আগস্ট ০৭, ২০২১ ১০:৪৪ Asia/Dhaka
  • অভিনেত্রী ও মডেল গ্রেফতার: 'নজরদারিতে ২১-আতঙ্কে ঘুম হারাম বহু প্রভাবশালীর'!

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৭ আগস্ট শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু আজ-ইত্তেফাক
  • অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের-প্রথম আলো
  • নানা আলোচনা ডিবি থেকে মামলা সিআইডিতে-মানবজমিন
  • অভিনেত্রী ও মডেল গ্রেফতার : নজরদারিতে ২১-আতঙ্কে ঘুম হারাম বহু প্রভাবশালীর-যুগান্তর
  • ২৩ কথিত নেতা গ্রেপ্তার হতে পারেন যেকোনো সময়গোয়েন্দা তালিকায় শতাধিক-কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • এখন পর্যন্ত ৫০ কোটি কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে-টুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি-আনন্দবাজার
  • কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে একজোট বিরোধীরা, যন্তরমন্তরে বিক্ষোভে Rahul-সহ অবিজেপি সাংসদরা-সংবাদ প্রতিদিন
  • ত্রিপুরায় ভয় পেয়েছে বিজেপি, সভাতেই স্বীকার করেছে দুর্বলতা! মন্তব্য কুণালের। -আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু আজ-ইত্তেফাক

সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে আজ শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। মানবজমিনের শিরোনাম-অ্যাম্বুলেন্সেই এক করোনা রোগীর জীবন-মৃত্যুর লড়াই। অন্য একটি শিরোনা- করোনা আক্রান্ত এক মায়ের অন্যরকম যুদ্ধ।

যশোরে ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে ‘অ্যান্টিবডি’: গবেষণা-প্রথম আলো

যশোরের ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের গবেষক দল গবেষণা করে আজ শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যশোরের তিনটি উপজেলার ৬টি অঞ্চলের প্রায় ৪০০ মানুষের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ‘অ্যান্টিবডি’ পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো, ৩৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বা এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

করোনা

মানুষের শরীর থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতিতে এই গবেষণা চালানো হয়। করোনার ডেলটা ধরনের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধের প্রকৃত হার জানতেই এ ধরনের গবেষণার উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বাড়িতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে পজিটিভ করোনা রোগী ছিলেন, সেই সব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৩৮ ভাগের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর করোনা পজিটিভ রোগী–সংশ্লিষ্ট বাড়ির পাশের করোনা পজিটিভবিহীন বাড়ির ২৪ ভাগে মানুষের মধ্যে করোনার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। গ্রামের তুলনায় শহরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির শতকরা হার কম।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গবেষণায় টিকা গ্রহণকারীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এত বেশি মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি থাকা এটাই প্রমাণ করে যে চারপাশে করোনা উপসর্গহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অধিক জনসংখ্যা, মানুষের মাস্ক ব্যবহারের উদাসীনতাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য করোনা পজিটিভ মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

ডেঙ্গুর লাল বার্তা রোগী বাড়ছে জ্যামিতিক হারে-মানবজমিন

করোনায় চলছে মৃত্যুর মিছিল। চারদিকে প্রিয়জন হারানোর কষ্ট ও শোক। ঠিক সেই সময়ই নতুন হানা দিচ্ছে ডেঙ্গু। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। সরকারি হিসাবে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। এর মধ্য গত মাসে ২২৮৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। চলতি মাসের প্রথম ৫ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৪৩ জন। আছে মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরও। ২০২০ সালের জুন ও জুলাই মাসের তুলনায় চলতি বছরের গত দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় ৬০ গুণ।

করোনা আতঙ্কে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বাসা-বাড়িতে। যে কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যাও থেকে যাচ্ছে আড়ালে। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশুরা। এই অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলছেন, জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে রোগী আরও বাড়বে। মাসের শেষদিকে রাজধানীসহ সারা দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এজন্য সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্যবিদ ও নগরবাসী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার মানবজমিনকে বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছি। সিটি করপোরেশন যেভাবে মশা নিধন করছে এভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। বর্তমানে যেসব অভিযান চলছে তা যথেষ্ট নয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এডিসের ঘনত্ব বেড়েছে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ আগের তুলনায় বেড়েছে কয়েকগুণ।

