আগস্ট ১৪, ২০২১ ১৫:২১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৪ আগস্ট শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • কারসাজি চক্রের কারণে চালের দাম বাড়ছে -ইত্তেফাক
  • ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর: দুটি ড্রোন কিনতে বরাদ্দ ৬ কোটি টাকা-প্রথম আলো
  • জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির উদ্বেগ,শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠ-মানবজমিন/ইত্তেফাক
  • রাজনীতিতে করোনার প্রভাব-বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বিপর্যস্ত -যুগান্তর
  • খুনি ও চাঁদাবাজদের দখলে আইপি টিভি-কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • রাহুলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে ভারতের ফেসবুক প্রধানকে তলব শিশু কমিশনের-আনন্দবাজার
  • আফগানিস্তানে ফৌজ পাঠালে ফল ভাল হবে না’, এবার ভারতকে সরাসরি হুমকি তালিবানের -সংবাদ প্রতিদিন
  • ত্রিপুরায় তৃণমূলের হাত ধরছে সিপিএম? সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্যে বাড়ছে ধোঁয়াশা -আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর: দুটি ড্রোন কিনতে বরাদ্দ ৬ কোটি টাকা-প্রথম আলো

ভূমি জরিপের জন্য দুটি সার্ভেয়িং ড্রোন কিনতে যাচ্ছে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। দুটি ড্রোন কেনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ছয় কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি ড্রোনের দাম বাবদ বরাদ্দ তিন কোটি টাকা।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ড্রোন দুটি কেনা হচ্ছে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ড্রোন দুটি কেনার জন্য ৬ কোটি টাকা ছাড়াও এগুলো আমদানি করতে কাস্টম শুল্ক বাবদ ৫৫ লাখ এবং মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ড্রোন দুটির পেছনে ৭ কোটি ৫ লাখ টাকা খরচ করতে যাচ্ছে অধিদপ্তর।

ড্রোন উৎপাদনকারী চারটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, লাইডার সেন্সরসমৃদ্ধ বা ভূমি জরিপ ও মানচিত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত প্রতি ড্রোনের দাম পৌনে ২ লাখ থেকে ১৮ লাখ টাকা।

বাংলাদেশে ড্রোন আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, জরিপ করার ড্রোন ১২ থেকে ১৮ লাখ টাকার মধ্যেই হয়। তবে ড্রোনের সঙ্গে লাইডার, ব্যাটারিসহ আরও কিছু অ্যাকসেসরিজ প্রয়োজন হয়। সে জন্য পুরো সেটের দাম ১ কোটি ১০ লাখ টাকার মতো পড়ে। যদি খুব ভালো সেট হয়, সে ক্ষেত্রে তার দাম সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা হতে পারে। এর বেশি নয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রকল্প করার সময় প্রথমে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) বানানো হয়। ডিপিপি অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ের পর একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদিত হয়। এরপর সেটা কার্যকর করার জন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ হয়। আপনি বলছেন, দাম বেশি কি না! তাহলে এই যে এত লোকজন, তাঁরা দেখলেন না? এখানে অনেক বড় কর্মকর্তা জড়িত। তাঁদের চোখে বিষয়টি ধরা পড়েনি?’

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির উদ্বেগ-মানবজমিন

সংক্রমণ ও মৃত্যু কোনটাই স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আসেনি। কিন্তু সরকার বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সরকার তাড়াহুড়া করে বিধিনিষেধ শিথিল বা তুলে নেয়ায় আবারও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা পরামর্শক কমিটির। ১৩ই আগস্ট কমিটির গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

মানবজমিনের অপর এক খবরের শিরোনাম-ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এ খবরে লেখা হয়েছে,করোনার থাবায় নাজেহাল বিশ্ব। ইতিমধ্যে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কিন্তু দেশে করোনার পাশাপাশি এখন ডেঙ্গু হানা দিয়েছে। দিন দিন এর ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়ছে। এডিস মশা থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে মানুষের। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ১৪ বছরের কম বয়সী।এ নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সম্প্রতি এটিএন নিউজের এসাইনমেন্ট এডিটর সারোয়ার হোসেনের দশ বছরের শিশুপুত্র ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেন বহু মানুষ। এমনিতেই হাসপাতালগুলো করোনা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ওপর ডেঙ্গুর চিকিৎসা নতুন করে চাপ তৈরি করেছে। কয়েকটি হাসপাতালে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হলেও তার সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেকেই হাসপাতালে আসছেন না।

ওদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিসের বিস্তার বেড়েছে। করপোরেশন থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও পরিস্থিতি এখনো অনিয়ন্ত্রিত।চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য ও কিট বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের একটি বড় অংশ শিশু।

