জুলাই ৩১, ২০২১ ১০:১২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৩১ জুলাই শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা -ইত্তেফাক
  • পদ্মা সেতু-৮০টি স্ল্যাব বসালেই হয়ে যাবে যান চলাচলের পথ -প্রথম আলো
  • সরকার দেশেকে দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ করেছে: ফখরুল -মানবকণ্ঠ
  • হেলেনা জাহাঙ্গীর ৩ দিনের রিমান্ডে-মানবজমিন
  • বিতর্কিত সেফুদার ‘নাতনি’ হেলেনা, তাদের মধ্যে ছিল লেনদেনও-যুগান্তর
  • ১৫ আগস্ট শুধু শোক দিবস নয়, শক্তি সঞ্চয়েরও দিন : সেতুমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • সব সরিয়ে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না হলে বেঙ্কাইয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা-আনন্দবাজার
  • গণতন্ত্র বাঁচাতে ফের একজোট হওয়ার ডাক, প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন মমতা -সংবাদ প্রতিদিন

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

হেলেনা জাহাঙ্গীর ৩ দিনের রিমান্ডে-মানবজমিন

হেলেনা জাহাঙ্গীর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। পুলিশের আবেদনে ঢাকার সিএমএম আদালত শুক্রবার রাতে এ আদেশ দেন।

শুক্রবার রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসা থেকে দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখায়। পরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সেফুদা

যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে,বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সমালোচিত বাংলাদেশি নাগরিক সেফুদার নিয়মিত যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদার নাতনি হিসেবে সম্বোধন করতেন। সেফুদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। করতেন লেনদেনও।

খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত।

তিনি আরও বলেন, হেলেনা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি ১২টি ক্লাবের সদস্যপদে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফুদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সমালোচনায় আসে।

মানবকণ্ঠের খবর,বহিষ্কার হওয়ার পরও নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক দাবি করে আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেছেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি এখনও দলের সঙ্গে আছি।

ড. হাছান মাহমুদ

এদিকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,নিয়মনীতিহীন আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন কিছু আইপি টিভি অনেক সময় গুজব রটানোতে যুক্ত হয়, অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ভাঁড়ামোতে লিপ্ত হয়। এসময় জয়যাত্রা নামের আইপি টিভি পরিচালনাকারী হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফাঁকফোকর দিয়ে দলের উপকমিটিতে এ ধরণের কারো ঢোকা সমীচীন হয়নি। এদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল।তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আমার মা কি আইসিইউ’র জন্য মারা যাবে?মানজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,নারগিস আক্তারের আহাজারিতে ভারী হাসপাতালের বাতাস।চার হাসপাতাল ঘুরেও মায়ের জন্য একটা আইসিইউ বেড পাইনি। আমার মা কি আইসিইউ’এর জন্য মারা যাবে? আমার মাকে বাঁচান! নারগিসের এ আকুতিতে অসহায় আশপাশের মানুষজন। শুক্রবার দুপুরে মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের সামনে অসুস্থ মাকে নিয়ে টানা দুইঘন্টা অ্যাম্বুলেন্সে বসে ছিল নারগিস। তার মা মনুদা বেগম শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে। চাঁদপুর থেকে আসা ঐ মায়ের আইসিইউ প্রয়োজন ছিল।চার হাসাপাতল ঘুরে মহাখালীতে এসেও মেলেনি আইসিইউ বেড। শুধু কি নারগিসের মা? না আরও অনেক শ্বাসকষ্টের রোগীর অ্যাম্বুলেন্স এসে ভিড়েছে মাহাখালী ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামণে সবারই একই অবস্থা। মিলছে না আইসিইউ বেড। তারা যাবে কোথায়!

১৫ আগস্ট শুধু শোক দিবস নয়, শক্তি সঞ্চয়েরও দিন : সেতুমন্ত্রী-কোলের কণ্ঠ

ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল

জাতীয় শোক দিবসসহ আগস্ট মাসের পালনীয় দিবসগুলোতে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি সীমিত পরিসরে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে পালনের জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগস্ট বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র ৩ বছর ৭ মাসের মাথায় দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে ঘাতকরা বাঙালি জাতির কপালে কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দেয়।বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির কাছে শুধু শোক দিবস নয়, বাঙালি জাতির শক্তি সঞ্চয়েরও দিন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আদর্শিক লড়াই ও সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমগ্র জাতির শোককে আজ শক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, নিরলস পরিশ্রম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে চিহ্নিত একটি মহল এখনও দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আজও তারা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে।

সরকার দেশেকে দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ করেছে: ফখরুল-মানবজকণ্ঠ

