জানুয়ারি ০১, ২০২০ ১৭:৫৩ Asia/Dhaka

পাঠক! আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গত অনুষ্ঠানে আমরা ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনী (রহঃ) এর বাল্যকাল নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম ।

ইমাম খোমেনীর অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল , তিনি ইরানের সার্বিক অবস্থা , ইরানের জনগণের সমস্যা ও পৃথিবীর পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে ভালোভাবেই পরিচিত ছিলেন । এই মহান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ইরানের অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ছিলেন সদা সোচ্চার। তাই তাকে সহ্য করতে হয় অনেক অত্যাচার ও নিপীড়ন। ১৯৬১ সালে ইরানের শাহ সরকার ইসলাম ও রাষ্ট্রবিরোধী আইন প্রণয়ন করে দেশবাসীর সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেন। শাহের উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে ইসলাম থেকে দূরে রাখা এবং দেশকে বহিঃশত্রু র জন্য উন্মুক্ত করা । কিন্তু ইমাম খোমেনী (রহঃ) এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং এর ফলে একবছরের মধ্যে শাহ এই আইন বিলোপ করতে বাধ্য হন। সে সময় ইমাম খোমেনী (রহঃ) তার ভাষণের মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করেন এবং মানুষ বুঝতে পারে শাহ সরকার কিভাবে দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে । এ বিষয়ে মোহাম্মাদ ও রমিনের মধ্যে কী কথা হয়, আজ তা আপনাদের শোনাবো। তবে তার আগে আজকের আসরের কিছু নতুন শব্দ ও সেগুলোর অর্থ জেনে নেওয়া যাক ।

روحاني - فعال - حوزه علميه - تحصیل - ایشان - نزد - علم -دوران جواني - درجه - اجتهاد - آن زمان - وضعيت - چگونه - محمد رضا پهلوي - حاکم - مجلس - مذهبی - تدریس - امور دینی - مدرسه - لابد - مردم -بزرگ - روشن شدن - حقايق - تلاش - علاو بر - سخنراني - آثار - ارزشمند - معرفي - قیام - حكومت - سركوبگرانه - رژيم - شاه - سلطه - دشمنان - مبارزه - آگاهي - بيداري

ধর্মীয় ব্যাক্তিত্ব বা আলেম / ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান / শিক্ষা / তিনি / কাছে / জ্ঞান যৌবন কাল / পদমর্যাদা বা ডিগ্রি / গবেষণার মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয় বা আইনের সিদ্ধান্ত উদঘাটন/ সে সময়ে / পরিস্থিতি / কিভাবে / ইরানের সর্বশেষ রাজার নাম / শাসক / পার্লামেন্ট/ ধর্মীয় / পাঠদান / ধর্মীয় বিষয় / স্কুল বা মাদ্রাসা / অবশ্যই / জনগণ /বড় বা মহান / সুস্পষ্ট হওয়া / বাস্তবতা / প্রচেষ্টা / এছাড়াও / বক্তব্য / বই বা মূল্যবান কর্ম / মূল্যবান /পরিচয় / বিপ্লব / শাসন / দমনমুলক / শাসন ব্যাবস্থা / রাজা/ আধিপত্য বা কর্তৃত্ব/ শত্রুরা/ সংগ্রাম/ সচেতনতা / জাগরণ

নতুন শব্দ ও সেগুলোর অর্থ জেনে নেওয়া গেল, এবার আসুন মোহাম্মাদ ও রমিনের কথোপকথন শোনা যাক।

محمد - رامين باتوجه به صحبتهاي تو ، امام خمینی از روحانيون فعال و خوش ذوق حوزه علميه قم بود .رامین - بله . ایشان نزد اساتید بزرگ مانند آقامیرزا علی ادیب تهرانی و آیت ا... حاج شیخ عبدالکریم حائری یزدی ، علوم اسلامي را فرا گرفت و در دوران جواني به درجه اجتهاد رسيد .محمد - در آن زمان ، وضعيت ایران چگونه بود ؟رامین - در آن سالها رضاخان بر ایران حاکم بود . او روحانیون را تحت فشار گذاشت ، مجالس مذهبی را تعطیل و تدریس امور دینی را در مدارس ممنوع کرد .محمد - پس لابد مردم ايران آگاهي زيادي درباره اسلام نداشتند .رامین - البته روحانيون بزرگي مثل آیت ا... مدرس و امام خمینی (ره) براي روشن شدن حقايق ، بسيار تلاش کردند .محمد - امام خميني چه تلاش هايي كرد ؟رامين - امام خميني علاوه بر سخنراني ، آثار ارزشمندي را درزمينه معرفي اسلام و افشاي سياستهاي رضاخان تاليف كرد .محمد - قیام 15 خرداد چگونه شکل گرفت ؟رامین - اين قيام در زمان حکومت محمد رضا پهلوي رخ داد . به دنبال سخنرانيهاي امام خمینی درباره سياستهاي سركوبگرانه رژيم شاه ، ايشان بازداشت شد و در پي آن ، قیام 15 خرداد به وقوع پيوست .محمد - چرا امام با سياستهاي شاه مخالف بود ؟رامین - چون این سياستها ، راه را براي سلطه دشمنان بر ايران باز می کرد .محمد - پس امام با مبارزات خود ، درهاي آگاهي و بيداري را بر مردم گشود .

