ইরানের সক্ষমতা স্থিতিশীল রয়ে গেছে: ফরেন পলিসির স্বীকারোক্তি
-
ইরানের সক্ষমতা স্থিতিশীল রয়ে গেছে: ফরেন পলিসির স্বীকারোক্তি
পার্সটুডে-ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি ও মার্কিন আগ্রাসনের পর প্রাপ্ত স্যাটেলাইট চিত্র মূল্যায়ন করে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন লিখেছে: যদিও এই আক্রমণগুলো ক্ষতি করেছে, তবুও তেহরানের সক্ষমতা ধ্বংস করতে পারে নি।
পার্সটুডে আরও জানায় আমেরিকান এই প্রভাবশালী ম্যাগাজিনটি লিখেছে: ইসরাইলি ও আমেরিকান হামলার পর ইরান থেকে প্রাপ্ত স্যাটেলাইট চিত্রগুলো ইঙ্গিত দেয় যে তেহরানের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তাদের ধ্বংসের কোনও লক্ষণ নেই।
এই প্রবন্ধের লেখক স্বীকার করেছেন, আমেরিকান সহায়তায়ও ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সরকারের আক্রমণ দুর্বল ছিল এবং সর্বোচ্চ মাত্র কয়েক মাসের জন্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পিছিয়ে গেছে।
আমেরিকান মিডিয়া আউটলেট সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস দ্বারা মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) এর শ্রেণীবদ্ধ মূল্যায়নের পর্যালোচনা উল্লেখ করে এই বিশ্লেষক বলেছেন: উল্লেখিত দুটি মিডিয়া আউটলেট এই গোপনীয় প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে খুঁজে পেয়েছে যে গত সপ্তাহর হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস বিলম্বিত হয়েছে।
বিশ্লেষণে জোর দেওয়া হয়েছে যে ইরানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ কত এবং মার্কিন হামলায় সেই পরিমাণ ইউরেনিয়াম আসলে ধ্বংস হয়েছে নাকি অজানা স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে-তা নিয়ে এখন অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে, আমেরিকান কর্মকর্তারা লজ্জিত যে তারা জানেন না, এইসব উপাদান কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছে। না জেনে তারা হাস্যকর ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
ফরেন পলিসি বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে "ডোনাল্ড ট্রাম্প" প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই হারিয়ে যাওয়া উপাদানের বিপদকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করছেন।কারণ হিসেবে তারা দাবি করছেন যে ইসরাইলি এবং আমেরিকান সরকার ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ফরেন পলিসি'র বিশ্লেষক, মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন: ফোর্ডোতে সেন্ট্রিফিউজ পুনরায় ইনস্টল করার জন্য ইরানের বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করেছেন এই স্থাপনাটিকে। কারণ, এই ফেডারেল সংস্থার মতে, যদিও বি-২ বোমারু বিমানের আক্রমণে এই ভূগর্ভস্থ স্থাপনার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপরও সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটি অক্ষত রয়েছে।
লেখক এরপর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলনা করেছেন ২০১৫ সালে সম্মত হওয়া যৌথ কর্মপরিকল্পনা (JCPOA) স্বাক্ষরের পরের সময়ের সাথে। ওই সমঝোতার বিরোধিতা করেছিল ইসরাইল এবং আমেরিকার রিপাবলিকানরা।
১৩ জুন শুক্রবার সকালে ইহুদিবাদী ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন করে, তেহরানের বিভিন্ন এলাকাসহ দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা সহ আরও কিছু শহরকে লক্ষ্য করে সামরিক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মী এবং বেসামরিক ব্যক্তি শহীদ হন।
এই আগ্রাসনের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ২২ জুন রোববার সকালে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সরাসরি আক্রমণ করে ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধে কার্যকরভাবে যোগ দেয়।#
পার্সটুডে/এনএম/২৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।