নভেম্বর ২৪, ২০২৩ ১৬:৪২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর অনলাইন ভার্সন ও ই পেপারের বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আরও দুই নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি-ইত্তেফাক
  • এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন, পুড়ল টোল প্লাজার বুথও-প্রথম আলো
  • গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু-মানবজমিন
  • ৫৮৬ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি একতরফা নির্বাচন দেশকে আরো সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে-যুগান্তরের শিরোনাম
  • তাজরীন ট্র্যাজেডি: ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সই দিয়ে এক মন্ত্রী বিরক্ত! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাজিরা খাতার সামনে দাঁড়িয়ে অন্য মন্ত্রীরা কে কী বললেন?-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • চুরির পাশে, ‘চোর’দের পক্ষে খোলাখুলি সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর-গণশক্তি
  • ছত্তিশগড়ে বিজেপি ১৫ আসনেও জিতবে না: ভূপেশ বাঘেল-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির চালচিত্র ও আন্দোলন সংঘাত  সম্পর্কিত খবর আজও প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে বিশেষভাবে পরিবেশিত হয়েছে। 

প্র্রথম আলোর খবর, মামলা, গ্রেপ্তার বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,  মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ২০ কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার। সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের  ৬ শতাধিক নেতার মধ্যে গ্রেপ্তার ৮৫ জন। আত্মগোপনে রয়েছেন কমপক্ষে ৩৮৬ জন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে পুলিশি অভিযানের মুখে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে নতুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিরা আত্মগোপনে রয়েছেন।বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, আরেকটি একতরফা নির্বাচন করার জন্য সরকার ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অনেকটা ‘ক্র্যাক ডাউন’ শুরু করেছে। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুরোনো বিভিন্ন মামলায় সাজার রায়ও দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল ঢাকার আদালতে পাঁচটি মামলায় ১৭৯ জন নেতা-কর্মীর সাজা হয়েছে। বিএনপির দাবি, এরই মধ্যে ২৭টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৪১৯ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।তবে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সহিংসতার পর সারা দেশে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা কমেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আর ডেইলি স্টার বাংলার একটি খবরের শিরোনাম এরকম-বিএনপির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার।নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা এসব করছে।’

ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, নিজেদের লাগানো তালা খোলার জন্য বিএনপি মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসে সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ তালা লাগায়নি। যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কি আন্দোলন করবে!

প্রথম আলোর অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদনের শিরোনাম এরকম, বেশি দামে কেনাবেচা

প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম এখনো ১২১ টাকার বেশি। কমেছে রিজার্ভ। বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,  আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বুধবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ডলার।গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও এখনো প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১২১ টাকার বেশি।প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমদানি দায় মেটাতে ডলারের বেশি দাম নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে আমদানি খরচ বাড়ছে, যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে পণ্যমূল্যের দামে। বর্তমানে আমদানিতে ব্যাংকারদের দুই সংগঠনের নির্ধারিত ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেছেন, বর্তমানে ৩৯টি ব্যাংকে ডলারের উদ্বৃত্ত আছে। ঘাটতিতে আছে ২১টি। মানি চেঞ্জারগুলো জানিয়েছে, খোলা বাজারে ১১৩ থেকে ১১৭ টাকায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে।

৫৮৬ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

একতরফা নির্বাচন দেশকে আরো সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশকে আরো সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে মনে করেন দেশের ৫৮৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

তারা অবিলম্বে একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দল নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও সংলাপের মাধ্যমে নতুন তফসিল দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। 

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত হচ্ছে মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ দেশের ৩৬টি রাজনৈতিক দল মানুষের এই ভোটের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত না করে আরেকটি ২০১৪ এবং ২০১৮ মার্কা নির্বাচনের আয়োজন করার পায়তারা চালাচ্ছে । এর পরিণতি শুভ কর নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন মানুষের জীবনে প্রতি পাঁচ বছর পর পর আসে সেটাকে উৎসবমুখর করে তোলার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার বিরোধীদল বিএনপিসহ আন্দোলনকারী দলগুলোর সভা সমাবেশ করার সমস্ত অধিকার ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে কেবলমাত্র তাদের নিজেদের শিবিরের এবং পছন্দের দলগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করছে। একটি দলের অফিসের সামনে উৎসব মুখর পরিবেশ আর একটি দলের অফিসে ঝুলছে তালা, পুলিশের সতর্ক পাহারার কারণে সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না কোন নেতাকর্মী।

ইতিমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকের বাড়িতে প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হানা দিচ্ছে গ্রেফতার করার জন্য। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে গোটা দেশ আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখন নতুন কৌশল হিসেবে জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে পারে বিএনপির এমন সব সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ঢালাও সাজা দেওয়া হচ্ছে আদালতকে ব্যবহার করে।

বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যে পথে হাঁটছে তাতে জনমনে এই ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে যে, দেশে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এর পরিণতি কখনোই দেশের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন না এই বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। তারা সরকারকে এই পথ পরিহার করে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড.মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর ড. আফম ইউসুফ হায়দার, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, প্রফেসর আহমেদ কামাল, অধ্যাপক নুরুল আমিন, প্রফেসর ড. তাজমেরি এসএ ইসলাম, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, প্রফেসর ডা: সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, সাংবাদিক ড. রেজোয়ান হোসেন সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রফেসর ড.আবদুল লতিফ মাসুম, প্রফেসর ড. খলিলুর রহমান, প্রফেসর ডা. গাজী আবদুল হক, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিয়া, সাংবাদিক এম এ আজিজ , সাংবাদিক এলাহী নেওয়াজ খান, সাংবাদিক মুন্সী আবদুল মান্নান, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক এম. আবদুল্লাহ, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবদুর রশিদ সরকার, সাবেক সচিব বিজন কান্তি সরকার, সাবেক সচিব মুহম্মদ জকরিয়া, প্রফেসর ডা: আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. একেএম আজিজুল হক,  প্রফেসর ডা: হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, ডা: সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিশ সিমকী, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন উজ্জল, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি প্রমুখ।

