শ্রোতাদের মতামত
'আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রচারমাধ্যম রেডিও তেহরান আমার প্রাণের স্পন্দন'
গাজী আবদুর রশীদ: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। আজকের আসর উপস্থাপনায় রয়েছি আমি গাজী আবদুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।
আশরাফুর রহমান: বন্ধুরা, আসরের শুরুতেই আমি অনুষ্ঠান সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিতে চাই। যদিও ঘোষণাটি আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে।
আকতার জাহান: তাহলে এমন ঘোষণা দেওয়ার দরকার কী- আশরাফ ভাই?
গাজী আবদুর রশীদ: দরকার নিশ্চয়ই আছে। কারণ চলতি ফার্সি বছরে এটা আমাদের শেষ প্রিয়জন। নতুন বছরের অনুষ্ঠানাদি সম্পর্কে ঘোষণা থাকা স্বাভাবিক।
আশরাফুর রহমান: শুধু চলতি বছরের শেষ প্রিয়জন নয়, আবদুর রশীদ ভাই। সম্ভবত রেডিও তেহরানের ইতিহাসে এটাই শেষ চিঠিপত্রের আসর।
আকতার জাহান: আসলে নতুন বছরে আমাদের অনুষ্ঠানমালায় বেশকিছু পরিবর্তন আসছে। প্রিয়জন, রংধনু, কথাবার্তাসহ বেশকিছু অনুষ্ঠান বাদ দিতে হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে লাইভ অনুষ্ঠানের সময়সীমাও।
গাজী আবদুর রশীদ: সত্যি বলতে কী, আমরা সংবাদভিত্তিক ও গবেষণামূলক প্রতিবেদন এবং অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিচ্ছি। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি তৎপরতা বাড়াচ্ছি সোস্যাল মিডিয়ায়। সে কারণে পুরোনো বেশকিছু অনুষ্ঠান বাদ দিতে হচ্ছে।
আশরাফুর রহমান: প্রিয়জন বাদ গেলেও শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। শ্রোতারা আগের মতোই ইমেইল পাঠাতে পারবেন- ফেসবুক, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের প্লাটফর্মগুলো মন্তব্য করতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করব তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলোর জবাব দিতে।
আকতার জাহান: তার মানে শ্রোতাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরও দ্রুত ও আধুনিক হচ্ছে। আশা করি শ্রোতাবন্ধুরা, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদেরকে খাপখাইয়ে নেবেন এবং আমাদের সঙ্গে আগের মতোই যোগাযোগ রাখবেন।
গাজী আবদুর রশীদ: তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।
আসরের প্রথম মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার কিশামত নগরবন্দ থেকে। আর পাঠিয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব, রংপুর বিভাগীয় শাখার সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম।
তিনি লিখেছেন, "আমি রেডিও তেহরানের একজন নতুন শ্রোতা। এটি আমার প্রথম ইমেল। সত্যি বলতে কী, রেডিও তেহরান সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আমার বন্ধু মোঃ সবুজ মিয়া এবং কুড়িগ্রামের আব্দুল কুদ্দুস স্যারের অনুপ্ররণায় গত বছরের শেষের দিকে রেডিও তেহরান শুনতে শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন রেডিও তেহরানের নিয়মিত একজন শ্রোতা। রাত ৮টা বাজলেই মনের ভেতর যেন একটা এলার্ম বেজে ওঠে জানিয়ে দেয়- আর কাজ নয়, রেডিও তেহরান শুনতে হবে। তবে খুব মন খারাপ হয় যেদিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফেসবুকে লাইভ আসে না।"
গাজী আবদুর রশীদ: ভাই শরিফুল ইসলাম, নবীন শ্রোতা ও পত্রলেখক হিসেবে আপনাকে প্রিয়জনে স্বাগত জানাচ্ছি। আর আপনার প্রতি একটা পরামর্শ হলো- যদি কোনোদিন ফেসবুকে অনুষ্ঠান শুনতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে শোনার চেষ্টা করবেন। সেইসাথে শর্টওয়েভেও অনুষ্ঠান শোনার সুযোগ রয়েছে। তো প্রথম চিঠির জন্য শরিফুল ইসলাম ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশরাফুর রহমান: আসরের পরের মেইলটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বারুইপাড়া থেকে। আর পাঠিয়েছেন এস এম নাজিম উদ্দিন।
