সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০ ১৭:২২ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • শেখ হাসিনার কাছে কোনো অপকর্মকারীর ছাড় নেই-ওবায়দুল কাদের-দৈনিক ইত্তেফাক
  • আওয়ামী লীগের শূন্যপদ পূরণ ও মন্ত্রিসভায় রদবদল সামনে-প্রথম আলো
  • দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ-ফখরুল-দৈনিক সমকাল
  • যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলো এস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার শেষ ধাপের ট্রায়াল-মানবজমিন
  • সিনহা হত্যা: পুলিশের সেই ৩ সাক্ষীকে আরেক দফা রিমান্ডে পেল র্যাব-দৈনিক যুগান্তর
  • অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদক পাচার, আটক ৩-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • ঢাকায় আশুরার মিছিলে ছুরিকাঘাতে দুজন নিহত, আহত আরো ২-কালের কণ্ঠ

ভারতের শিরোনাম:

  • ভারত-চীনের একটা সমতায় পৌঁছানো দরকার বলে মনে করেন জয়শঙ্কর-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভারতে একদিনে করোনার কবলে প্রায় ৭০ হাজার-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য, শেষ শ্রাদ্ধা জানালেন মোদ-দৈনিক আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি

করোনার সর্বশেষ খবর:ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা-সাড়ে ৮ লাখ ছাড়াল। আক্রান্ত ২কোটি ৫৬ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ঊনআশি লাখ। ভারতের প্রায় সব দৈনিকে লেখা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার,এ সময় মারা গেছেন  জন ৮১৯ জন, মোট মৃত্যু-৬৫হাজার ছাড়াল। আর মোট আক্রান্ত প্রায় ৩৭ লাখ। বাংলাদেশের দৈনিকগুলোতে বলা হয়েছে, একদিনে সেদেশে করোনায় আরো ৩৫জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু ৪,৩১৬  জন এবং মোট শনাক্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জন। দৈনিক মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে,বাংলাদেশে সিনোভ্যাকের করোনা টিকার ট্রায়াল চালাবে এনএসকে গ্লোবাল পিএস।এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে,করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার আগে সবকিছু সচল করলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বললেন, দেশরত্ম শেখ হাসিনার কাছে অপকর্মকারীদের ছাড় নেই

রাজনীতির খবরে দৈনিক ইত্তেফাকে লেখা হয়েছে,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে মধ্যম আয়ের এই যাত্রাপথে ছিল অনেক প্রতিকূলতা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারগুলোর মতোই আওয়ামী লীগ সরকারও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সোমবার ইত্তেফাককে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে আওয়ামী লীগকে ঘিরে চলমান বেশ কিছু সমালোচনার জবাব দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে কোনো অন্যায় ও অপকর্মকারীর ছাড় নেই।’

অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের শুদ্ধি অভিযানে সরকারি দলের অনেক নেতাকর্মীর নাম আসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযান অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য খাতসহ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান প্রধানমন্ত্রী স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ উদ্যোগেই পরিচালনা করছেন। অনিয়ম উদ্ঘাটনও করেছেন নিজস্ব মেকানিজমে। এ থেকে বোঝা যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অবস্থান স্পষ্ট এবং কঠোর। তিনি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না, দেবেন না। দুর্নীতিবাজদেরও কোনো দলীয় পরিচয় নেই। অনিয়ম করে দলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ নেই।’

দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ: বিএনপি মহাসচিব

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন,‘এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য গণতন্ত্র উদ্ধার করা এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আর আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং মিথ্যা হয়রানির মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে।’

তিস্তায় বাংলাদেশের চীনা চাল, ব্যাকফুটে দিল্লি। এ শিরোনামটি দৈনিক মানবজমিনের। আর প্রথম আলোর একটি শিরোনাম হচ্ছে- বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্কে মোড় পরিবর্তনের সময় এল কি? এসব খবরে লেখা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের পানি-রাজনীতিতে বেইজিং-এর জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় দিল্লিতে সতর্কঘণ্টা বেজেই চলছে। ১৮-১৯ আগস্ট পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ শ্রিংলার আকস্মিক ঢাকা সফরকে ওই প্রেক্ষাপটেই দেখা হচ্ছে। তিস্তায় একটি পানি ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পে ৯৮৭.২৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব দিয়েছে চীন। তিস্তা নদী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহমান। এই বছরের ডিসেম্বরে এই ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।