ঢাকা ছেড়েছেন অনেক ভাড়াটিয়া বাড়িওয়ালারা অর্থ সংকটে-ইত্তেফাক

ভালো নেই রাজধানীর বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। করোনা মহামারিতে গ্রামে চলে গেছেন শতকরা ৪০ ভাগ ভাড়াটিয়া। ফাঁকা পড়ে আছে অনেক ফ্ল্যাট, বাড়ি। রাজধানীর অনেক বাসার গেটে বা দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘টু-লেট’ বা ‘বাড়ি ভাড়া’ বিজ্ঞাপন। বড় বাসা ছেড়ে দিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে উঠতে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার। করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে ধাক্কা লেগেছে, তাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। আয় কমে গেছে অগণিত মানুষের।

রাজধানীতে আগে কাজের সুবাদে যারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন, তারা এ পরিস্থিতিতে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। অনেকে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছেন বাড়ির মালিককে। এ কারণে মূলত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে করোনা মহামারিতে শুধু যে ভাড়াটিয়ারাই অর্থসংকটে বিপদে পড়েছেন, তা নয়; একই সংকটে পড়েছেন বাড়ির মালিকরাও। বাড়িভাড়ার টাকায় সংসার চালানো বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া না পেয়ে মাসের পর মাস অর্থকষ্টে ভুগছেন বলে জানা গেছে ।

কারসাজি চক্রের কারণে চালের দাম বাড়ছে-ইত্তেফাক

দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। গত বোরো মৌসুমেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে। এখন মাঠে আছে আমন। বন্যা না হলে আমনেও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কিন্তু এত ইতিবাচক খবরের পরও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৫২ টাকায় উঠেছে। এই দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্য চালের দামও বাড়তি। ফলে এই করোনা মহামারির মধ্যে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কারসাজি চক্রের কারণেই চালের দাম বাড়ছে। বেশি লাভের আশায় মিলার ও মজুতদাররা ধান, চাল মজুত করে রেখেছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে ধান-চালের সরবরাহ কম। এই সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, চালের দাম কমাতে সরকার সারা দেশে ওএমএস চালু করলেও বাজারে তা কোনো প্রভাব ফেলছে না।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ‘নব্য মজুতদারদের’ কারণে চালের দাম বাড়ছে। করোনার কারণে অন্য ব্যবসায় মন্দা থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ধান, চাল কিনে মজুত করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, খাদ্যমন্ত্রী যদি এই মজুতদারদের বিষয়ে জানেন তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?

আর যুগান্তরের শিরোনাম এরকম- নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি ধরাছোঁয়ার বাইরে সেই সিন্ডিকেট।

মতামত-রিনভী তুষারের-প্রথম আলোতে পরিবেশিত এ নিবন্ধের শিরোনাম-

‘রাজনীতির দিন’ হারিয়ে যাওয়া মানে জনগণের দিনও হারিয়ে যাওয়া। এতে লেখা হয়েছে,গত ২৮ জুন সংসদে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অনুযায়ী সাংসদেরা সচিবদের ওপরে। এটা খেয়াল রাখতে হবে।’ একজন রাজনীতিবিদের মুখে এ মন্তব্য কিছুটা আর্তনাদের মতোই শুনিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। তখন মন্ত্রীরা জেলার দায়িত্ব পালন করতেন। সেখানে গেলে কর্মীরা আসত। মন্ত্রীরা গ্রামেগঞ্জে যেতেন। কোথায় যেন সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে।’

এখানে তোফায়েল আহমেদ ঠিক কথাটাই বলেছেন যে ‘দিনগুলো হারিয়ে গেছে।’ তাহলে এখন প্রশ্ন করতে হয়, বাংলাদেশ থেকে কি রাজনীতির দিন হারিয়ে গেছে বা যাচ্ছে? একাডেমিক বিবেচনায় এটা কিছুটা জটিল আলোচনা। তবু এর সহজ একটা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে যেতে পারে। রাজনীতিকীকরণ একটি প্রক্রিয়া। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করার দায়িত্ব সংসদের। সংসদ গঠিত হয় সংসদ সদস্য দিয়ে। সংসদে আসা সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। এটাই গণতন্ত্রের মূল ব্যাকরণ।

পাঠক হিসেবে এমন অতি সাধারণ জ্ঞানে আপনার বিরক্ত হওয়ারই কথা। বিরক্তি নিয়ে চেষ্টা করেও কি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে আপনি গণতন্ত্রের ব্যাকরণের কোনো মিল খুঁজে বের করতে পারেন? উত্তর মনে মনে গোপন রাখাই আপাতত নিরাপদ। লেখক হিসেবে কিছুটা ঝুঁকি আমার প্রাপ্য। তাই শিরোনামে করা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যাকরণের ব্যবচ্ছেদ করতেই হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করার দায়িত্ব সংসদের। সংসদ গঠিত হয় সংসদ সদস্য দিয়ে। সংসদে আসা সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। এটাই গণতন্ত্রের মূল ব্যাকরণ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে আপনি গণতন্ত্রের ব্যাকরণের কোনো মিল খুঁজে বের করতে পারেন?