যুগান্তর শিরোনাম করেছে এমন, করোনায় মৃত্যু, ডেঙ্গি সংক্রমণ মহামারি পর্যায়ে- গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৮১ গুণ।

ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান-তদন্তই শেষ হয়নি অর্ধেক মামলার-যুগান্তর

ক্যাসিনো

ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের দুই বছর পূর্তি হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরে। কিন্তু প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাগুলোর অর্ধেকেরই তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়নি। বাকি অর্ধেক মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হলেও করোনা মহামারিতে সেগুলোর বিচার কার্যক্রম অনেকটা ঝুলে আছে। দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়ে গেছে, সেহেতু যারা তেমন প্রভাবশালী নন, তাদের ক্ষেত্রেও চার্জশিট দিতে কোনো বাধা নেই বা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সুযোগ নেই। আমরা যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আইনের আওতায় তাদের (ক্যাসিনোকারবারিদের) বিচারের সম্মুখীন করা আমাদের দায়িত্ব। আর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে নিঃসন্দেহে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে টাকা পাচার হলে তা আনা সহজ বিষয় নয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের মামলাগুলোর তদন্ত ও বিচারে দীর্ঘসূত্রতার নমুনা রয়েছে। সার্বিকভাবে দীর্ঘ সময়েও তদন্ত শেষ করতে না পারায় তদন্ত সংস্থার দক্ষতার ঘাটতি প্রতীয়মান হয়।

হাফ ডজন মামলায় চার্জশিট হলেও করোনায় আটকে আছে বিচার * তাদের বিচারের সম্মুখীন করা আমাদের দায়িত্ব -দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল

নানা আলোচনা ডিবি থেকে মামলা সিআইডিতে-মানবজমিন

চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল বিকালে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যাল থেকে তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, পরীমনির কাছ থেকে পাওয়া কিছু তথ্য যাচাইয়ের জন্য তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পরিবারের কাছে দেয়া হবে। প্রয়োজন হলে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পরীমনি

এদিকে, ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে নতুন করে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি প্রথমে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। পরে এ মামলাটিসহ সাতটি মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।শুক্রবার পুলিশ সদরদপ্তরের এক নির্দেশনায় মামলাগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।মামলাগুলো হচ্ছে, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার ৩টি, মৌ এর একটি, হেলেনা জাহাঙ্গীরের পল্লবী থানার একটি, পরীমনির একটি ও  নজরুল ইসলাম রাজের একটি।

এদিকে পরীমনির কস্টিউমি ডিজাইনার জিমি’র আটকের খবর দিয়েছে প্রায় সব দৈনিক। আর ইত্তেফাক লিখেছে, মাদক মামলায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল হতে পারে পরীমণির। খবরে বলা হয়েছে, অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখা, পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় তিনি এখন চার দিনের রিমান্ডে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। হতে পারে অর্থদণ্ডও। তবে রিমান্ড শেষে অন্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা আরও বাড়বে।

Image Caption

এরআগে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, পরীমনির মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। এই মামলায় তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ওঠা আরও কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আমাদের কাছে তথ্য আছে পরীমনি অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছেন। এ পথে আসতে এক নারী থাকে সহযোগিতা করেছে। আমরা সেই নারীকে খুঁজছি। তার বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। এছাড়া ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার সময় পরীমনির সঙ্গে জিমি নামের এক ব্যক্তি ছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

অভিনেত্রী ও মডেল গ্রেফতার : নজরদারিতে ২১-আতঙ্কে ঘুম হারাম বহু প্রভাবশালীর-যুগান্তর

বিতর্কে জড়িয়ে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন অভিনেত্রী ও মডেলরা। অপরাধে তাদের সম্পৃক্ততার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। আরও এক ডজন মডেল নজরদারিতে রয়েছেন। এতে আতঙ্কে অন্তত ২১ প্রভাবশালী ব্যক্তির ‘ঘুম হারাম’ হওয়ার অবস্থা।

এক সময় এসব ব্যক্তি ওই মডেলদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের নিয়ে তারা দেশের বাইরেও ‘প্লেজার ট্রিপে’ গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মডেলদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার ও ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এখন তাদের অনেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তদবির করতে মাঠে নেমেছেন।

