এপ্রিল ২০, ২০২১ ১৫:১৮ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! -২০ এপ্রিল মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • আরেক মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাইবে সিআইডি -যুগান্তর 
  • বাড়ছে মানুষ-গাড়ি সড়কে ভিন্ন চিত্র– মানবজমিন
  • কয়েক মাসেই মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে বিশ্ব: ডব্লিউএইচও-ইত্তেফাক
  • নারী চিকিৎসকের ঘটনায় চিকিৎসক ও পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি –ইত্তেফাক
  • চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • আবারও বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারে আলজাজিরা -সমকাল
  • শ্রমিকের সস্তা জীবন, মায়ের আহাজারি আর ধনীর ‘উন্নয়ন’–প্রথম আলো
  • রিমান্ডে মুখ খুলতে শুরু করেছেন মামুনুল হক -কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • অমানবিক! ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় নাবালকের গায়ে গরম জল ঢালল বিজেপি কর্মী -সংবাদ প্রতিদিন
  • ৫ শহরে লকডাউন!‌ হাইকোর্টের রায়কে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারে যোগী সরকার –আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।

ভ্যাকসিনকে সর্বজনীন ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনার ভ্যাকসিনকে সর্বজনীন পণ্য ঘোষণা করা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দুর্যোগময় এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বসম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে প্রচারিত পূর্ব রেকর্ড করা ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাড়ছে মানুষ-গাড়ি সড়কে ভিন্ন চিত্র– মানবজমিন

লকডাউনের সময় আরো বাড়ছে। কিন্তু দিন দিন কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই সড়কে বাড়ছে মানুষ ও যানবাহন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। কেউ বন্ধুর বাসায় বেড়াতে বের হয়েছেন। কেউ ফাঁকা রাস্তায় প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। এ ছাড়াও কাঁচাবাজার থেকে ওষুধ কেনাসহ নানা অজুহাতে বাসার বাইরে বের হন লোকজন। কেউবা উপার্জনের আশায় নামছেন সড়কে। সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ষষ্ঠ দিনে গতকাল ঢাকার সড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে মানুষ ও যানবাহন ছিল বেশি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত নেতাদের বৈঠক-

গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবি-মানবজমিন

হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে এ দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের নেতারা। সোমবার রাত দশটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় রাত সোয়া এগারোটায়।

ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে,গণগ্রেফতার বন্ধের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় হাজির হন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করলেও গ্রেফতার বন্ধের ব্যাপারে তাদের কোন আশ্বাস দেননি। পাশাপাশি নির্দিষ্ট মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানান।

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক

যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে,আরেক মামলায় মামুনুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাইবে সিআইডি।বাবুনগরী বলেছেন সংঘাতে যাবেন না –দোয়া করুন। আর তথ্যমন্ত্রী বলেছেন মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড দেশ ও জাতির জন্য হুমকিস্বরুপ।

আবারও বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারে আলজাজিরা-সমকাল

আবারও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে কাতারভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক আলজাজিরা। ভাসানচরে প্রত্যাবাসন করা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সম্প্রতি একটি নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রচার করে চ্যানেলটি। তবে বাস্তব চিত্র হলো, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা সেখানে আগের তুলনায় অনেক ভালো পরিবেশে রয়েছেন। ভাসানচরে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি অনেক গণমাধ্যমে সেখানকার সঠিক তথ্য তুলে ধরা হলেও আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে অনেক তথ্য গোপন করেছে।শুধু প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গারাই নয়, জাতিসংঘের টেকনিক্যাল টিম এবং ১০টি দেশের কূটনৈতিক দলও ভাসানচর পরিদর্শন করে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে আলজাজিরার ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন অনেকে।

আল জাজিরা

এর আগেও বিভিন্ন সময় ভুয়া তথ্য দিয়ে উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে সমালোচনার মুখে পড়েছে চ্যানেলটি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্নেষক এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী সমকালকে বলেন, ভাসানচর নিয়ে আলজাজিরা যা প্রচার করেছে, এটা স্রেফ অপসাংবাদিকতা। এর আগেও নানা ইস্যুতে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে তারা বিতর্ক তৈরি করে। হলুদ সাংবাদিকতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ চ্যানেলটি প্রত্যাখ্যান করেছে। পশ্চিমা মিডিয়ার বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড়াতে গিয়ে তারা অনেক ক্ষেত্রেই নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখছে না।

ইশফাক এলাহী বলেন, ভাসানচরে যেসব রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে, তারা আগের তুলনায় সব দিক থেকে ভালো রয়েছেন। বাংলাদেশ যেভাবে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসস্থল তৈরি করেছে, তা এক অনন্য উদাহরণ। অনেক পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে শরণার্থী শিবিরের করুণ দশা। আলজাজিরা ভাসানচর নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, এটা শেষ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ সবাই দেখেছেন, সেখানে রোহিঙ্গারা কেমন পরিবেশে জীবনযাপন করছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সমকালকে বলেন, শুরু থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মানবতাবিরোধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে আলজাজিরা। বিশ্ববাসী দেখেছে, কীভাবে বিভিন্ন সময় চ্যানেলটি আইএস ও আল কায়দার মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছে। এটিকে গণমাধ্যম বলতে রাজি নই আমি। সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও তারা যে অপপ্রচার চালিয়েছে, তা জঘন্য।

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি সরকার ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যাচার করে আলজাজিরা। হেফাজতের পক্ষেও তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে সংবাদ প্রচার করে আসছে। আলজাজিরা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেও তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছে।

সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিক সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামিকে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর সামিউলের নাম আবার সামনে আসে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার ব্যাপারে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অনেক আগে থেকেই নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিলেন সামিউল। র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণায় জড়িত থাকার ঘটনায় ২০০৬ সালে গ্রেপ্তারও হন তিনি। এ ছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ১১ আসামির মধ্যে ৬ নম্বর আসামি ছিলেন সামি। অপকর্মের জন্য তিনি সেনানিবাসে নিষিদ্ধও ছিলেন। তবে আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে তার অতীত সব অপকর্ম চেপে যায়।

অভিযোগ আছে, ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আলজাজিরা। ওই বছর তিন ব্যক্তির গুম হওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তার যোগসাজশ নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদন করে তারা। এতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের পক্ষেও প্রচার চালায় চ্যানেলটি। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মো. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায়ের পর 'বাংলাদেশ পার্টি চিফ টু হ্যাং ফর ওয়ার ক্রাইমস' শিরোনামে এক প্রতিবেদনে ৩০ লাখ মানুষের শহীদ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হয়, ইতিহাসবিদদের হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আলজাজিরা নিউজ চ্যানেলের প্রচারিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও মানহানিকর। এটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর, যা উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কুখ্যাত ব্যক্তিদের যোগসাজশে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অপপ্রচার বলে স্পষ্ট। বাংলাদেশের প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করছে চ্যানেলটি।'

নারী চিকিৎসকের ঘটনায় চিকিৎসক ও পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি-ইত্তেফাক

চলমান লকডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ‘নিগ্রহ’ ও ‘হয়রানির’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন- বিএমএ। পাশাপাশি ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। একই সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, ওই চিকিৎসক গোটা পুলিশ বাহিনীকে কটাক্ষ করেছেন।

রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে ডা. জেনির সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বিতন্ডায় রূপ নেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। দুই পেশার নেতারা নিজেদের সহকর্মীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

পুলিশকে ‘হারামজাদা’ বলে মন্ত্রীকে ফোন দিলেন সেই নারী চিকিৎসক

গতকাল সোমবার বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জেনির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। পাশাপাশি রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে।

এদিকে স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডা. সাঈদা শওকত জেনি কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে পুলিশের হাতে অযাচিতভাবে হেনস্তার শিকার হন। পুলিশ ও প্রশাসনের এমন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।অন্যদিকে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তারা বলেছেন, করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নে চলমান 

কার্যক্রমে পুলিশ সদস্যদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ, হয়রানি ও অসহযোগিতার কিছু চিত্র গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই স্থানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে চেকপোস্ট চলাকালে একজন চিকিৎসকের কাছে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হয়।

এতে তিনি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। যা একজন পেশাদার ও সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি শুধু ওই পুলিশ সদস্যদেরই অপমান করেননি, গোটা পুলিশ বাহিনীকেই কটাক্ষ ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। যা মিডিয়া চিত্রে প্রতীয়মান। তিনি পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছেন। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং ‘আর আমি কি, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’ বলে হুমকি দিয়েছেন। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জোর দাবি জানাচ্ছে।

চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট-বাংলাদেশ প্রতিদিন

লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। 

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। 

আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এ বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। আপনি কেন এসেছেন। এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও এক চিকিৎসক। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও চিকিৎসক রয়েছেন।

আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়া সমীচীন হয়নি। দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়।

