মনগড়া অভিযোগে প্রকৃত অপরাধীদের আঁড়ালের চেষ্টা করা হচ্ছে: ইলিয়াস খান
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরি যে চরম অবনতি হয়েছে সে বিষয়টি খুবই সুস্পষ্ট। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে নতুন নতুন নাম যোগ হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি ও ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
রেডিও তেহরানের সাথে দেয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে সংসদে যে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমি তার ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ইলিয়াস খান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের কোনো বিচার এখনও পর্যন্ত হয়নি। আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে, মানুষ ভীত হয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার যে বিরোধীদল বিএনপিকে দোষারোপ করেছে সেটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং হাস্যকর বলে মনে করেন এই সাংবাদিক নেতা। এধরণের মনগড়া অভিযোগ করে প্রকৃত অপরাধীদের আঁড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন।
সরকারের প্রতি আস্থার বিষয়টি শূন্যের কোটায় গিয়ে পৌঁছেছে। দেশ গণতন্ত্রহীন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ইলিয়াস খান।
এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হলে গণতন্ত্রের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো থাকতে হবে। গায়ের জোরের শাসন দিয়ে দেশে সুষ্ঠু অবস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না।
পুরো সাক্ষাৎকারটি উপস্থাপন করা হলো। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ ও উপস্থাপন করেছেন গাজী আবদুর রশীদ।
রেডিও তেহরান: বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ইলিয়াস খান: দেখুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরি অবনতির বিষয়টি খুবই স্পষ্ট। শিক্ষক হত্যার পর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে একজন মার্কিন সাহায্য সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরি যে চরম অবনতি হয়েছে সে বিষয়টি খুবই সুস্পষ্ট। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে নতুন নতুন নাম যোগ হচ্ছে। ফলে সার্বিক বিচারে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়ে বলে আমি মনে করি।
রেডিও তেহরান: দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি এ দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন কী?
ইলিয়াস খান: দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে সংসদে যে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমি তার ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একইসাথে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায়ই বলেন যে, খুন হত্যার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন। কিন্তু আসলে এসব খুন ও গুপ্ত হত্যার ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। আমি যদি একটু পেছনে ফিরে যাই তাহলে সেখানে অনেক কিছুই দেখা যাবে। আমার সহকর্মী সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেসময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করেছিলেন তদেরকে নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, বাসায় গিয়ে তো কারো নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। জনগণ তো সে নিরাপত্তা পাচ্ছে না বরং যারা সন্ত্রাসী বা হত্যাকারী তাদের যাতে কোনো ভয় সৃষ্টি না হয় সে ধরণের বক্তব্য তারা দিচ্ছেন।
আপনারা একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, আজ যদি একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে তারপর দেখা যাবে দুদিন পর আবার আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। নতুন কোনো হত্যাকাণ্ড যখন ঘটছে তখন পেছনেরটা আমরা ভুলে যাচ্ছি।
উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে পারি- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের কোনো বিচার এখনও পর্যন্ত হয়নি। আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে, মানুষ ভীত হয়ে পড়ছে। তারা জানে যে হয়তো ভিকটিমদের বিষয়গুলো নিয়ে মিডিয়ায় কিছু দিন লেখালেখি হবে বা দুএকটা মিছিল সমাবেশ হবে এরপর আবার সব থেমে যাবে।
আমি এ ব্যাপারে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ চাঞ্চল্যকর তনু হত্যাকাণ্ডের কথা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি। তনু হত্যা নিয়ে অনেক প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে কিন্তু কিছুই হয়নি। তার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট পাওয়ার কথা ছিল অথচ এখনও পর্যন্ত আমরা সেটা পাইনি। এগুলো সত্যিই দুর্ভাগ্যনজক। আর এরকম পরিস্থিতিতে সংসদে দাঁড়িয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক- তাহলে তা মেনে নেয়া যায় না। আমি আবারও বলছি যে দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে সরকার ও রাষ্ট্রকে।
রেডিও তেহরান: সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার খানিকটা প্রথাগতভাবেই বিরোধীদল বিএনপি-কে দোষারোপ করেছে। কতটা যুক্তিযুক্ত সরকারের এ ভূমিকা? এটি কী দায় এড়ানোর জন্য দেয়া বক্তব্য নাকি রাজনৈতিক বক্তব্য?
ইলিয়াস খান: সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার যে বিরোধীদল বিএনপিকে দোষারোপ করেছে সেটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং হাস্যকর। এধরণের মনগড়া অভিযোগ করে প্রকৃত অপরাধীদের আঁড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। তারা শাস্তির আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যদি তাদের কথাই ধরে নেই যে বিএনপি এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। তাহলে তাদের গ্রেফতার করুন। যদি বলি কোনো ঘটনা অমুক করেছে সেক্ষেত্রে তাকে গ্রেফতার করে দেখান। অথচ তা না করে আপনারা মনগড়াভাবে একটা মন্তব্য করছেন। আপনারা একদিকে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছেন না অন্যদিকে কোনো ঘটনা ঘটলে সংসদের বাইরের বিরোধীদলের ওপর দায় চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াঁল করার চেষ্টা করছেন। আর এভাবে ব্লেমগেমের সংস্কৃতি চালু থাকলে হত্যার মিছিল তো থামবে না। মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে। সুতরাং সরকারি দলের এমন অভিযোগ করার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। তাদের এ ধরনের বক্তব্য হাস্যকর এবং নিন্দনীয়।
রেডিও তেহরান: বিএনপি বলেছে, সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এ দলের কোনো কোনো নেতা বলেছেন, গুপ্তঘাতকেরা সরকারি দলের লোকজন। বিএনপির এসব বক্তব্যকে কীভাবে দেখছেন আপনি?