মোহাম্মাদ : রমিন তোমার কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় , ইমাম খোমেনী (রহঃ) কোমের ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্রের পরিশ্রমী ও সৃজনশীল ওলামাদের অন্যতম ছিলেন।রমিন -হ্যাঁ । তিনি জনাব মির্জা আলী আদিবে তেহরানী ও আয়াতুল্লাহ হাজী শেখ আব্দুল কারিম হায়েরি ইয়াযদি'র মতো মহান অধ্যাপকদের কাছে ইসলামী জ্ঞান অর্জন করেন এবং তরুন বয়সেই ফতোয়া দেয়ার যোগ্যতা লাভ করেন ।মোহাম্মাদ : সে সময় ইরানের পরিস্থিতি কেমন ছিল ?রমিন : সে সময় রেজা খান ইরানের শাসক ছিল। সে আলেমদের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ, ধর্মীয় সভা-সমাবেশ বন্ধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহে ধমীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করে ।মোহাম্মাদ : তাহলে নিশ্চয়ই ইরানের জনগণের ইসলাম সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না ।রমিন : অবশ্য বড় বড় ধর্মীয় ব্যাক্তিত্ব যেমন আয়াতুল্লাহ্ মোদাররেস ও ইমাম খোমেনী (রহঃ) বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন ।মোহাম্মাদ : ইমাম খোমেনী কি কি প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ? রমিন : ইমাম খোমেনী বক্তৃতা বিবৃতি ছাড়াও ইসলাম পরিচিতি ও রেজা খানের রাজনীতির স্বরূপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বইপত্র লেখেন ।মোহাম্মাদ : ১৫ই খোরদাদের বিপ্লব কিভাবে সংঘটিত হয় ?রমিন : এই বিপ্লব মোহাম্মদ রেজা পাহলোভীর শাসনকালে সংঘটিত হয়। শাহের নিপীড়নমূলক রাজনীতি নিয়ে ইমাম খোমেনীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে বন্দী করা হয় এবং সেই সুত্র ধরে ১৫ই খোরদাদের বিপ্লব সংঘটিত হয় ।মুহাম্মদ : ইমাম খোমেনী কেন শাহের রাজনীতির বিরোধী ছিলেন ?রমিন : কারণ এই রাজনীতিগ, ইরানে শত্রুদের আধিপত্য বিস্তারের পথ উন্মুক্ত করেছিল ।মুহাম্মদ : তাহলে তো ইমাম তাঁর সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন ও জাগ্রত করার দ্বার উন্মোচন করেন।

মোহাম্মাদ ও রমিনের আলাপচারিতা থেকে যেমনটি শুনলেন, ইমাম খোমেনী যৌবনের শুরু থেকেই একজন পরিশ্রমী ও সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন । তিনি রেজা খান ও তার পুত্র মুহাম্মদ রেজার শাসনকালে তার সংগ্রাম চালিয়ে যান । ইরানের শাহ ভূমি সংষ্কার পরিকল্পনা ও শ্বেত বিপ্লবের নামে বিদেশীদের উপর ইরানের নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলেন । ইমাম খোমেনী শাহের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন । ফার্সী ১৩৪২ সালের ফারভারদিন মাসে শাহের বাহিনী কোমের ফেইজিয়া মাদ্রাসায় হামলা করে ছাত্রদের নৃশংসভাবে হত্যা করে । ইমাম খোমেনী এই শহীদদের চেহলাম অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে শাহের হত্যাযজ্ঞের কথা জনগনকে অবহিত করেন । শাহ , ইমাম খোমেনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তাঁকে বন্দি করে। এর প্রতিবাদে জনগণ বিভিন্ন শহরে আন্দোলন গড়ে তোলে । শাহের বাহিনী নৃশংস পন্থায় আন্দোলনগুলো দমনের চেষ্টা করে।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/মো.আবুসাঈদ/০১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