গাজা যুদ্ধের ১০০ দিন!
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ৩০ দেশে বিক্ষোভ
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৪ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- আমেরিকার লজ্জা নেই, কখন কাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে ঠিক নেই-মানবজমিন
- নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করলো সরকার-ইত্তেফাক
- গাজায় হামলার ১০০ দিন: যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ৩০ দেশে বিক্ষোভ- প্রথম আলো
- গাজা যুদ্ধের ১০০ দিন: নিহত ফিলিস্তিনি ২৩,৭০৮, ইসরায়েলি ১,৩০০-ডেইলি স্টার বাংলাচাপে থাকবেন চার
- মন্ত্রী-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- বিভাজনের মণিপুর থেকে রবিবার রাহুলের ন্যায় যাত্রা- আনন্দবাজার পত্রিকা
- লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে আসনরফা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে-সংবাদ প্রতিদিন
- অযোধ্যায় ধর্মের নামে রাজনীতি চলছে, তাই বিরোধীতা-ইয়েচুরি-গণশক্তি
- ৫৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করলেন মিলিন্দ দেওরা-আজকাল
- আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই: ভারতকে মুইজ্জু -এনডিটিভি
শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি।
গাজায় ১০০ দিনের যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের রাজনীতির খবরই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশিত হয়েছে দৈনিকগুলো।
আমেরিকার লজ্জা নেই, কখন কাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে ঠিক নেই-মানবজমিনসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত এ খবরে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকান গোয়েন্দাদের সাক্ষীতেই তারেক জিয়ার সাজা হয়েছে। তবে এদের লজ্জা নেই। এরা একজনকে এমন করবে, আবার কখন কাকে পছন্দ করে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তার ঠিক নেই। বিএনপি’র যেহেতু কোনো নেতা নেই তারা ইলেকশন করবে না। কিন্তু ইলেকশন বানচাল করতে চেয়েছে। গতকাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চক্রান্ত আছে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। আর একটি মুসলিম দেশে পাঁচ-পাঁচ বারের মতো একজন নারী প্রধানমন্ত্রী, সেটাও অনেকের পছন্দ না।
আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটা এ রকম যে আমাদের দেশটার ওপর অনেকের নজর আছে। কাজেই এখানে বসে কেউ অন্য দেশের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, এখান থেকে অন্য দেশে অ্যাটাক করবে সেটা তো আমি মেনে নেবো না। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমরা স্বাধীনভাবে চলবো। দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু আমাদের জনগণ আছে, জনগণই আমাদের বড় শক্তি। তিনি বলেন, একটা চক্রান্ত ছিল যে, আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তাদের হুকুমের দাস এমন কাউকে বসাবে এবং এ দেশটাকে নিয়ে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের জনগণ এটার জবাব দিয়েছে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন- এ শিরোনামে মানবজমিনের খবরে বলা হয়েছে, পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া শেখ হাসিনার জন্য এক ঐতিহাসিক কৃতীত্ব। কিন্তু নির্বাচনে বিরোধী দল যোগ না দেয়ায় তার বিপরীতে যারা জিতেছেন তারা সবাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী। তবে তারা কোনো না কোনোভাবে সবাই আওয়ামী লীগের। নির্বাচনে শাসক আওয়ামী লীগ ও দলের স্বতন্ত্র গোষ্ঠী অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও এখানেই বিঁধে আছে তীক্ষ্ণ ও অমোঘ প্রশ্নবাণ। এসব প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব শেখ হাসিনার জন্য। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘তবু প্রশ্ন’ শিরোনামে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, তাঁর এই নতুন শাসনপর্বের সূচনায় ভারত থেকে শুরু করে বহু দেশ থেকে ভেসে আসছে উষ্ণ অভিনন্দন। এই উষ্ণতা প্রত্যাশিত। তাঁর এই নতুন শাসনপর্বের সূচনায় ভারত থেকে শুরু করে বহু দেশ থেকে ভেসে আসছে উষ্ণ অভিনন্দন। এই উষ্ণতা প্রত্যাশিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকার সঙ্গে দিল্লির নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে উত্তম বোঝাপড়া আগামী পাঁচ বছর অক্ষুন্ন থাকবে, তাঁর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে এই আশাই প্রজ্বলিত রইল- এ এক সুসংবাদ।তবে সবটুকুই সুসংবাদ নয়।বিরোধীহীন পরিস্থিতিতে একই দলের ছত্রছায়ায় সংঘটিত ভোটের এই সাফল্য নেত্রী বিষয়ে যা-ই বলুক, গণতন্ত্র নিয়ে কী বলে- দেশের তিপ্পান্ন বছরে এসে তাতে আজ গুরুতর প্রশ্নচিহ্ন।
নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করলো সরকার-ইত্তেফাকের এ খবরে লেখা হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক নাগরিক সংগঠনের বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। বিবৃতিকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক দাবি করে বলা হয়, ওই ৬ সংগঠনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি ঢাবির শিক্ষার্থীদের-ইত্তেফাকসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে, রাজধানীর মগবাজারে মাথায় কংক্রিটের ব্লক পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দীপান্বিতা বিশ্বাস নিহতের ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবির ২০০৫-০৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ব্রিজ-আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি করেন।এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রসঙ্গে রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, তার মাথায় কংক্রিটের ব্লক পড়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে ব্লকটি কোথা থেকে পড়েছে না কি কেউ ছুঁড়ে মেরেছে-এ বিষয়ে কোনো ভিডিও ফুটেজ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
দীপান্বিতার বন্ধু ও সহকর্মী রাসেল মাহমুদ বলেন, এটি শুধুই মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড সেটা আমরা জানি না। বলা হয়েছে উড়াল সড়কের উপর থেকে না কি একটি ইট পড়ে তিনি মারা যান। আমরা চাই না রাস্তাঘাটে ডাল ভেঙে, ইট পড়ে মানুষের অকাল মৃত্যু হোক। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। প্রয়োজন হলে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষ বিচারের জন্য।উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় মগবাজারে নিউ সার্কুলার রোডে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাথায় কংক্রিটের ব্লক পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
দৈনিকগুলোর রাজনীতি, অর্থনীতি, বাজারদরসহ ভিন্ন ভিন্ন কিছু খবর তুলে ধরছি। প্রথম আলোর খবর- বাজার পরিস্থিতি: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কঠিন। দেশে আলুর মতো বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম এখন চড়া। মূল্যস্ফীতিও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থবারের মেয়াদ শুরু হয়েছে। কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ বলেছেন, আমাদের ভোট হয়েছে রাত তিনটায়। জাতীয় পার্টিতে বিষাদের যন্ত্রণা, ফের ভাঙছে জাতীয় পার্টি- মানবজমিন। মুফতি রেজাউল করিম বললেন, ডামি মন্ত্রিসভা দিয়ে জনগণের দুঃখ লাঘব সম্ভব নয়। রব বললেন, ডামি মন্ত্রিসভা বাতিল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর অনেকের কু দৃষ্টি রয়েছে। রিজভী বললেন, নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে প্রতিদিন বৈঠক হচ্ছে। আওয়ামী লীগের যৌথসভা ডেকেছেন শেখ হাসিনা।
গাজায় হামলার ১০০ দিন: যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ৩০ দেশে বিক্ষোভ-প্রথম আলো/ইত্তেফাক
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০ দেশে গতকাল শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিন-সমর্থক বিক্ষোভ করেছেন। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ডাক দেওয়া ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন’-এর (বৈশ্বিক বিক্ষোভের দিন) অংশ হিসেবে রাজপথে নেমে তাঁরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানান।
গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি সংগঠনের জোটের পক্ষ থেকে গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশনের ডাক দেওয়া হয়। এতে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
গতকাল শনিবার ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ৯৯তম দিন। এদিন এ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। আজ রোববার এ যুদ্ধ ১০০তম দিনে গড়াল।
ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীদের অনেকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই ছিলেন তরুণ। তাঁদের অনেকেই ঐতিহ্যবাহী কেফিয়াহ পরেছিলেন।
