কথাবার্তা: প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে উত্তাল দিল্লি
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:
- বিশ্বনেতাদের চীনা প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি -ইত্তেফাক
- সরকার চসিক নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের -যুগান্তর
- প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের জন্য টাকা নিলো কারা?-মানবজমিন
- করোনায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দৈন্যদশা প্রকাশ পেয়েছে: অধিকার-মানবজমিন
- সাংসদ কেন গরিব অথবা সামাজিক বিস্ময় -দৈনিক সমকাল
- প্রণোদনার টাকাও কি সরানো হচ্ছে, অনুসন্ধানের পরামর্শ -দৈনিক কালের কণ্ঠ
- জ্যাক মা’র মিনিটের দাম ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার!-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- সিংঘু সীমান্তে ব্যারিকেড ভাঙলেন কৃষকরা, কুচকাওয়াজের আগেই দাপট শুরু ট্র্যাক্টরের -আনন্দবাজার পত্রিকা
- শত্রু শিবিরে অগ্নিবর্ষণ করবে ‘আকাশ’, চিনকে নজরে রেখে ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের -সংবাদ প্রতিদিন
- ঐতিহাসিক ভুল সংশোধন’, বাবরি ধ্বংস নিয়ে এমনই মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাভড়েকরের -দৈনিক আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
করোনায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দৈন্যদশা প্রকাশ পেয়েছে: অধিকার-মানবজমিন

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তারা রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করেছে। গত বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল অবনতিশীল। করোনাকালে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও দৈন্যদশা প্রকাশ পেয়েছে। করোনা মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার তাদের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রহসনমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে। ২০২০ সালে সংসদের যেসব উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানেও সরকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা না থাকায় ভোটাররা ভোট দিতে আর আগ্রহ দেখাননি।
বিশ্বনেতাদের চীনা প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি –আল জাজিরার বরাত দিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে পরিবেশিত এ খবরে বলা হয়েছে,
নতুন ঠান্ডা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার ডাভোস ফোরামে ভার্চুয়ালি দেওয়া এক বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একইসঙ্গে চীনের এই প্রেসিডেন্ট প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর সময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। শি বলেন, অন্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং হুমকি কেবল নতুন স্নায়ুযুদ্ধ শুরু করবে এবং বিশ্বকে বিভক্ত করবে। চীনা এই প্রেসিডেন্টের মতে, বিরোধ একটা দেশের মানুষের স্বার্থকে এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণের ক্ষতি করে। তিনি আরও বলেছেন, আমদের উচিত মুক্ত অর্থনীতি তৈরি করা... বৈষম্যমূলক ও বর্জনীয় মান, বিধি এবং ব্যবস্থা বাতিল করুন এবং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলি সরিয়ে দিন, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত বিনিময় করুন।
চীনা এই প্রেসিডেন্ট এমন সময়ে এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন যখন মাকিন প্রশাসনে জো বাইডেন ক্ষমতায় বসলেন। এদিকে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত-চীন বলে দৈনিকটির অন্য একটি খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের জন্য টাকা নিলো কারা?-মানবজমিন