ইলিয়াস খান: সরকার নিজের দায় এড়াচ্ছে বলে বিএনপির মন্তব্যকে আমি যথাযথ বলে মনে করি। তবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এধরনের বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। তবে আপনার প্রশ্নে যে কথাটি শুনলাম যে বিএনপির কোনো কোনো নেতা যে বলেছে যে সরকারের মধ্যে রয়েছে গুপ্তঘাতকেরা। আমি অবশ্য এটি বলতে চাই না। সরকারের মধ্যে হোক বা সরকারের বাইরে হোক যারাই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে অভিন্ন শক্রর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চাকুরিজীবী, বুদ্ধিজীবী, ব্লগারসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। সবধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এক্ষেত্রে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব হত্যকাণ্ডের রশি টেনে ধরা যাচ্ছে না।
আপনারা দেখুন, দেশে ব্যাপকমাত্রায় আর্থিক লুটপাট হচ্ছে অথচ কারো কোনো শাস্তি হচ্ছে না। দুএকটি ঘটনায় দু একজনের শাস্তি হলেও দেখবেন যে তারা জেলে বা হাজতে গিয়ে অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি আয়েশি জীবনযাপন করছেন। তারা জেলখানায় আরাম আয়েশে আছেন। আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে আসলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদেরকে যদি শাস্তির আওতায় আনা যায় তাহলে অন্যরা ভয় পাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে এ পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। সরকার যদি এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আন্তরিক হন তাহলে অন্যের ওপর ব্লেম না দিয়ে যথার্থভাবে দ্রুততার সাথে যদি অপরাধীদের ধরার চেস্টা করা হয় তাহলে সেটা সম্ভব। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের কিন্তু অনেক সুনামও আছে। তারা যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেন তাহলে অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। আর অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা গেলে এ ধরনের প্রবণতা অনেক কমে যাবে।
রেডিও তেহরান: জনাব খান, সরকারের একার পক্ষে হত্যাকাণ্ড রোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। অনেকে বলছেন, তার এ ব্ক্তব্যের আড়ালে ভিন্নকিছু রয়েছে। কেউ কেউ পরিষ্কার করে বলেছেন, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পেছনে আমেরিকা রয়েছে; তারা দেশে আইএসআইএল’র অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায়। আপনার মন্তব্য কী?
ইলিয়াস খান: আমেরিকা এখানে আইএসআইএলের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায় বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশে যে ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে তাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত যথার্থই বলেছেন যে, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর রাজনৈতিক দলগুলোই তো সমাজকে নিয়ে কাজ করছে। তারা গ্রামগঞ্জে সমাজকে লিড দিচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো যদি সমাজকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের কাজ করতে পারে সেটা হবে খুবই ভালো কাজ। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এধরনের হত্যাকাণ্ডসহ নানাধরনের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ খুবই কার্যকরী উদ্যোগ হতে পারে।
কিন্তু এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতার কারণে রাজনৈতিক দলগুলো কোনোভাবেই- কোনো বিষয়ে ঐক্যমত্য হতে পারছে না। আপনারা দেখুন, আমাদের পার্লামেন্টে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিদের ক্ষেত্রে কমবেশি তেমনই হয়েছে। ফলে একথা বলা চলে গণআস্থার বিষয়টি কিন্তু নেই। সরকার একটি বডি মাত্র। দেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকতে হয় সরকারের প্রতি। সে বিষয়টি এখানে নেই।
আপনারা লক্ষ্য করবেন বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। সেই নির্বাচনে গণতন্ত্রের প্রতি এবং সরকারের প্রতি আস্থার বিষয়টি শূন্যের কোটায় গিয়ে পৌঁছেছে। এখানে ভোটকে বলা হচ্ছে ‘বোট’ অর্থাৎ নৌকা। এখানে এখন ভোট মানে হচ্চে ‘নৌকা’,যেভাবেই হোক নৌকাকে জেতাতে হবে।
আমি জানিনা যে আমি বেশি বলছি কিনা! এই অবস্থা এখন বাংলাদেশে চলছে। সরকারের প্রতি মানুষের ন্যুনতম আস্থা নেই। যারা গণতান্ত্রিক সরকার চান তাদের আস্থা এই সরকারের প্রতি শূন্যের কোটায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমি আশা করব যে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য যতগুলো শর্ত আছে যেমন ভোটাধিকার, মানবাধিকারসহ যা কিছু আছে সবকিছুকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
দেখুন আমাদের তিনজন সিনিয়র সাংবাদিককে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। সর্ব সাম্প্রতিক সময়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং এখন তিনি জেলে আছেন। শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের সাংবাদিকতা পেশায় বড় অবস্থানে আছেন। তাদেরকে বলা চলে বিনাবিচারে আটকে রাখা হয়েছে। আর এসব অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে গণতন্ত্রের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো থাকতে হবে। গায়ের জোরের শাসন দিয়ে দেশে সুষ্ঠু অবস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না।#
গাজী আবদুর রশীদ/১