রংধনু আসর : শিশুদের রমজান ভাবনা
রংধনু আসরের কাছের ও দূরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? তোমরা জেনে খুশী হবে যে, আরবী ১২ মাসের মধ্যে একটি মাসকে রাসূলেখোদা (সা.) তাঁর নিজের মাস বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নবীজি বলেছেন, রজব মাস হচ্ছে আল্লাহর মাস, শাবান মাস হচ্ছে আমার মাস আর রমজান মাস হচ্ছে আমার উম্মতের মাস। মূলত পবিত্র রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস বলে শাবান মাসকে এতো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এ মাস এলেই রাসূল (সা.) বেশী বেশী এ দোয়া পড়তেন- ‘হে আল্লাহ! এ মাসে আমাদের বিশেষ বরকত দান করো এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও।'
রমজানের মর্যাদা রক্ষা এবং হক আদায়ের জন্য রাসূল (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলকে (সা.) জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার কাছে রমজানের পর কোন্ মাসের রোজা উত্তম? তিনি বললেন, রমজানের সম্মানে শাবান মাসের রোজা উত্তম।
মূলত রমজানের প্রস্তুতি, শবেবরাত ইত্যাদি কারণে শাবানের আলাদা মর্যাদা রয়েছে এবং এ কারণে রাসূল (সা.) প্রায় গোটা শাবান মাসে নফল রোজা রাখতেন এবং অন্যদেরও বিশেষভাবে আমল করার উৎসাহ দিতেন। এছাড়া এ মাসে নবী বংশের কয়েকজন মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করায় এর গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসের ৩ তারিখে ইমাম হুসাইন (আ.), ৫ তারিখে ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.), ৬ তারিখে হযরত যেইনাব (সা. আ.) এবং ১৫ তারিখে ইমাম মাহাদী (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম মাহাদী (আ.) এর জন্মদিনকে 'শবে বরাত' বলা হয়। বিশ্বের সবদেশের মুসলমানরা এ দিনটিকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে।
বন্ধুরা, শাবান মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এক সপ্তাহ পর রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আবারো হাজির হবে পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর সৃষ্টির জন্য আসমান থেকে অবিরল ধারায় রহমত-বরকত নামতে থাকে। এ মাসটিতে রয়েছে মুমিনদের জন্য রোজার মতো মহানিয়ামতপূর্ণ ইবাদত।
বন্ধুরা, গুরুত্বপূর্ণ এ মাসটির আগমন উপলক্ষে আমরা একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করেছি। এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাবাসসুম করিম, ঢাকার বন্ধু কাজী রাইয়্যান বিন হাসান ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বন্ধু আফিয়া আনতারা। অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছেন আশরাফুর রহমান। অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য উপরের ছবিতে ক্লিক করুন:
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৮