তিস্তা নিয়ে চীনা চালে ব্যাকফুটে দিল্লি

চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কো-অপারেশন বা পাওয়ার চায়না এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। কাজ শুরু হবে ২০২১ সাল থেকে।২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার ঢাকা সফরে তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি সই করতে প্রস্তুত ছিলেন।তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই চুক্তি প্রতিহত করেন।এরপর ২০১৫ সালের জুনে মমতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করলেও ওই চুক্তি অদেখাই রয়ে যায়।মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নায্য সমাধানে’র প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখন পর্যন্ত কিছুই হয়নি।তিস্তায় সম্ভবত চীনা উপস্থিতির সম্ভাবনা আগেই আঁচ করতে পারেনি ভারত। বাংলাদেশ এর আগে এই প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক ও জাইকার সহায়তা চেয়েছিল। অর্থাৎ এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ভারতের সাহায্য আসুক আর না আসুক, তিস্তা বেসিনের ব্যবস্থাপনা ভালো করা দরকার হয়ে পড়ে বাংলাদেশের। যদিও অন্যান্য সব পথ ব্যার্থ হওয়ার পরই ঢাকা চীনের দ্বারস্থ হয়েছে, তবুও সময়টা ভারতের জন্য খারাপ হয়েছে।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদি সরকারের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে চীনের এই সম্পৃক্ততা কিন্তু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে ভারতের বৃহত্তর ব্যার্থতার প্রেক্ষাপটেই হয়েছে। ভারত যদি এখন তিস্তা নদীর পানির নায্য ও উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য বণ্টনের বিষয়ে দ্রুত সমঝোতায় না পৌঁছায়, তাহলে নিজের পানি সমস্যা নিয়ে বিকল্প সমাধান খোঁজার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করা যাবে না। ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় প্রকাশিত সিনিয়র সাংবাদিক ভারত ভূষণের এ নিবন্ধটি মানবজমিনে পরিবেশিত হয়েছে। এদিকে লাদাখ উত্তেজনা বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় সব দৈনিকে বিশেষ গুরুত্বসহ খবর পরিবেশিত হয়েছে-দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, লাদাখে উত্তেজনা বাড়ছে। ভারতীয় বাহিনীর দখলে প্যাংগং।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দিল্লিতে প্রণবের শেষকৃত্য, গান স্যালুট-শোকে-শ্রদ্ধায় বিদায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা, সংবাদ প্রতিদি, আজকাল ও গণশক্তি

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। দিল্লির  লোদী রোডে গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হল দেশের ১৩তম রাষ্ট্রপতিকে। অবসান হল পাঁচ দশক দিল্লিতে দাপিয়ে বেড়ানো এক বর্ণময় বাঙালি রাজনীতিবিদ প্রণব মুখোপাধ্যায় যুগের। 

চিকিৎসাধীন থাকাকালীন প্রণবের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তাই দিল্লির রাজাজি রোডের বাড়ি থেকে শুরু করে লোদী রোড মহাশ্মশান, সর্বত্রই কোভিড প্রোটোকল মেনে শেষকৃত্য করা হয়। পিপিই কিট পরেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও সবাই পিপিই কিট পরে শামিল হয়েছিলেন শেষকৃত্যে। এ ছাড়া কোভিড প্রোটোকল মেনে শ্মশানেও লোকসংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছিল।  এর আগে দিল্লির সেনা হাসপাতাল থেকে প্রণবের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর লোদী রোডের বাসভভনে। সেখানে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী-সহ শাসক বিরোধী সব দলের রাজনীতিকরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তবে কোভিডের কারণে মৃতদেহ বাড়ির একটি ঘরে রাখা হয়। কিন্তু সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে একটি বেদি তৈরি করে প্রণবের ছবি রাখা হয়। সেই ছবিতেই ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সবাই। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানান উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, সস্ত্রীক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল-সহ বহু নেতা-মন্ত্রী ও সাধারণ মানুষ।

বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান প্রণববাবু। প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই সাত দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

দৈনিকগুলোতে আরো লেখা হয়েছে, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মুত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশও। বুধবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। 

ভারতের অর্থনীতির রেকর্ড খারাপ অবস্থা সম্পর্কে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, ইরাসের তাণ্ডবে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ধস নেমে এসেছে ভারতে। ভারতের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ধস। গত ৪০ বছরে এমন ধস এই প্রথম। এ খবরে বলা হয়েছে,  সোমবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তথা এপ্রিল-জুনে দেশটির অর্থনীতি নজিরবিহীনভাবে ২৩.৯% সংকুচিত হয়েছে, যা গত চল্লিশ বছরে দেখা যায়নি।বস্তুত দেশটিতে অর্থনীতির এতটা গভীর সংকোচন স্বাধীনতার পর আর কখনো হয়নি। এরপর জুলাই-সেপ্টেম্বরেও যদি অর্থনীতির সংকোচন অব্যাহত থাকে, যার সম্ভাবনা খুব বেশি, তা হলে সামনে অবস্থা আরও খারাপ হবে। রেটিং সংস্থা ক্রিসিলের আশঙ্কা, স্বাধীনতার পর এই নিয়ে চতুর্থবার মন্দার সম্মুখীন ভারত এবং এই মন্দা হয়তো সবচেয়ে তীব্র হবে। সংস্থাটি মনে করে, পরের প্রান্তিকগুলোতে অর্থনীতি যদি খানিকটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তা হলেও পুরো অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতি ৫% সংকুচিত হতে পারে।

লাদাখে আবারও উত্তেজনা

আবারও লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা। এ সম্পর্কে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, ভারতীয় বাহিনীর দখলে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা,পিছু হটেছে লালফৌজ।দৈনিকটি অপর এক খবরে লিখেছে,সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে লালফৌজ। চোখে চোখ রেখে মোকাবিলা করতে নতুন রণলজ্জায় সাজছে ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন সফল করে সেই সজ্জার পুরোটাই তৈরি হবে দেশের মাটিতে। চীন সীমান্তে মোতায়েন হবে শতাধিক রকেট লঞ্চার, দেশীয় তিন সংস্থাকে ২৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা চাইলে আগের চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারত ভারতীয় সেনাদের। অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত চীনের একটা সমতায় পৌঁছানো দরকার।# 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১

ট্যাগ