একদিনে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই ঘর উপহার দেয়ার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। শনিবার প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে তাদের আশ্রয় বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৬ হাজার পরিবারকে দেয়া হয়েছে বারান্দা, রান্নাঘর, শৌচাগারসহ দুই কক্ষের ঘর। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় এই মানবিক প্রকল্পের ঘর পেয়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় প্রকল্প এলাকায়। যারা আশ্রয় পেয়েছেন তাদের অনেকের স্বপ্নেও ছিল না এমন পাকা বাড়িতে থাকার। তবে এই প্রকল্প ঘিরে বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া গেছে বিভিন্ন স্থান থেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অসাধুদের মাধ্যমে অর্থ নেয়া হয়েছে উপকারভোগীদের কাছ থেকে।কোথাও কোথাও নেয়া হয়েছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। আবার কোথাও মালামালের ভাড়ার কথা বলে নেয়া হয়েছে অর্থ। এমন বেশকিছু অভিযোগের সরাসরি তথ্য দিয়েছেন উপকারভোগীরা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভূমিহীন ও গৃহহীদের ঘর নির্মাণের জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ থেকে ৪৯১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রণোদনার টাকাও কি সরানো হচ্ছে, অনুসন্ধানের পরামর্শ-দৈনিক কালের কণ্ঠ

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মানুষের আয় কমে যাওয়া, কাজ হারানোর দরুন বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালানোর তথ্য উঠে আসে বিভিন্ন সংস্থার জারিপে। এতে ব্যাংকে আমানত রাখা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ার কথা। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে সেই প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও কয়েক মাস ধরে ব্যাংকে আমানত ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি হু হু করে বাড়ছে। শেয়ারবাজারও চাঙ্গা।
করোনাকালে মানুষের আয় কমার পরও এই তিন খাতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশিমাত্রায় বিনিয়োগ হওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদসহ অনেকেই মনে করছেন, করোনার ক্ষতি পোষাতে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা ঋণের টাকার একটা অংশ সরিয়ে এসব জায়গায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন কিছু কর্মকর্তারও ধারণা এ রকম। কারণ উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সহায়ক বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে মন্দাবস্থা চলছে।
এমন অবস্থায় এসব খাতে বিনিয়োগ করা টাকার প্রকৃত উৎস কী তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দেখা গেছে, এক উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়ে অন্য উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হয়েছে। পরে সেই ঋণ আর ফেরত আসেনি। প্রণোদনার ঋণও যথাযথ উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হলে তা সঠিক সময়ে ফেরত আসবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, করোনাকালে শেয়ারবাজারের উত্থান, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধির সাম্প্রতিক যে গতিধারা তাতে ধারণা করা যায়, প্রণোদনার টাকার একটা অংশও এসব জায়গায় বিনিয়োগ হিসেবে আসছে। প্রকৃতপক্ষে প্রণোদনার সুবিধাভোগীদের কেউ এ রকম করছে কি না বা করেও যদি থাকে সেটা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন
(বিএসইসি) ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের উদ্যোগেই বের করতে পারে। কারণ বিএসইসির কাছে শেয়ারবাজারের প্রতিটি লেনদনের তথ্য রেকর্ড থাকে। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো যেসব ব্যবসায়ীকে প্রণোদনার ঋণ দিয়েছে, সেটারও রেকর্ড রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ওই ঋণের টাকা যথাযথ কাজে খাটাল কি না সেটা ব্যাংকগুলো তদারকির মাধ্যমে বের করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বড় শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত প্রণোদনার ঋণ খুব দ্রুতই বিতরণ করা হয়েছে। আমার ধারণা, সেই প্রণোদনার টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়নি। এর পরিবর্তে শেয়ারবাজারে টাকা চলে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি এফডিআরে টাকা খাটানো হতে পারে।’ এটা খতিয়ে দেখা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