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশেকে ‘দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ’ করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল বলেন,ব্যাংকিং সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। শেয়ার মার্কেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানিলন্ডারিং এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, এখন সরকার নিজে বলছে এটা নিয়ন্ত্রণ করার দরকার। দুর্ভাগ্য আমাদের, এই কয়েকদিন আগে দেখলাম দুদকের যিনি প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন, তার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ চলে এসেছে। তিনি বলেন, আজকে সরকার একটা মিথ তৈরি করতে চায়। মিথটা হলো, সাউথ-ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটা রোল মডেল মধ্য আয়ের দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। এটা একটা মিথ ছাড়া কিছু না। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, এখন এদেশে প্রায় ৬ কোটি লোক দারিদ্রসীমার নিচে। আজকে করোনার যে আঘাত এসেছে সেই আঘাত সহ্য করতে পারছে না বাংলাদেশ, অর্থনীতি সহ্য করতে পারছে না। আজকে আরও দুই কোটি লোক নতুন করে দরিদ্র হয়ে গেছে। একদিকে কিছু লোক লুটের মধ্য দিয়ে, দুর্নীতির মধ্য দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।

পদ্মা সেতু৮০টি স্ল্যাব বসালেই হয়ে যাবে যান চলাচলের পথ-প্রথম আলো

স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প ধীরে ধীরে সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে। মাওয়ার নির্মাণমাঠে ছোট-বড় বেশ কিছু ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর কিছু কিছু এখন আর কাজে লাগছে না। তাই শুরু হয়েছে ছাউনি ভেঙে ফেলার কাজ। 

অন্যদিকে আর মাত্র ৮০টি কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো হলেই যানবাহন চলাচলের পথ সম্পন্ন হবে। আগস্টের শেষ দিকেই তা শেষ হওয়ার কথা। এরপর চাইলে এপার-ওপার হেঁটেই যাতায়াত করা যাবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৪ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৭ শতাংশ। আগামী জুনে কাজ শেষ করার সময়সীমা ঠিক করা আছে। তবে মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) আগামী এপ্রিলের মধ্যেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। সেতুর নিচতলা দিয়ে চলবে ট্রেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিবছর কী পরিমাণে যানবাহন চলাচল করবে, তা নিয়ে ২০০৯ সালে একটি বিস্তারিত সমীক্ষা করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের শুরুতে যদি পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়, তাহলে ওই বছর সেতু দিয়ে চলাচল করবে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন। সংখ্যাটি প্রতিবছরই বাড়বে। ২০৫০ সালে প্রায় ৬৭ হাজার যানবাহন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে। পদ্মা সেতু এবং এর দুই প্রান্তে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন বসাতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আলাদা একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা-ইত্তেফাক

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আগামী ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প কারখানা খুলে দিচ্ছে সরকার। শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে উৎপাদনমুখী সব শিল্প প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতারা।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

গণতন্ত্র বাঁচাতে ফের একজোট হওয়ার ডাক, প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন মমতা-সংবাদ প্রতিদিন

পাঁচ দিনের দিল্লি সফর শেষে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর আগে ফের বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। বললেন, “গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লড়াই চলবে। ” একইসঙ্গে প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধী জোটের আগামী রূপরেখা এঁকে দেন তিনি। বলেন, “দেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। তাই একজোট হয়ে লড়াই হবে। বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। কোভিড নিয়মের জন্য সংসদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারিনি। তাই অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি।” মূল্যবৃদ্ধিকে ইস্যু করে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিরোধীদের লাগাতার আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দেশবাসীর অবস্থা খারাপ। কেন্দ্র সরকার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।” মনে করা হয়েছিল এই সফরে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সেই প্রসঙ্গে এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার ওঁদের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়নি। ওঁরা কেউ তো যোগাযোগ করেননি। তবে যখন বাংলায় গিয়েছিলেন তখন কথা হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের পাশেই আছি আমি।”

সব সরিয়ে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না হলে বেঙ্কাইয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে,মনমোহন সিং সরকারের দ্বিতীয় পর্বে রৈাকসভা ও রাজ্যসভায় তকন বিরোধী আসনে বিজেপি দলনেতা সুষশা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি।

লাদাখ

সেনা সরানো নিয়ে উত্তপ্ত লাদাখ, শনিবার ফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে মুখোমুখি ভারত চীন। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, হট স্প্রিংস এবং গোগলা হাইট থেকে সেনা সরানো নিয়ে দুদেশের মধ্যে এই বৈঠক। এর আগেও ১১ বার বৈঠক করেছেন দুদেশের সেনা কমান্ডাররা। তবে কোনো তেমন কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারেনি।আজকের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে দেপসাং থেকে চীনা সরতে রাজি হবে কি না? আর সেদিকে নজর রাখছে ভারত।ভারত সেখান থেকে সেনা সরাতে রাজি আছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখ পরিস্থিতি উত্তপ্ত বারবার উচ্চপর্যায়ের সেনাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে সমঝোতার বিষয়ে কিন্তু পরে দেখা গেছে  চীন তাদের আগ্রাসী ভূমিকা থেকে সরেনি।

ঋণের বদলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান! বিশ্ব ব্যাংকের ‘অন্যায়’ শর্তে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ-সংবাদ প্রতিদিন

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় অন্য সমস্ত বিষয়কে পাশে সরিয়ে রেখে আগে পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। তা মানা না হলে এবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বিরুদ্ধে তৃণমূল, কংগ্রেসসহ অধিকাংশ বিরোধী দল অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বলে সূত্রের দাবি।বাদল অধিবেশেনের শুরু থেকেই সংসদের দুই কক্ষে পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব বিরোধীরা। কিন্তু সরকার তাতে রাজি না হওয়ায় কার্যত ভেস্তে গেছে প্রথম দুসপ্তার অধিবেশন। ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ  সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে সংসদ।

ঋণের বদলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। এবার বাংলাদেশের কাছে এমন ‘অন্যায়’ শর্ত পেশ করল বিশ্ব ব্যাংক। তবে বিষয়টি যে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ঢাকা।

বছর দুয়েক আগে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করে বার্মিজ ফৌজ। অভিযোগ, ওই অঞ্চলের নিরীহ রোহিঙ্গাদের উপর হত্যা, ধর্ষণের মতো অত্যাচার চালায় সরকারি বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণ করে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ১ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। কক্সবাজার ও ভাসানচরে শরণার্থী শিবির তৈরি করা হয়েছে। এহেন সময়ে ঋণের বদলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার শর্ত পেশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। যা কিছুতেই মানতে রাজি নয় ঢাকা। ইতিমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাব মেনে না নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে চিঠি দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বিশ্ব ব্যাংকের ওই প্রস্তাব মেনে নিয়ে ওই সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ করলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বদলে তাদেরকে বাংলাদেশেই চিরতরে রেখে দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিদেশমন্ত্রক। এজন্য ওই প্রস্তাবের পরিবর্তন না হলে উদ্বাস্তু সংক্রান্ত কোনও অর্থ বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে না নেওয়ার লিখিত মতামত পাঠানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে বিদেশমন্ত্রক।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কাছে সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক তাদের প্রস্তাবিত ‘রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্ক’টি মতামতের জন্য পাঠায় এবং চিঠিতে উল্লেখ করে- ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কোনও মতামত না পেলে ওই প্রস্তাব সরকার মেনে নিয়েছে বলে তারা ধরে নেবে। বিশ্ব ব্যাংকের এই রিফিউজি পলিসি রোহিঙ্গা-সহ অন্যান্য দেশে অবস্থিত সব উদ্বাস্তুর জন্য প্রযোজ্য। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মতামত চাইলে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে মন্ত্রক। ওই বৈশ্বিক ফ্রেমওয়ার্কের তিনটি উদ্দেশ্য হচ্ছে‑ উদ্বাস্তু ও হোস্ট কমিউনিটির জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করা। শরণার্থীরা যে দেশে অবস্থান করছে সেই সমাজে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া অথবা তাদের ফেরত পাঠানো। এবং, দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাতে করে নতুন শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে বাংলাদেশ। অন্যান্য অনেক দেশ শরণার্থীদের দেখভালের জন্য রাষ্ট্রসংঘকে অর্থ প্রদান করে। এই অর্থ প্রদানের পরিমাণ দিনদিন কমে আসছে এবং এর ফলে বাড়তি বোঝা বাংলাদেশের ওপর চাপানোর একটি চেষ্টা আছে বিদেশিদের বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে আরেকজন আধিকারিক বলেন, “বিদেশি অর্থদাতারা চাইছে রোহিঙ্গাদের উপার্জনের ব্যবস্থা, যাতে তারা নিজেদের খরচ নিজেরাই মেটাতে পারে। এছাড়া তাদের জন্য শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, অবাধ চলাচলের বিষয়েও তারা জোর দিচ্ছে। এজন্য রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন-সহ অন্যান্য বিষয়গুলো চালু করার প্রস্তাব করছে তারা।” এই বিষয়ে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের জন্য এইসব শর্ত মেনে নিলে দেশের দীর্ঘমেয়াদি যে লক্ষ্য আছে তার সঙ্গে সংঘাত হতে পারে। এজন্য খুব সতর্ক থাকতে হবে। সহজ কথায়, বাংলাদেশ এই প্রস্তাব মানবে না বলেই জানিয়ে দিলেন তিনি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