ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ ১৭:৩৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • জার্মানির পথে প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক
  • একুশে পদক পাওয়ায় বাড়িতে মানুষের ভিড়, জিয়াউল হক ব্যস্ত দই বিক্রিতে-প্রথম আলো
  • শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে: কারামুক্ত হয়ে মির্জা ফখরুল-ডেইলি স্টার বাংলা
  • কারামুক্ত ফখরুল-খসরু-মানবজমিন
  • আমাদের প্রতিষ্ঠান জবর দখল হয়েছে, ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি: ড. ইউনূস-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • দক্ষিণে ফের ধাক্কা, কী পরিকল্পনা বিজেপির?-সংবাদ প্রতিদিন
  • মণিপুরে নতুন করে হিংসায় হত ১-গণশক্তি
  • দিল্লির কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিলেন-মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা মিমির-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. গ্রামীণ টেলিকম ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূস: দেশের মানুষের কাছে বিচারের ভার দিলাম। এটা মানবজমিনের শিরোনাম। কী বলবেন আপনি?

২. দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি হামলা জোরদার: ইসরাইলকে নিশ্চিত জবাব দেয়ার অঙ্গীকার হিজবুল্লাহর। তাহলে কী হিজবুল্লাহর সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

প্রথম আলোসহ প্রায় সব দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে, কারাগার থেকে বেরিয়েই ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নেতা-কর্মীদের হতাশার কিছু নেই।

গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর জামিনে আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুক্তি পান এই দুই নেতা।

আমাদের প্রতিষ্ঠান জবর দখল হয়েছে, ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি: ড. ইউনূস-যুগান্তর

গ্রামীণ টেলিকমসহ নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জবর দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক তাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবর দখল করে নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের মতো করে চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ভবনে অবস্থিত আটটি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে আজকের সংবাদ সম্মেলনে জানান অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, ‘ওই দিন থেকে তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছে। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন আদালত আছে কিসের জন্য। তারা আদালতে যেতে চায় না। আমরা জীবনে বহু দুর্যোগ দেখেছি। এমন দুর্যোগ আর কখনো দেখিনি।’

ড. ইউনূস বলেন, এভাবে দেশ চলছে কীভাবে। আমাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতে শরণাপন্ন  হবেন বলেও জানান তিনি। এর আগে সকালে ড. ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনের কথা শুনে মিরপুরে ঝাড়ু মিছিল বের হয়।

আইন মেনেই এসব প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় হয়নি। যা হয়েছে আইন মেনে হয়েছে বলে জানান তিনি। 

‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছি’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ ভবনটা আমরা করেছি, এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ চার দিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে। আর আমরাই বাইরের লোক হয়ে গেলাম। আমাদের সব অফিসের প্রধান কার্যালয় এটি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এখান থেকে কাজ করা হয়।’

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, উত্তর ভারতে গড়গড়িয়ে চলছে বিজেপির বিজয়রথ। কিন্তু দক্ষিণে ঠিক এর উলটো ছবি। দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে এখনও সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এবার জোট রাজনীতিতেও ধাক্কা খেল বিজেপি। তামিলনাড়ুতে বিজেপির দীর্ঘদিনের ‘বন্ধু’ এআইএডিএমকে সাফ জানিয়ে দিল, তারা বিজেপির সঙ্গে আর জোট করবে না। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে এআইএডিএমকে।

রায়বরেলির মানুষকে আবেগঘন খোলা চিঠি সোনিয়ার-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করবেন না সোনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার এক আবেগপ্রবণ বার্তায় ৭৭ বছরের কংগ্রেস (Congress) নেত্রী জানিয়ে দিলেন একথা। বুধবার রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এবার উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিলেন সোনিয়া। সেখানে ‘পরিবারে’র পাশের থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

সেই বার্তায় কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছেন, ”আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আজ আমি যা হতে পেরেছি তা আপনাদের জন্য। এবং আমি চিরকাল আপনাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে নিজের সেরাটা দিয়েছি। এবার আমার শরীর ও বয়সজনিত কারণেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর লড়া হবে না আমার।কিন্তু আমার হৃদয় ও আত্মা সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে। আমি জানি ভবিষ্যতেও আপনারা আমার ও আমার পরিবারের পাশেই থাকবেন, ঠিক যেমন থেকেছেন অতীতে।”

আনন্দবাজার প্রত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তিনি সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেই তা ঘোষণা করেন। মিমি জানিয়েছেন, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না।্র

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৫

ট্যাগ