অবশ্য ড. সালেহউদ্দিন আরো বলেন, করোনার সময় যাঁদের ব্যবসা ভালো হয়েছে, তাঁরা ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহ কম দেখাচ্ছেন। এসব উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর টাকাও শেয়ারবাজার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে আমানত হিসেবে ঢুকতে পারে। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের একটা অংশও এ তিন খাতে আসছে। অনেকেই কালো টাকা সাদা করেছেন। শেয়ারবাজারেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর স্থবির হতে শুরু করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে উৎপাদন ও বিনিয়োগের চাকা ছিল প্রায় বন্ধ। এ সময় বেসরকারি বিনিয়োগ আরো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ার পর থেকে ক্রমেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করছেন সবাই। তবে কয়েক মাস ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা বাড়েনি। ঋণ যেটুকু বেড়েছে, তা মূলত প্রণোদনানির্ভর। সরকার এখন পর্যন্ত এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একদিকে বলা হচ্ছে আয় কমে যাচ্ছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধি ও শেয়ারবাজার চাঙ্গা রয়েছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক। প্রণোদনার ঋণের টাকাও ডাইভার্ট হতে পারে। তবে বিস্তারিত অনুসন্ধান ছাড়া এটা বলা মুশকিল যে টাকার উৎস বা সূত্রটা কোথায়।’ তিনি বলেন, প্রকৃত উৎপাদন সহায়ক খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ কমে গেছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানিও কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার ৯ মাসে সোয়া এক লাখ কোটি টাকার মতো আমানত বেড়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকিং খাতে আমাতের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। সংক্রমণ শনাক্তের পরের মাস মার্চে সেই আমানত নেমে আসে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৪১৪ কোটি টাকায়। এরপর থেকে একক মাসের হিসাবে আমানত আর না কমলেও মে পর্যন্ত বাড়ার গতি ছিল খুবই ধীর। তবে জুনের পর থেকে তা হু হু করে বাড়ছে এবং নভেম্বরে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি ১৩.২৭ শতাংশে উঠেছে। অর্থাৎ জুন থেকে নভেম্বর এই ছয় মাসে ব্যাংকিং খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। আর মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে আমানত বেড়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। অথচ স্বাভাবিক বছর ২০১৯ সালের মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে আমানত বেড়েছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, করোনায় বেসরকারি বিনিয়োগে মন্দা বিরাজ করছে। আর বিনিয়োগ না হওয়া মানে সেই টাকা ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। আবার করোনার কারণে খরচ কমিয়েও ভবিষ্যতের কথা ভেবে সঞ্চয় করছে অনেকে। এ ছাড়া করোনার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ওই রেমিট্যান্সের একটা অংশ আমানত হিসেবেও ব্যাংকে ঢুকেছে।
প্রণোদনার টাকা সরিয়ে সঞ্চয় করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আতাউর রহমান প্রধান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘না, এমনটি আমার মনে হচ্ছে না। কারণ সুবিধাভোগীরা প্রণোদনার টাকা নিয়ে থেমে গেছেন তা নয় কিন্তু। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করার চেষ্টা করেছেন। তবে এটাও ঠিক, ঋণের যে কিস্তিগুলো শোধ করার কথা ছিল, করোনার কারণে সেটা শোধে ছাড় দেওয়ায় অনেকেই ওই টাকাটা জমিয়ে রেখেছে, এইটুকু হতে পারে।’
জাতীর সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন কড়াকড়ি আরোপ ও করোনার কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কম হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অর্থবছরের মাত্র পাঁচ মাসেই নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫ কোটি টাকা, যা পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মাত্র পাঁচ হাজার ৮৪১ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল।
এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। এক মাস ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতে দেখা যাচ্ছে। ২০১০ সালের পর এমনটি আর দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের মাধ্যমে যখন যেটা বাস্তবায়ন করা হয়, সেটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলো কি না সেটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও খতিয়ে দেখা হয়। আবার সুনির্দিস্ট অভিযোগ, আশঙ্কা বা সন্দেহ থেকেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ পরিদর্শন করা হয়। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে বা এ রকম কোনো সন্দেহ হলে অবশ্যই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
ঋণ পরিশোধ না করায় জেলে মায়ের সঙ্গী এক বছরের শিশু-দৈনিক যুগান্তর
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নিলুফা খাতুন ‘বীজ’ নামের এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বছর দেড়েক আগে। এনজিওকর্মীরা নিলুফার কাছ থেকে টাকা আদায়ে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
রোববার রাতে এনজিওকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রাম থেকে এক বছরের শিশুসন্তানসহ নিলুফাকে গ্রেফতার করেন। সোমবার নিলুফাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এক বছরের শিশুকন্যা সোনিয়াকেও মায়ের সঙ্গে জেলে যেতে হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বছর দেড়েক আগে মাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী নিলুফা খাতুন ‘বীজ’ নামের এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নেন।
সেই টাকায় জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করতেন। কিন্তু করোনার কারণে সালাম ও নিলুফা দম্পতির আয় রোজগার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে লকডাউনে মূল পুঁজি শেষ হয়ে যায়।
সম্প্রতি বীজ এনজিও নিলুফার কাছ থেকে জমা নেওয়া চেক ডিজঅনার করে তা দিয়ে আদালতে মামলা করে। আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
রোববার রাতে এনজিওকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাড়িয়া গ্রাম থেকে এক বছরের শিশুসন্তানসহ নিলুফাকে গ্রেফতার করেন। সোমবার নিলুফাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠান। এ সময় তার শিশুকন্যা সোনিয়াকেও মায়ের সঙ্গে জেলে যেতে হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিলুফাকে গ্রেফতার করা হলেও তার কোলে রয়েছে এক বছরের একটি শিশুকন্যা সোনিয়া। সোমবার সেই শিশুকন্যাকেও কঠিন ঠাণ্ডার মধ্যে মায়ের সঙ্গে রাজশাহী জেলে যেতে হয়েছে।
এ নিয়ে বীজ এনজিওর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মাড়িয়া গ্রামের মানুষ। লোকজন বিষয়টিকে অমানবিক মনে করে দ্রুত নিলুফাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
গ্রেফতার নিলুফা বেগমের স্বামী আব্দুস সালাম জানান, সাংসারিক নানা দায় দেনা মেটাতে আর করোনায় ছোটখাটো কাজ কারবার বন্ধ হওয়ায় ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারেননি। এই ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে কিছু দিন আগে নিলুফার স্বামী সালাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দেড় মাস রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।সম্প্রতি তারা ঋণের টাকা পরিশোধের চেষ্টা করছিলেন দিনমজুরি করে। ইতিমধ্যে অর্ধেকের বেশি টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু ঋণের সুদ বাড়তে থাকায় টাকার অংক কমেনি। আর সুদসহ এই টাকা আদায়ে বীজ এনজিও নিলুফাকে গ্রেফতার করায়।
স্থানীয়দের অভিযোগে আরও জানা গেছে, করোনাকালেও সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ঋণের কিস্তি তুলেছে রাজশাহীতে কার্যরত অধিকাংশ এনজিও।
দু একটির ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার সরকারি অনুমোদন থাকলেও অধিকাংশরেই নেই।তারপরও তারা গ্রামাঞ্চলে দেদারসে দাদন স্টাইলে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আবার ঋণের টাকা আদায়ে তারা চেক ডিজঅনার কৌশলকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।
বীজ নামের এনজিওটির লোকজন এলাকায় ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাংকে হিসাব খুলতে বলেন। হিসাব খোলা হলে চেকে সই নিয়ে নিজেদের কাছে জমা রাখেন। কোনো গ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে নিজেদের কাছে রাখা ব্যাংকের চেকে ইচ্ছেমতো অংক বসিয়ে ডিজঅনার করান। তার পর মামলা করেন।
তবে যাতায়াতের টাকা না থাকায় সেই মামলাতে আদালতেও যেতে পারেনি নিলুফা বেগম। ফলে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি হয়। তেমনি একটি মামলায় নিলুফা বেগমকে পুলিশ রোববার রাতে গ্রেফতার করেছে।
দুর্গাপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, এখানে পুলিশের কিছু করার ছিল না। আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা থানায় আসায় নিলুফাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তবে নিলুফার কোলে এক বছরের শিশুসন্তান থাকায় মানবিক কারণে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়নি। শিশুসন্তানটিকে একটি গরম কাপড় দেওয়া হয়েছিল। তাদের ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা হয়েছিল।
এদিকে বীজ এনজিওর দুর্গাপুর উপজেলা ম্যানেজার মাহিরুল ইসলাম এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ঋণ ব্যবসা করার তাদের অনুমোদন আছে কিনা সেটিও জানা যায়নি।
সাংসদ কেন গরিব অথবা সামাজিক বিস্ময়-সমকালের এ শিরোনামের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে,
গত ২৩ জানুয়ারি ২০২১ সারাদেশে প্রায় ৭০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দিয়েছে সরকার। এই জমি ও ঘর প্রাপকদের একজন হলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ। এই খবরটি সর্বসাধারণের মনে বিস্ময় জাগিয়েছে। কেননা তিনি জাতীয় পার্টির টিকিটে পরপর দু'বার ময়মনসিংহ-১০ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত। তারও আগে ছিলেন সেনা কর্মকর্তা।একজন মোহাম্মদ ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার (চট্টগ্রাম ৭ আসন) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯১ সালে। কমিউনিস্ট (সিপিবি) পার্টি করতেন। ১৯৬৯-৭০ সালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের দিকে শ্রমিক অধিকার আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯১-এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এই চিরকুমার জনসেবক। নিজস্ব সম্পদ বলতে তার কিছু ছিল না। জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। এলাকায় 'গরিবের এমপি' হিসেবে তার পরিচিতি বিস্তার লাভ করেছিল। আর্থিক অনটনে এই সাবেক সংসদ সদস্য দীর্ঘ মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন।বাংলাদেশের আর্থসামাজিক কাঠামো ও রাজনীতিকদের জীবনধারার প্রেক্ষাপটে এই দুই জীবন্ত গল্প বিস্ময় তো জাগায়ই, কিছু প্রশ্নেরও উদ্রেক করে। প্রথমত, দেশে মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফের মতো জননেতা আছেন। তারা জীবন ব্যয় করেন সমাজ ও মানুষের কল্যাণে। কিন্তু নিজের কর্মক্ষমতা হারানোর পর না জনগণ, না সংশ্নিষ্ট রাজনৈতিক দল, না সরকার তাদের খোঁজ রাখে।
সমাজ এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে, মানুষ কেবল সেবকের প্রশংসা করতে পারঙ্গম। সেবককে বাঁচিয়ে রাখার দায় কেউ বোধ করে না। প্রশংসা করতেই হয় যে, নিজের বা অন্য যে কোনো দলের প্রবীণ রাজনীতিকের সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এসেছেন। কিন্তু এ ধরনের অনিবার্য উদ্যোগ কেবল ব্যক্তি শেখ হাসিনার ওপরেই নির্ভর করে কেন, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। যারা সম্পদাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে কেবল জনসেবার মনোবাসনা নিয়ে রাজনীতি করেন, তাদের জন্য সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ক্ষমতাবানদের টাকা পাচার, পরের জমি দখল, আদম পাচার, দেশ-বিদেশে অবৈধ ব্যবসা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে নানান দেশে বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়ার যেসব খবর প্রকাশিত হয়ে চলেছে, তার মধ্যে 'গরিব এমপি' বা 'ভূমিহীন এমপি'র গল্প আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয় না। এই অস্থির সমাজে মানুষ 'গরিব খলিফা' উমরের গল্পে আর আগ্রহ বোধ করে না। গরিবের কোনো কর্মই সমাজ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে না। গরিবের চিকিৎসা না হওয়াটা সমাজ আপসে মেনে নেয়। চিকিৎসাসেবা এখানে 'মঙ্গা' পণ্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাজনীতিবিদদের বাইরেও অসংখ্য মানুষ আছেন যারা অর্থবান হওয়ার চেষ্টা না করে সৃষ্টিশীলতার অমসৃণ পথ বেছে নেন। নিবেদিত সংস্কৃতিকর্মী, বাউল-ফকির, লেখক-গবেষক, সমাজকর্মী যারা নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ রচনার পথ থেকে সরে এসে সমাজ, মানুষ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সুরক্ষা, চর্চা ও বিনির্মাণে জীবন ব্যয় করেন এবং একসময় নিঃস্ব হয়ে নিভৃতে পড়ে থাকেন। তারা ক্ষণস্থায়ী জীবনে সম্পদ অর্জনের চেয়ে দেশ ও সমাজের কাজকেই বেশি গুরুত্ব দেন। বৈশ্বিক অঙ্গনে জাতিগত ও জাতীয় গৌরব প্রতিষ্ঠায় শেষ পর্যন্ত এ মানুষরাই ভূমিকা রাখেন। সুতরাং এই ধরনের সাধারণ বিস্ময়কে কীভাবে সাধারণ সংস্কৃতিতে পরিণত করা যায়, সে ভাবনা ভাবার সক্ষমতাই হতে পারে আমাদের আরাধ্য।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সিংঘু সীমান্তে ব্যারিকেড ভাঙলেন কৃষকরা, কুচকাওয়াজের আগেই দাপট শুরু ট্র্যাক্টরের-আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারতে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাজধানী দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল করেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। কোথায় সরকারি নিয়মবিধি? কোথায় পুলিশের চোখ রাঙানি? প্রজাতন্ত্র দিবসের সকাল থেকে প্রতিবাদী কৃষকরা দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করলেন দিল্লি। কথা ছিল, দুপুর ১২টার পর শুরু হবে ট্র্যাক্টর মিছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদই খবর এল, সিংঘু সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছেন কৃষকরা। হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাক্টর নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই মিছিল শুরু করে। আর সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল।
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবস। আজ দিল্লির রাজপথে একদিকে শক্তি প্রদর্শন করল ভারতীয় সেনাবাহিনী, অন্যদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকেই ট্র্যাক্টর ব়্যালি করল কৃষকরা। রুট ভেঙে দিল্লিতে ঢুকলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশ পুলিশ কর্মীকে হেনস্তার চেষ্টা করে। তাদের হাতে ছিল লাঠি-তলোয়ার ছির। কৃষক বিক্ষোভের জেরে দিল্লি মেট্রোর একাধিক গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। বাস ও পুলিশ জিপে হামলার অভিযোগও উঠেছে। তাছাড়া দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সাথে কৃষকদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে আন্দোলনকারী কৃষকদের ওপর।
ঐতিহাসিক ভুল সংশোধন’, বাবরি ধ্বংস নিয়ে এমনই মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাভড়েকরের-আজকাল

ভারতের আত্মা রয়েছে রাম মন্দিরে। তাই বিদেশি হামলাকারীরা ধ্বংসের জন্য রাম মন্দিরকেই বেছে নিয়েছিল, দাবি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের।
এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ সংশোধন করা হয়। আর সেদিনের সেই ধ্বংস–যজ্ঞে করসেবকদের সঙ্গে সামিল ছিলেন তিনিও। এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে মসজিদ ভাঙা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত আবার বলে, ষড়যন্ত্র করে বাবরি ভাঙা হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এখন যেমন গর্ববোধ করছেন, সে ভাবেই আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন না কেন? অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার।’
শত্রু শিবিরে অগ্নিবর্ষণ করবে ‘আকাশ’, চিনকে নজরে রেখে ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের-সংবাদ প্রতিদিন
চিনের (China) সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের। সোমবার ওড়িশা উপকূলে অত্যাধুনিক আকাশ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
এক বিবৃতিতে ডিআরডিও জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে নতুন প্রজন্মের আকাশ মিসাইলের (Akash-NG) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। বায়ুসেনার জন্য তৈরি জমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এর ফলে বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঠিকানাগুলিকে শত্রুপক্ষের হামলা থেকে সহজেই রক্ষা করা যাবে। আকাশ মিসাইল মোতায়েন থাকলে সেই নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান সহজে হামলা চালাতে সক্ষম হবে না বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।