ফারিয়া মাহবুবসহ অন্য মডেল

প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন কেউ কেউ। মোবাইল ফোন বন্ধ করে এবং ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করে তাদের অন্তত চারজন গা-ঢাকা দিয়েছেন। তবে তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরীমনি, পিয়াসা ও মৌর কয়েক সহযোগীও রয়েছেন রিমান্ডে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণ চোরাচালান, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা, জাল মুদ্রা তৈরি, অস্ত্র কারবারে সম্পৃক্ততাসহ নানা অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা গ্রেফতার অভিনেত্রী ও মডেলরা স্বীকার করেছেন।

এ সময় তাদের ‘সুগার ড্যাডি’দের নামও উঠে আসে। যারা টাকার বিনিময়ে অথবা চাপ দিয়ে অনেক মডেলের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। নানা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করেছেন। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা প্রশাসনিকভাবে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অভিনেত্রী ও মডেলদের গ্রেফতারের পর এসব প্রভাবশালী ব্যক্তির অনেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন অথবা ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করেছেন। অনেকে অনলাইনে যোগাযোগের সময় পাঠানো বিভিন্ন ছবি, কথোপকথন, অডিও ও ভিডিও বার্তা মুছতে অপর প্রান্তে থাকা তরুণীদের অনুরোধ করছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের কেউ কেউ দেশত্যাগের চিন্তাও করছেন। অনেকে আবার অভিযোগ থেকে বাঁচতে নেমেছেন লবিং-তদবিরে।

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বিভিন্ন ব্যক্তির বাসায় ঘন ঘন যাতায়াত করছেন তারা। সাক্ষাৎকালে কেউ কেউ তদবির করতে না পেরে অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টাও করছেন।

ঢাকার তিনটি অভিজাত হোটেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নিয়মিত ‘গেস্ট’কে গত সপ্তাহে তারা দেখতে পাননি। যাদের সঙ্গে প্রায় সব সময় রুপালি জগতের অভিনেত্রী, মডেলসহ অনেক সুন্দরী তরুণীকে দেখা যেত। এসব সুন্দরীর অনেককে মুখ ঢেকে কিংবা বোরকা পরেও হোটেলে ঢুকতে দেখা যেত। এবারের অভিযানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চলাচল সীমিত করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

অভিনেত্রী ও মডেলদের কেলেঙ্কারির ঘটনার এবার শেষ দেখতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেজন্য রিমান্ডে পিয়াসা ও মৌর মোবাইল ডিভাইসগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করছেন তারা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের-প্রথম আলো

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত রেকর্ড গড়েই অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ রানে। আর এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ জিতল।অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর মাহমুদউল্লাহ বললেন, সাহস নিয়ে বোলিং করতে বলেছিলেন সাকিব।এটিই অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।

বাংলাদেশের জয়কে অঘটন বলার পর এবার যা বলল ভারতীয় গণমাধ্যম-যুগান্তর

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই জয়ে বাংলাদেশ দলের প্রশংসায় যখন পঞ্চমুখ বিশ্বক্রিকেট তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এই জয় দেখেছে ‘অঘটন’ হিসেবে!

বুধবার অস্ট্রেলিয়াকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো হারানোর পর কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা শিরোনাম করে — ‘ফের অঘটন, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ’।

এভাবেই বাংলাদেশের এই জয়কে খাটো করা হয়েছিল ‘অঘটন’ শব্দ জুড়ে দিয়ে।

কিন্তু এবার আর সেই পথ মাড়ায়নি গণমাধ্যমটি অনলাইন ভার্সন। বাংলাদেশ দলের জন্য প্রশংসার ফুলঝুড়ির পসরা মিলিয়ে বসেছে। টাইগারদের প্রাপ্য সম্মানটাই দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়কে বিশ্বক্রিকেটে চমক হিসেবে উপস্থাপন করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

সবচাইতে বড় বিষয়- নিজ দেশের আর সব গুরুত্বপূর্ণ খবর রেখে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের খবরকে লিড করেছে তারা। অনেকটা সময় ধরে এ খবরটি লিড রয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনামে তারা লিখেছে - ‘বাংলাদেশের চমক, দুই ম্যাচ বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জয়। ’