উল্লেখ্য, গত রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।    

সাইমুম পারভেজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক। তার লেখা একটি মতামত কলাম ছাপা হয়েছে প্রথম আলোতে। শিরোনামটি এরকম,শ্রমিকের সস্তা জীবন, মায়ের আহাজারি আর ধনীর ‘উন্নয়ন’১৭ এপ্রিল ২০২১-তে প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি ছবিতে চোখ আটকে যায়। ১৮ বছর বয়সী এক শ্রমিকের লাশের ছবি। মনে হচ্ছে এখনো তারুণ্য না পার হওয়া ছেলেটি নির্বিঘ্নে ঘুমাচ্ছেন আর সন্তানের মুখ দুই শীর্ণ হাতে আঁকড়ে ধরে আছেন মা। ছবির ক্যাপশন পড়ে বুঝলাম মা মাথা নিচু করে আহাজারি করছেন। মা আর মৃত সন্তানের এ ছবিটির মতো হৃদয়বিদারক এ পৃথিবীতে কি আর কিছু আছে? অথচ এই গল্পটি অন্য রকম হতে পারত। যে বকেয়া বেতনের জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরলেন, সেই বেতনে হয়তো তরুণটি মায়ের জন্য একটি নতুন শাড়ি কিনে আনতে পারতেন। মায়ের চোখে অশ্রুর বদলে থাকতে পারত সুখের হাসি।চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত শ্রমিকদের বয়স ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে। জীবন শুরু করতে না করতেই শেষ হয়ে গেল। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে শুরু থেকেই জনমানুষের বিরোধিতা ছিল। এর আগেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে প্রাণহানি ঘটেছে। আমাদের এই দেশে গরিবের মৃত্যু সহজ, সংক্ষিপ্ত আর খুব সস্তা। তাই কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিপূরণে মুখ বন্ধ হয়ে যায় সবার। হত্যাকাণ্ডের কোনো সুষ্ঠু বিচার হয় না।

বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন যেকোনো দেশেই স্বাভাবিক ঘটনা। আন্দোলন ঠেকানোর তো নানা উপায় আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি করে মেরে ফেলার মতো ঘটনা বারবার কেন ঘটছে, তার কারণ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সাধারণত কর্তৃত্ববাদী সরকারব্যবস্থায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভয়ের সংস্কৃতি সমাজের সব স্তরে জারি রাখা প্রয়োজন হয়, তারই ধারাবাহিকতায় যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ ও আন্দোলনকে কঠোর হাতে দমন করা জরুরি হয়ে পড়ে। 

উন্নয়নের পথযাত্রায় দেশের মানুষ কতটা লাভবান হচ্ছে সেই প্রশ্ন থাকলেও একটি শ্রেণি যে লাভাবান হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ক্ষমতার আশপাশে থাকা যেকোনো গোষ্ঠীর বিনিয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকেও ‘উন্নয়নবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকি যে কোনো ধরনের গণ-আন্দোলন। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সম্ভবত জানেন যেকোনোভাবে আন্দোলন ঠেকাতে হবে। তাই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো সংযম দেখা যাচ্ছে না। তারা হয়তো এটাও জানেন যে তাদের এ ধরনের আচরণ সরকারের সমর্থন পাবে। 

এখন প্রশ্ন আসতে পারে সরাসরি সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়, এমন ক্ষেত্রেও কেন সরকার এত কঠোর। বাংলাদেশের বিগত নির্বাচনগুলো ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ। এমন একটি বাস্তবতায় বর্তমান সরকার তার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিকে বৈধতা দিতে উন্নয়নের বয়ানকে ব্যবহার করছে। যে কোনো ধরনের ‘উন্নয়ন’ কাজে ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিরোধী নানা কর্মকাণ্ড ঘটে, যার বিরোধিতাও হয়। এই উন্নয়নের পথযাত্রায় দেশের মানুষ কতটা লাভবান হচ্ছে সেই প্রশ্ন থাকলেও একটি শ্রেণি যে লাভাবান হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই ক্ষমতার আশপাশে থাকা যেকোনো গোষ্ঠীর বিনিয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকেও ‘উন্নয়নবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সূচকের নানা ধারায় বাংলাদেশ কীভাবে দ্রুতগতিতে উন্নতি করছে, তা নিয়ে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। সুশাসন, শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়াও বাংলাদেশ কীভাবে উন্নয়ন করছে, তা অনেকের কাছে একটি ধাঁধা। তবে বাংলাদেশের এই দ্রুত উন্নতির প্রতিফলন কি সমাজের সব স্তরে রয়েছে নাকি অল্প কিছু মানুষ ফুলে-ফেঁপে উঠছেন, তা একটি জরুরি প্রশ্ন।

আর এই কথিত উন্নয়নের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলা দরকার। ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণায় দেখা যায়, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। এমনকি করোনা মহামারি আসার আগেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধনী-গরিব বৈষম্যও বেড়েছে। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০১৭-১৮: প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ অনুযায়ী বাংলাদেশে ধনীরা আরও ধনী আর গরিবেরা আরও গরিব হচ্ছেন। সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশের খানাপ্রতি আয় (হাউজহোল্ড ইনকাম) ২০০৫ সালে ছিল ১ হাজার ১০৯ টাকা। ২০১৬ সালে তা কমে ৭৩৩ টাকা হয়। আর ধনী ৫ শতাংশের ২০০৫ সালে খানাপ্রতি আয় ছিল ৩৮ হাজার ৭৯৫ টাকা। এই আয় ২০১৬ সালে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ৯৪১ টাকায়।