রাজনীতিতে করোনার প্রভাব-বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বিপর্যস্ত-যুগান্তর

করোনায় বিপর্যস্ত বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম। গত বছর মার্চে এই মহামারি শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ছয়বার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছে দল। চার মাস ধরে এখনো স্থগিত। যে কারণে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্রুত সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সব জেলা কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। গত ১৭ মাসে মাত্র ১৪টি সাংগঠনিক জেলার কমিটি গঠন করা গেছে। বন্ধ রয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচিও। এখন ভার্চুয়াল আলোচনায়ই সীমাবদ্ধ দলের রাজনীতি।

কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার কৌশলই হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকা, যা এখন পুরোপুরি বন্ধ। দল পুনর্গঠনের কাজেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর- নিকেশ লস্কর জঙ্গি-সংবাদ প্রতিদিন ও আনন্দবাজারসহ ভারতের প্রায় সব বাংলা দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে,স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল জম্মু-কাশ্মীর। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার ধাঁচেই BSF-এর কনভয়কে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। ঘটনায় একাধিক বাসিন্দা এবং দু’জন আধিকারিক আহত হন। এরপরই পালটা জবাব দেয় বাহিনী। রাতভর চলে গুলির লড়াই। আর সেই সংঘর্ষেই এবার নিকেশ হল এক লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রও। শুক্রবার সকালে গুলির লড়াইয়ে সাফল্য পায় সেনাবাহিনী। তবে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এখনও দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইও চলছে। 

‘আফগানিস্তানে ফৌজ পাঠালে ফল ভাল হবে না’, এবার ভারতকে সরাসরি হুমকি তালিবানের-সংবাদ প্রতিদিন

আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালালে ফল ভাল হবে না। এবার ভারতকে সরাসরি হুমকি দিল তালিবান। তবে সে দেশে পরিকাঠামো নির্মাণে নয়াদিল্লির মদত প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি।

কাতারের রাজধানী দোহা থেকে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন বলেন, “যদি আফগানিস্তানে সেনা নিয়ে আসে ভারত, তাহলে আমার মনে হয় এটা তাদের জন্য ভাল হবে না। আফগানিস্তানে অন্য দেশগুলির সেনাবাহিনীর কী অবস্থা হয়েছে তা তারা দেখেছে। তাই এই পরিস্থিতি তাদের জন্য খোলা বইয়ের মতো।” তবে নয়াদিল্লিকে কিছুটা আশ্বস্ত করে শাহিন বলেন, “তারা (ভারত) আফগানিস্তানের মানুষকে সাহায্য করছে। পরিকাঠামো নির্মাণেও মদত দিয়েছে ভারত। এদিকে, তালিবানের সঙ্গে ভারতের পর্দার আড়ালে বৈঠক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শাহিন বলেন, “আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধিদের দেখা হওয়ার কথা শুনেছি তবে সঠিক জানি না। আমার জানা মতে এখনও সেরকম কোনও বৈঠক হয়নি। তবে গতকাল দোহায় আমরা বৈঠক করেছি। সেখানে ভারতের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। তবে আমরা কোনও দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করতে দেব না।”

রাহুলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে ভারতের ফেসবুক প্রধানকে তলব শিশু কমিশনের-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,রাহুল গান্ধী সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন।সেই ভিডিয়োয় নির্যাতিতা নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করেছন বলে অভিযোগ তার বিরুদেধ।নয় বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করার অভিযোগ উঠেছে।৪ আগস্ট এ নিয়ে টুইটারকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। এরপর রাহুলের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে টুইটার।

ত্রিপুরায় তৃণমূলের হাত ধরছে সিপিএম? সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্যে বাড়ছে ধোঁয়াশা- আজকালের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। এবার তৃণমূলের লক্ষ্য দিল্লি দখল।আর সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই ভিন রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে তৎপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় বিজেপিকে ২০২৩ বিধানসভা ভোটে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অভিষে ব্যানার্জী।অন্যদিকে সিপিএমের লক্ষ্যও প্রায় এক। ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারাতেই হবে। ফলে তৃণমূলের হাত ধরে লড়াই করবে সিপিএম এ প্রসঙ্গকে জিউয়ে রাখালেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৪

ট্যাগ