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক

টানা তিন ম্যাচ হেরে সিরিজ পরাজয়ের প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয় দলের অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড বলেন, ‘বাংলাদেশ সত্যি অসাধারণ খেলেছে। তাদের বোলাররা দুর্দান্ত। তারা আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই ১২০-১৩০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখে। আমরা তাদের অসাধারণ বোলিংয়ে ব্যাট হাতে ভালো খেলার কোনো সুযোগই পাচ্ছি না। এটা সত্যি হতাশার। শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবিলা সত্যি কষ্টসাধ্য। তাদের অনেকে আমাদেরকে এক ওভারে ৪-৫ রানের বেশি দিতেই চায় না। আসলে রিকয়ার্ড রানরেট ৬-৭ হয়ে গেলেই এই উইকেটে তা কষ্টকর হয়ে যায়, আর ৮ হয়ে গেলে তো প্রায় অসাধ্য। এখন আমাদের এটাই দেখার বিষয় বাকি দুই ম্যাচে কিভাবে ফিরব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসন্ন। তাই প্রতিটি ম্যাচই সোনার চেয়ে দামি।’

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে একজোট বিরোধীরা, যন্তরমন্তরে বিক্ষোভে Rahul-সহ অবিজেপি সাংসদরা

‘কালা’ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এবার দিল্লির যন্তরমন্তরে গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াল বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে শুক্রবার যন্তরমন্তরে কৃষকদের আয়োজন করা কিষাণ সংসদে হাজির হয় বিরোধী সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদল। যাতে কংগ্রেস ছাড়াও NCP, DMK, RJD, শিব সেনার মতো দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের পাশ করানো তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে প্রায় আটমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। অথচ, কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার বা কৃষক সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে একচুলও এগোতে পারেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিকে আগের থেকে তীব্রতা কমলেও রাজধানী দিল্লি এবং তৎসংলগ্ন এলাকার কৃষকরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকে সংসদ চত্বরেই বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা ছিল কৃষকদের। কিন্তু দিল্লি সরকার অনুমতি না দেওয়ায় যন্তরমন্তরে (Jantar Mantar) নিজেদের মতো করে কিষাণ সংসদ (Kishan Sangsad) তৈরি করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিতর্কিত আইন বিরোধী কৃষকরা। শুক্রবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ১০টির বেশি বিরোধী দলের প্রতিনিধি সেই কিষাণ সংসদে যোগ দিলেন। যন্তরমন্তরে দাঁড়িয়ে রাহুল দাবি করেছেন, ‘আজ এই কালা কানুনের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ।’

রাজনীতির খবর-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার শিরোনাম-বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পিছনে কৌশলগত ভুল, কেন্দ্রীয় কমিটির নিশানায় বাংলা সিপিএম। খবরটিতে লেখা হয়েছে,বিধানসভা ভোটে রাজ্যে শূন্য হয়ে যাওয়ার পরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অগ্নি বর্ষণের মুখে পড়ল বাংলার সিপিএম! নির্বাচনী কৌশলে ভুল পথে হেঁটেই বাংলায় বামেদর ভরাডুবি হয়েছে এই অভিযোগে সরব হলেন কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানাসহ একাধিক রাজ্যের নেতারা।

এদিকে আজকালের একটি শিরোনাম এরকম- ত্রিপুরায় ভয় পেয়েছে বিজেপি, সভাতেই স্বীকার করেছে দুর্বলতা! মন্তব্য কুণালের।

অন্যদিকে,সংবাদ প্রতিদিনে রাজনীতির অপর এক খবরের শিরোনাম-উপনির্বাচনে জিতবে BJP’, তৃণমূল নেতা Mukul Roy-এর মন্তব্যে ফের শোরগোল। এ খবরে বলা হয়েছে, উপনির্বাচনে হারবে তৃণমূল! বিরোধী দল নয়, এমন মন্তব্য শোনা গেল খোদ মুকুল রায়ের গলায়! যা নিয়ে শুক্রবার রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন কথা বললেন বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসকদলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায় (Mukul Roy)? কৃষ্ণনগর পুরসভায় সাংগঠনিক কাজে গিয়েছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। খাতায় কলমে তিনি এখনও কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। যে কারণে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান পদে আসীন তিনি। এদিন সেই মুকুল রায়ই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন বাংলায় আসন্ন উপনির্বাচনে বিজেপিই জিতবে! ‘তৃণমূলের (TMC) হার’ হবে। তাঁর দলীয় অবস্থানে রীতিমতো হকচকিয়ে যান শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। মুকুল বলেন, “দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৭
 

ট্যাগ