তাই যে ব্যবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বসবাস করছে, তা যেন কেবল ধনিক শ্রেণির সুবিধা দেখে আর ওপরে ওঠার সিঁড়ি তৈরি করে দেয়। আর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ কোনো ইস্যুতে প্রতিবাদ করলেই ধেয়ে আসে জুলুম, তাদের সেই সব দাবি-দাওয়া যত ন্যায্য ও ন্যায়সংগতই হোক না কেন। ধনীর জামিন হয় আদালতে না এসেই, তাদের দুয়ারে উপস্থিত থাকে উড়োজাহাজ। যাঁরা গণতন্ত্রের কমতিকে উন্নয়নের খাতিরে বৈধতা দিতে চান, গণতন্ত্রের প্রশ্নে চীনের মডেলকে কার্যকরী মনে করেন, তাঁরা ভুলে যান চীনের মডেলে লুটেরাতন্ত্র আর দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। 

কোনো ধরনের সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি না নিয়ে, শুধু ধনিক শ্রেণি তোষণ করে যে উন্নয়ন, তা একদিকে সমাজে বৈষম্য বাড়ায় আর অন্যদিকে গণতন্ত্রহীনতাকেও বৈধতা দেয়। তাই আমরা না পাই গণতন্ত্র, না পাই সত্যিকারের উন্নয়ন। আমরা পাই শ্রমিকের রক্ত-ঘামে ধনীর উল্লম্ফন, আর গরিবের দীর্ঘশ্বাস ভরা ‘উন্নয়ন’।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

৫ শহরে লকডাউন!‌ হাইকোর্টের রায়কে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারে যোগী সরকার-আজকাল

দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। দৈনিক আক্রান্ত টানা ৬ দিন ধরে ২ লাখের বেশি। মৃত্যুর মিছিল। অথচ সামাল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের ৫ শহরে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

উত্তরপ্রদেশে করোনা বাড়ছে লাগামছাড়াভাবে। তাই সোমবার রাজধানী লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, গোরখপুর, কানপুরে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সমস্ত ধর্মীয় জমায়েত, শপিং মল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। 

যোগী সরকার সোমবারই জানিয়ে দেয়, লকডাউন তারা করবে না।

অমানবিক! ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় নাবালকের গায়ে গরম জল ঢালল বিজেপি কর্মী-সংবাদ প্রতিদিন

‘জয় শ্রীরাম’ বলতে রাজি না হওয়ায় দশ বছরের এক নাবালকের গায়ে গরম জল ছিটিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপিকর্মীর বিরুদ্ধে। মারধরে ওই নাবালক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায়। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে ওই নাবালককে ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবাদে সরব হন এলাকার মানুষ।

লকডাউনের জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাঙ্কে টাকা দিক কেন্দ্র, ট্যুইট করে দাবি রাহুল গান্ধীর-আজকাল

করোনায় ফের জর্জরিত দেশ‌। দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে রীতিমতো উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্রে লকডাউন জারি করা হয়েছে। যার ফলে আরও একবার বাড়ি ফেরার পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা। দিল্লির আনন্দবিহার, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিওরে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে ভিড় চোখে পড়েছে সেই চিত্রই বলে দিচ্ছে আরও একবার কার্যত অগ্নিপরীক্ষায় পড়তে চলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এই পরিস্থিতিতে ফের কেন্দ্রের কাছে তাদের হয়ে সুর চড়ালেন রাহুল গান্ধী। পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়ার কথা বললেন তিনি।

এদিন ট্যুইটারে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘ফের রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কর্তব্য তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া।' কেন্দ্রকে অবশ্য এদিন খোঁচা দিয়ে লেখেন, সাধারণ মানুষের ওপর করোনার দায় চাপানোর পর আদৌ কি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে?

'মরে গেলেও তো এখন টিকা পাব না', বিদেশে কোভিড ভ্যাকসিন রপ্তানি নিয়ে মোদিকে তোপ মমতার-সংবাদ প্রতিদিন

সোমবারই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১ মে থেকে খোলা বাজারে করোনার ভ্যাকসিন মিলবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই পাবেন টিকা। নরেন্দ্র মোদির সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী প্রচার থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে তাঁর পালটা প্রশ্ন, “এত মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করার পর কেন্দ্র বলছে খোলাবাজারের করোনার টিকা মিলবে। কিন্তু মিলবে কী করে? এত ভ্যাকসিন কোথায়?”#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
 

ট্যাগ