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংড়া গ্রাম থেকে হিরামন সেখ পাঠিয়েছে এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "১৮ মে তারিখে রেডিও তেহরান বাংলা থেকে প্রচারিত সকল অনুষ্ঠান আমার খুব ভালো লেগেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হলো- সুন্দর জীবন। সুন্দর জীবন অনুষ্ঠানটির কোনো তুলনা হয় না। এত সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ।"

আকতার জাহান: হিরামন ভাইকে ধন্যবাদ মতামত জানিয়ে নিয়মিত ইমেইল পাঠানোর জন্য।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান আমার অতি প্রিয় একটি বেতার কেন্দ্র। বিশেষ করে, আমি নিয়মিত বাংলা বিভাগের বাংলা অনুষ্ঠান শুনি এবং বাংলা ওয়েবসাইট পার্সটুডে ভিজিট করি। ইরানকে জানার জন্য রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান ও পার্সটুডের প্রতিবেদনগুলোর কোন বিকল্প নেই। আমি আজ ইরানের বন-জঙ্গল সম্পর্কে জানতে চাই। এখন আমার প্রশ্ন হলো: ইরানের মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি? এসব বনভূমির সবটাই কি প্রাকৃতিক? নাকি মানবসৃষ্ট বনভূমিও রয়েছে?"

নাসির মাহমুদ: সাড়ে ১৬ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ ইরানের ৮.৮ শতাংশ বনভূমি। মোট বনভূমির ১২.৪ শতাংশ ঘন বনভূমি, ২৪.২ ভাগ আধা ঘন এবং ৫৬.৬ শতাংশ অল্প ঘন বনভূমি। এছাড়া ৬.৬ ভাগ কৃত্রিম বা মানবসৃষ্ট বনভূমি।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মাথাপিছু ৬০০০ বর্গমিটার বনভূমি থাকা প্রয়োজন। ইরানে রয়েছে ২০০০ বর্গমিটার। অবশ্য এর পেছনে একটি বড় কারণ হলো ইরানের প্রায় ১১ শতাংশ এলাকা মরুময়। তা সত্ত্বেও প্রতিবছরই বনভূমির আয়তন বাড়ছে।   আশরাফুর রহমান: শাহাদত ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো। আশা করি আগামীতের আবারো প্রশ্ন পাঠাবেন।

আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার দক্ষিণ বন্দর গ্রাম থেকে। আর পাঠিয়েছেন কৃষ্ণ কর্মকার কৌশিক।

তিনি লিখেছেন, রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত প্রতিটি অনুষ্ঠান মানসম্মত ও শ্রুতিমধুর যা শ্রবণে মনের ক্লান্তি দূর হয়। এ বেতারটি একটি সুন্দর জীবন ও সমাজ পরিচালনার গাইডলাইন। তেহরান থেকে প্রচারিত জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানের অবদান শীর্ষক অনুষ্ঠানটি খুব ভালো লাগে। আমি নিয়মিত এ অনুষ্ঠানটি শুনে থাকি। এছাড়া স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি অনেক রোগ সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

আকতার জাহান: আমাদের অনুষ্ঠান থেকে উপকৃত হচ্ছেন জেনে আমাদেরও ভালো লাগছে। তো চিঠি লিখার জন্য ভাই কৃষ্ণ কর্মকার কৌশিক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে কয়েকটি চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করছি:

বাংলাদেশের রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিনোদপুর থেকে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর থেকে এস এম হৃদয় রহমান

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার গোপালপুর থেকে মো. মেহেদি হাসান

ঢাকা থেকে মো. তানজিলুর রহমান

ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে নজরুল ইসলাম

এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বিধান চন্দ্র সান্যাল

নাসির মাহমুদ: ইমেইল পাঠানোর জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের আসর থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের জন্য রয়েছে হাসন রাজার লেখা একটি গান। 'লোকে বলে বলে রে' শিরোনামের জনপ্রিয় গানটির শিল্পী সেলিম চৌধুরী।

আশরাফুর রহমান: তো আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিই প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে ।