জানুয়ারি ১৪, ২০২০ ১৯:৩২ Asia/Dhaka

গত দু'টি অনুষ্ঠানে আমরা বলেছিলাম, ইরানের সাবেক স্বৈরাচারি শাহ সরকারের অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে ফার্সী ১৩৪২ সালের খোরদাদ মাসে ইমাম খোমেনী (রহঃ) গ্রেফতার হন এবং তাকে তেহরানে বন্দী করে রাখা হয়।

পরবর্তীতে তাঁকে মুক্তি দেয়া হলেও শাহের অনুচরদের নজরদারিতে রাখা হয় । মুক্তিলাভের পর ইমাম খোমেনী (রহঃ) কোমে যান এবং তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন । এ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে তুরস্কে ও পর ইরাকে নির্বসিত করা হয় । শাহ মনে করেছিল ইমামকে জনগনের কাছ থেকে দূরে রাখা গেলে বিপ্লবের দ্বীপশিখা নিভে যাবে। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইমামের জনপ্রিয়তা ও সংগ্রামের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে। মোহাম্মদ ও রমিন এই বিষয় নিয়ে কথা বলছে। আসুন প্রথমে আজকের আসরে ব্যবহৃত কিছু ফার্সি শব্দের অর্থ জেনে নেয়া যাক, তারপর তাদের কথোপকথন শুনবো ।

رژيم شاه - امام - خرداد - دستگیر - زندان - آزاد شدن - باز هم - سياست - اسلامي - ضد اسلامي - مخالف - تسلط - بيگانه - كشور - همچنان - مبارزه - آبان - تبعيد - او تبعيد شد - ايشان - چه مدت - حدود - يك سال - چگونه - مردم - نامه - اعلاميه - سخنرانی - پخش - چند سال - آنجا - چه كاري ؟ - حوزه علميه - نجف - فقه - علم - علوم اسلامی - پايان - مبارزه - فرانسه - او برود .

শাহ সরকার / ইমাম / ফার্সী বছরের তৃতীয় মাসের নাম خرداد / / বন্দী জেলখানা / মুক্ত হওয়া / আবারও /রাজনীতি / ইসলামী / ইসলাম বিরোধী / বিরোধী / আধিপত্য / বিদেশী / দেশ /একইভাবে / সংগ্রাম / ফার্সী বছরের অষ্টম মাসের নাম آبان / নির্বাসন / তাকে নির্বাসিত করা হল / তিনি / কতটুকু সময় / প্রায় /একবছর / কিভাবে / জনগণ / চিঠি / প্রচারপত্র / বক্তব্য / প্রচার / কয় বছর / তিনি ছিলেন /সেখানে / কি কাজ? / তিনি করতেন / ১৩ বছর / ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান / ইরাকের একটি ধর্মীয় শহরের নাম / ইসলামী আহকাম সংক্রান্ত বিষয় / জ্ঞান / ইসলামী জ্ঞান / শেষ /সংগ্রাম / ফ্রান্স /নতুন শব্দ ও সেগুলোর অর্থ জেনে নেওয়া গেল । আসুন মোহাম্মাদ ও রমিনের কথোপকথন শোনা যাক । আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে এটিকে আমরা বাংলায় অনুবাদ করে দিচ্ছি ।

رامین - رژيم شاه امام را در خرداد سال 42 ه . ش . دستگیر کرد . امام پس از مدتي از زندان آزاد شد .محمد - امام بعد از آزاد شدن چه کرد ؟رامین - امام باز هم با سياستهاي ضد اسلامي رژيم شاه ، مخالفت کرد . او مخالف تسلط بیگانگان بر كشور ایران بود .محمد - پس امام خمینی ، همچنان به مبارزات خود ادامه داد .رامین - بله . به همین خاطر ، رژيم شاه امام را در آبان سال 43 به ترکیه تبعید کرد .محمد - ایشان چه مدت در ترکیه بود ؟رامین - امام خميني حدود یک سال در ترکیه بود و سپس به عراق تبعید شد .محمد - امام در زمان تبعید ، چگونه با مردم ايران ارتباط داشت ؟رامین - در زمان تبعيد امام خمینی ، نامه ها ، اعلامیه ها و متن سخنرانی هاي ايشان ، در ايران پخش مي شد .محمد - ایشان چند سال در عراق ماند و در آنجا چه كاري انجام مي داد ؟رامین - امام 13 سال در عراق بود و در حوزه علميه نجف ، فقه و علوم اسلامی را تدريس مي كرد .محمد - پس از پايان تبعيد در عراق ، امام به ایران آمد ؟رامین - نه . ایشان براي ادامه مبارزه خود ، مجبور شد عراق را ترک کند و به فرانسه برود .

রমিন- শাহ সরকার ফার্সি ১৩৪২ সালের খোরদাদ মাসে ইমামকে গ্রেফতার করে। ইমাম কিছু দিন পর মুক্তি পান।মোহাম্মাদ - ইমাম মুক্ত হওয়ার পর কি করেন ?রমিন - ইমাম আবারও শাহ সরকারের ইসলাম বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন । তিনি ইরানের ওপর বিদেশী শক্তির আধিপত্যের বিরোধী ছিলেন।মোহাম্মাদ-তার মানে, ইমাম খোমেনী আগের মতোই তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখেন। রমিন - হ্যাঁ । এজন্য শাহ সরকার ফার্সী ১৩৪৩ সালের অবন মাসে ইমামকে তুরস্কে নির্বাসিত করে ।মোহাম্মাদ- তিনি কত দিন তুরস্কে ছিলেন ? রমিন - ইমাম খোমেনী প্রায় একবছর তুরস্কে ছিলেন এবং পরে ইরাকে নির্বসিত হন।মোহাম্মাদ -ইমাম নির্বাসিত অবস্থায় কীভাবে জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখতেন?রমিন - ইমাম খোমেনীর নির্বাসনকালে তাঁর চিঠি, প্রচারপত্র ও লিখিত ভাষণ ইরানে প্রচার করা হত ।মোহাম্মাদ- তিনি কয় বছর ইরাকে ছিলেন এবং সেখানে কি করতন? রমিন- তিসি ১৩ বছর ইরাকে ছিলেন এবং নাজাফের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিকাহ ও ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দিতেন ।মোহাম্মাদ -ইরাকে নির্বাসন শেষে ইমাম কি ইরানে আসেন ?রমিন -না । তিনি তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখায় ইরাক ত্যাগ করে ফ্রান্সে যেতে বাধ্য হন।রমিন ও মোহাম্মদের কথোপকথন থেকে যেমনটি বুঝতে পেরেছেন, ইমাম খোমেনী (রহঃ) ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামী । একারনেই শাহ সরকার তাকে ইরান থেকে নির্বাসিত করে । শাহ ভেবেছিল দেশ থেকে দূরে থাকলে জনগণ ইমামকে ভুলে যাবে । কিন্তু ইমাম নির্বসিত অবস্থায় ইরানের জনগণকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যান । চিঠি-পত্র, ভাষণ, ইমামের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী চিন্তাবিদ ও ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে তিনি জনগণকে সঠিক পথ প্রদর্শন করতেন । তিনি বছরের পর বছর পাঠদান কালে নাজাফের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক অবদান রেখেছেন । তিনি ইসলামকে সম্মান ও স্বাধীনতার ধর্ম বলে উল্লেখ করেন যা কখনো অন্যায় অত্যাচার ও বহিঃশক্তির আধিপত্য মেনে নেয়না । শেষ পর্যন্ত ইরাকের বাথ সরকার ইমামকে ইরাক ত্যাগ করতে বাধ্য করে। ইমাম সিদ্ধান্ত নেন ফ্রান্সে যাবেন এবং সেখান থেকে তার সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন ।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/মো.আবুসাঈদ/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