রেডিও তেহরান বাংলা পরিবারের সকলের প্রতি ঋতুরাজ বসন্তের একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান ও পার্সটুডে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের সামরিক শক্তির র্যাঙ্কিংয়ে ইরান ১৪তম স্থান অধিকার করেছে। আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বের হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা, বিরোধিতা, গুপ্ত হত্যা এসব কিছু উপেক্ষা করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান নিজস্ব দক্ষতায় যেসব সামরিক সক্ষমতা অর্জন করেছে অনেকের কাছেই বিস্ময়ের। ইরানের এই সাফল্যে পশ্চিমা বিশ্বের বুকে কাঁপন ধরাবে সন্দেহ নেই। সামরিক শক্তিতে ইরানের এই উত্থানকে আমরা মোবারকবাদ জানাই।"
আকতার জাহান: সামরিক ক্ষেত্রে ইরানের অভূতপূর্ব সাফল্য সম্পর্কে লেখাটির জন্য নাজিমউদ্দিন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আবারো লিখবেন।
বাংলাদেশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে মোঃ আতাউর রহমান পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।
তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান দিন দিন তার গুরুত্ব তুলে ধরছে বিশ্ববাসীর কাছে।
তবে আমি চিন্তিত ফিলিস্তিনিদের জন্য। আমি বিস্মিত হচ্ছি বিশ্বনেতাদের নিরবতা দেখে। তারা কেন নির্যাতিত আর অত্যাচারিতদের সাহায্য করছে না? শুধু কি ইরানই মানবতার প্রতীক? আল্লাহর কাছে মোদের প্রার্থনা- ইরান আরও শক্তিশালী হোক। ইরান হোক দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। ইরান হোক মানবিক সভ্যতার উড্ডীন ঝাণ্ডাধারী শক্তিশালী রাষ্ট্র।"
গাজী আবদুর রশীদ: ভাই আতাউর রহমান, আপনার প্রার্থনা কবুল হোক আর ইরানের পাশাপাশি অন্যান্য মুসলিম ও মানবতাবাদী রাষ্ট্রগুলো ফিলিস্তিনের পাশের দাঁড়াক- আমাদের প্রত্যাশা তাই।
আশরাফুর রহমান: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থেকে দেবাশীষ গোপ পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি। তিনি লিখেছেন, "আমার কাছে রেডিও তেহরান বাংলা অদ্বিতীয় স্বপ্নসম বেতারকেন্দ্র যার গুণগান শুনে নিজেকে করে তুলেছি সমৃদ্ধ ও উন্নত। ১লা মার্চ সুঅভ্যাস গড়ে তোলার কৌশল নিয়ে অনুষ্ঠান সুন্দর জীবন শুনলাম। তাতে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার হিন্ডসাইড বায়াস নিয়ে বিস্তারিত জেনে উপকৃত হলাম। কোনো কিছু কী হতে পারে তা নিয়ে আগে থেকে চিন্তা করা ঠিক নয়। হিন্ডসাইড এড়ানোর উপায় সম্বন্ধেও জানলাম। একটা অজানা বিষয় জানতে পেরে ভালো লাগল।"
আকতার জাহান: সুন্দর জীবন অনুষ্ঠানে হিন্ডসাইড বায়াস সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন জেনে ভালো লাগল। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।
আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার খাদিমপুর বাজার থেকে। আর পাঠিয়েছেন শ্রোতাভাই মোখলেছুর রহমান।
৪ মার্চ প্রচারিত প্রিয়জন সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, "ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর চমৎকার অর্থবহ বাণী; আমার একটি মেইলসহ ভারত বাংলাদেশের গুণী শ্রোতাবন্ধুদের সুন্দর সুন্দর ১০টি ই-মেইলের জবাব; আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ রংপুর বিভাগের সভাপতি জনাব ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবের অডিও বার্তা এবং মিল্টন খোন্দকারের লিখা ও সুরে শিল্পী আসিফ আকবরের চমৎকার কণ্ঠে গাওয়া 'সবুজের বুকে লাল, সে তো উড়বেই চিরকাল' শিরোনামের দেশাত্মবোধক মনোগ্রাহী গানটি শুনে আমি দারুণভাবে মুগ্ধ হয়েছি। তথ্যবহুল, শিক্ষণীয়, জ্ঞানবর্ধক, সময়োপযোগী ও মন মাতানো অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।"
গাজী আবদুর রশীদ: চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশের জন্য মোখলেছুর রহমান ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার হটুদেওয়ান নাগেরপাড়া থেকে তপতী সরকার পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।
তিনি লিখেছেন, "বেশ কিছুদিন ধরে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনছি। আজও নিয়মিত তা অব্যাহত আছে। একদিন অনুষ্ঠান না শুনলে মনে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শোনা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সেজন্য পারতপক্ষে অনুষ্ঠান শোনা বন্ধ করি না।