শনিবার ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজন স্লোগান দেন—‘এখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করুন’, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন’, ‘গাজায় যুদ্ধের অবসান করুন’।
হোয়াইট হাউস থেকে সামান্য দূরে স্থাপিত একটি মঞ্চে কয়েকজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন। গাজায় কীভাবে তাঁদের বন্ধু ও স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে, তার বর্ণনা দিয়েছেন। এই ফিলিস্তিনিদের মূল নিবাস গাজা উপত্যকায়, তবে এখন তাঁরা মিশিগান, টেক্সাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে থাকেন।
ইসরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
বক্তব্য দেওয়া ফিলিস্তিনিদের একজন সমবেত মানুষদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দেওয়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সহজেই এসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড থামাতে পারেন।’
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে শনিবার লন্ডনেও বিক্ষোভ হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে লন্ডনে সপ্তমবারের মতো এ বিক্ষোভ হলো। লন্ডনের বিক্ষোভে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার সেখানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
২৭ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী মালিহা আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনিদের দেখাতে চাই যে আমরা তাদের সঙ্গে আছি। তারা যেন আমাদের সরকারের বিপক্ষে আওয়াজ তুলতে পারে। ইসরায়েল যা করছে, তা চালিয়ে যেতে দিতে তারা খুব বড় ভূমিকা পালন করছে। যা হচ্ছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিক্ষোভে মালিহার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন।
দিপেশ কোথার নামের ৩৭ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বিশ্ব কিছুই করছে না—এটা এভাবে বসে বসে দেখতে থাকাটা অত্যন্ত হতাশার। এ কারণে আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আমাদের অসন্তোষ জানাতে এখানে এসেছি।’
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে ‘আল–আকসা ফ্লাড’ অভিযান চালায়। এতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে ১ হাজার ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর ডেইলি স্টার বাংলা লিখেছে, বিশ্লেষকরা এই যুদ্ধকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই: ভারতকে মুইজ্জু -এনডিটিভির এ খবরে লেখা হয়েছে,
আমাদের দেশ ছোট হতে পারে, তবে ‘আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই’— ভারতকে উদ্দেশে করে এমন মন্তব্য করেছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু।শনিবার চীনে পাঁচ দিনের উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেই এমন মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় নাম উল্লেখ না করে ভারতের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী বিতর্কিত পোস্ট করেন। সেটি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক বিবাদ। বহু ভারতীয় মালদ্বীপে ভ্রমণ করা বাতিল করছেন। এসব ঘটনার মধ্যেই মুইজ্জু এমন মন্তব্য করলেন।
সংবাদ প্রতিদিনের খবর-লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে আসনরফা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। রাজ্যে ১০ আসনে লড়তে চায় হাত শিবির। উলটো দিকে তাদের ২টির বেশি লোকসভা কেন্দ্র ছাড়তে রাজি নয় জোড়াফুল শিবির। এর মাঝেই অসমের কাছাড় হিল কাউন্সিল নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট শতাংশের হিসেব প্রকাশ্যে এনে কংগ্রেসকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বাংলায় আসন নিয়ে এতো আশা আকাঙক্ষা কথা বলেও নিজের গড়েই জমি আগলে রাখতে ব্যর্থ কংগ্রেস।”
সংবাদ প্রতিদিনের অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, মোদির ‘অন্যায় কালে’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিতর্কের মণিপুর থেকেই রবিবার রাহুলের ন্যায় যাত্রা শুরু। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দীর্ঘ যাত্রায় ১৫ রাজ্যের ১০০টি লোকসভা এলাকা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করবেন কংগ্রেস (Congress) নেতা। বিগত সময়ে ‘ভারত জোড়ো যাত্রাটর সাফল্যের কথা মাথায় রেখে ‘ন্যায় যাত্রা’র পরিকল্পনা করেছে দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল। সংবাদ প্রতিদিনের শিরোনাম।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৪