তাজরীন ট্র্যাজেডি: ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর-ডেইলি স্টার বাংলা

সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন পোশাককর্মী প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন অন্তত দুই শতাধিক।তাজরীন ট্র্যাজেডির ১১ বছর উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে কারখানাটির সামনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির ১১ বছরেও এখন পর্যন্ত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি, শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হয়নি, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাজরীন ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ারসহ দোষীদের বিচারকার্য শেষ করা হয়নি। মামলা শুধু সাক্ষ্যগ্রহণেই আটকে আছে।বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, '২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার ১১ বছরে এখনো দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। সরকার বিচার করতে চায় না। দোষীরা জামিন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ব্যবসা করছে। ভবন মালিক দেলোয়ার সরকার দলীয় রাজনীতি করছে।'

'দেশের গার্মেন্টস সেক্টরের এত বড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ১১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও শ্রমিকরা এখনো উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার পেল না। শ্রমিকদের দাবিগুলো এখনো পূরণ হলো না', বলেন তিনি।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? রাজস্থান ভোটের আগের দিন পর্যন্ত দ্বন্দ্ব কংগ্রেসে-সংবাদ প্রতিদিন

রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে মুখ‌্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট। রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে তিনিই মুখ‌্যমন্ত্রী হচ্ছেন কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বরাবর হাইকম্যান্ড যা চেয়েছে আমার ভূমিকা তেমনটাই হয়েছে। আমি কখনওই নিজের ভূমিকা ঠিক করি না। হাইকম্যান্ড আমাকে যে ভূমিকা দেবে, তাই আমি পালন করবো।” শনিবার রাজস্থানে ভোট। ২০০ আসনে এক দফাতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। নির্বাচনে জিতে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরলে গেহলটকেই আবার মুখ্যমন্ত্রী করা হবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে মরুরাজ্যে।এদিকে, ভোটের মুখে ঘোরতর সমস‌্যার মুখে বিজেপি। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের। ধর্মতলায় বিজেপির সভায় অনুমতি দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সভায় উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

চুরির পাশে, ‘চোর’দের পক্ষে খোলাখুলি সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর-গণশক্তি পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ‘‘আপনারা হয়তো ৫ টাকা নিয়েছেন। ওরা অনেক বেশি নেয়। আপনার থেকে বড় চোর ওরা! তাই সাবধানে থাকুন।’’ দলের নেতাদের বৃহস্পতিবার এভাবেই সতর্ক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।

তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও নানা পর্যায়ের নেতাদের সভা ছিল এদিন, নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ডাকা এই সভায় দলের নেতাদের ‘চোর’ ধরে নিয়েই দলনেত্রীর এভাবে সাবধান করার অর্থ— আপাতত তিনি চুরি না করতে বলছেন কিংবা আঁটঘাট বেঁধে চুরি করতে বলছেন।

সই দিয়ে এক মন্ত্রী বিরক্ত! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাজিরা খাতার সামনে দাঁড়িয়ে অন্য মন্ত্রীরা কে কী বললেন?-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, বিধানসভা অধিবেশনে মন্ত্রীদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনতে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হল বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে রাখা ছিল হাজিরা খাতা। সেই খাতায় সই করে, সময় লিখে অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীদের জন্য চালু হওয়া নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল মন্ত্রীদের মধ্যে। কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, এই নিয়ম তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। আবার কেউ বললেন, খাতায় সময় লিখে, সই করে অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে ভাল লাগছে। পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে এই সই নিয়ে রসিকতাও শোনা গেল শুক্রবার।

আমরা স্কুলের বাচ্চা নাকি! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাজিরা খাতায় সই করেও প্রকাশ্যেই দ্বিমত পোষণ মন্ত্রী ফিরহাদের

সময় লিখে সই করে অধিবেশনে ঢোকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কি স্কুলে পড়ি নাকি! পার্টি বলেছে, তাই করলাম (সই)। কিন্তু এটার সঙ্গে আমি সহমত নই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নিজেদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা তো স্কুলের বাচ্চা নই যে সই করতে হবে।’’ তাঁর পাশে দাঁড়ানো রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও বলেন, “১১ বছর ধরে বিধানসভায় রয়েছি। এক দিনও কামাই করিনি।’’ যদিও এই নতুন নিয়ম নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।আবার মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘সই করলাম, সময় লিখলাম। বেশ ভালই লাগছে।’’ দেখা যায় পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে লাইন দিয়ে সই করছেন মন্ত্রী সুজিত বসু, স্বপন দেবনাথ, বিরবাহা হাঁসদা, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, বেচারাম মান্না, উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখেরা। এর মধ্যেই এক জন ব্রাত্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘‘প্রক্সি সই করা যাবে নাকি?’’ সেই কথা শুনে হেসে ফেলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৪

ট্যাগ