তেহরান বেতারের অনুষ্ঠান শোনার মজাই আলাদা। সব বয়সের, বিভিন্ন পেশার শ্রোতাদের জন্য অনুষ্ঠান প্রচার হয়। শিশু-কিশোর, ছাত্র-শিক্ষক, তরুণ-যুবা, চাকরিজীবী, রাজনীতিবিদ, ধর্মপ্রাণ মুসলমান সকলেই এখানে পাবেন তার আকাঙ্ক্ষিত রসদ।"
এরপর এই শ্রোতাবোন আমাদের কয়েকটি প্রাত্যহিক ও সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে তার ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
আশরাফুর রহমান: সিনিয়র শ্রোতা তপতী সরকার ইদানীং বেশি নিয়মিতই লিখছেন। তার লেখার মানও বেশ ভালো। তো আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানানোর জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের রংপুর নগরীর পূর্ব গোয়ালু থেকে। আর লিখেছেন ডক্টর মো: মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ-এর রংপুর বিভাগের সভাপতি।
তিনি লিখেছেন, "বর্তমান বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রচারমাধ্যম রেডিও তেহরান আমার প্রাণের স্পন্দন। রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা প্রমাণ করে এটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রোতা অনেক কিছু জানতে, বুঝতে ও জ্ঞানলাভ করতে পারে, নিজেকে সংশোধন করতে পারে, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে এবং নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়াতে ও সমৃদ্ধ করতে পারে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ায়ে চলতেও পারে। সবমিলিয়ে রেডিও তেহরান একটি অতুলনীয় প্রচার মাধ্যম।"
আকতার জাহান: রেডিও তেহরান সম্পর্কে চমৎকার মূল্যায়নের জন্য ভাই মোস্তাফিজুর রহমান ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।
তো শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা কথা বলব তেহরান প্রবাসী এক বাংলাদেশির সঙ্গে। তিনি এই মুহূর্তে আমাদের স্টুডিওতে আছেন। প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।
আশরাফুর রহমান: আসরের এবারের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের পাবনা জেলার চাটমোহর থানার পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাব থেকে। আর পাঠিয়েছেন ডা. এস এম এ হান্নান।
তিনি লিখেছেন, "আমি ও আমার শ্রোতা ক্লাবের সবাই রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানের পুরোনো শ্রোতা। সমগ্র বিশ্বের আন্তর্জাতিক বেতারগুলোর মধ্যে রেডিও তেহরান সর্বশ্রেষ্ঠ। কারণ এ বেতার থেকে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ঐক্য ও সম্প্রতির ভূমিকা রাখে। ইসলামী ইরান আমার প্রিয় দেশ। এ দেশ বিশ্ব মানবতার মুর্তপ্রতিক। রেডিও তেহরানের সকল কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা সাহসকে অভিবাদন জানাই।"
আকতার জাহান: অনেকদিন পর ডা. এস এম এ হান্নান ভাইয়ের চিঠি পেয়ে ভালো লাগল। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত লেখা পাব।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাতিশালা থেকে আশরাফ হোসেন পাঠিয়েছেন আজকের আসরের শেষ মেইলটি।
২ মার্চ তারিখে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "দেশ-বিদেশ নিয়ে এমন সুন্দরভাবে পরিবেশিত বিশ্বসংবাদ রেডিও তেহরানের পক্ষেই সম্ভব। ইসলাম নিয়েও সুন্দর অনুষ্ঠান প্রচার করছে রেডিও তেহরান। স্বাস্থ্য নিয়ে ঘরে বসেই ডাক্তারের পরামর্শ দিচ্ছে এ বেতারটি। বাদ যায় না শিশু-কিশোররাও। এছাড়া, শ্রোতাদের বক্তব্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরে প্রিয়জন অনুষ্ঠানে। এভাবেই রেডিও তেহরান সমাজের কল্যাণকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে চলেছে।"
গাজী আবদুর রশীদ: রেডিও তেহরানের সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে সুন্দর মতামতের জন্য আশরাফ হোসেন ভাই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি আবারো আপনার লেখা পাব।
তো শ্রোতাবন্ধুরা, আমাদের প্রযোজিকা হাত নেড়ে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, আমাদের সর্বশেষ প্রিয়জন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আপনারা ভালো ও সুস্থ থাকবেন এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এ কামনায় গুটিয়ে নিচ্ছি রেডিও তেহরানে সবচেয়ে পুরোনো অনুষ্ঠান প্রিয়জন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২