ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
পুতিনের ক্ষোভ, টিকা নিয়ে চলছে অসৎ প্রতিযোগিতা
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৩১ অক্টোবর রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- কয়েদিদের সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট-প্রথম আলো
- পুতিনের ক্ষোভ, টিকা নিয়ে চলছে অসৎ প্রতিযোগিতা-মানবজমিন
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য তহবিল গঠনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর-ইত্তেফাক
- নথি গায়েব: স্বাস্থ্যের ৬ কর্মচারীকে নিয়ে গেছে সিআইডি-যুগান্তর
-
সরকার চায় শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদল-বললেন ওবায়দুল কাদের-কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- ভুল বুঝিয়েছিল বিজেপি, দশ মাসের গেরুয়া সফর শেষে বললেন ‘লজ্জিত’ রাজীব-আনন্দবাজার পত্রিকা
- সর্দার প্যাটেলের আদর্শেই যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ভারত, দাবি মোদির -সংবাদ প্রতিদিন
- ত্রিপুরায় ডিসেম্বরে সভা করবেন মমতা, বিপ্লব দেবের স্বপ্নপূরণ করে দেব: অভিষেক ‘–আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
কথাবার্তার প্রশ্ন (৩১ অক্টোবর)
১. চমেক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ: আহত আকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম এটি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এই সংঘর্ষ সম্পর্কে আপনি কি বলবেন?
২. ইরানের ড্রোন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। কিভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
কয়েদিদের সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট-প্রথম আলো
কনডেমড সেল, কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধা, কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপসহ সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার প্রতিবেদন দিতে বলে ১৪ নভেম্বর পরবর্তী দিন রেখেছেন।
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি গত ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।
সেদিন হাইকোর্ট দেশের কারাগারগুলোয় কতগুলো সেল, কতজন বন্দী ও কনডেমড প্রিজনার আছেন এবং কারাগারের সুযোগ-সুবিধা—এসব তথ্যসহ কারাগারের বর্তমান অবস্থা জানতে চান।
রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে বলে আদালত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
কনডেমড সেল, কারাবন্দীদের সুযোগ-সুবিধা, কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপসহ সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার প্রতিবেদন দিতে বলে ১৪ নভেম্বর পরবর্তী দিন রেখেছেন।
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি গত ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।
সেদিন হাইকোর্ট দেশের কারাগারগুলোয় কতগুলো সেল, কতজন বন্দী ও কনডেমড প্রিজনার আছেন এবং কারাগারের সুযোগ-সুবিধা—এসব তথ্যসহ কারাগারের বর্তমান অবস্থা জানতে চান।
রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে বলে আদালত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য শুনানিতে তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মনির।
ওই তথ্যমতে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির সংখ্যা ১ হাজার ৯৮৭। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৩ জন পুরুষ ও ৫৪ জন নারী। আর ব্যবহার্য কনডেমড সেলের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৯। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫৬টি পুরুষ ও ১৪৩টি নারীদের জন্য।

কনডেমড সেলে সাধারণত একজন করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির তুলনায় সেলের সংখ্যা অপ্রতুল হলে একাধিক কয়েদিকে একসঙ্গে রাখা হয়। কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের চিত্তবিনোদনের জন্য বইপুস্তক ও পত্রপত্রিকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সেলের আঙিনায় নিয়মিত শরীরচর্চার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।
শুনানিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট এসেছে কি? তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, রিপোর্ট আসেনি। তখন আদালত বলেন, ‘তাহলে একটা তারিখ দিচ্ছি। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে লিখিত আকারে প্রতিবেদন দেবেন।’
তিন রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেথ সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আবদুর রশিদ ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির মো. শাহ আলম। ওই তথ্যমতে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির সংখ্যা ১ হাজার ৯৮৭। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৩ জন পুরুষ ও ৫৪ জন নারী। আর ব্যবহার্য কনডেমড সেলের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৯। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫৬টি পুরুষ ও ১৪৩টি নারীদের জন্য।
কনডেমড সেলে সাধারণত একজন করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির তুলনায় সেলের সংখ্যা অপ্রতুল হলে একাধিক কয়েদিকে একসঙ্গে রাখা হয়। কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের চিত্তবিনোদনের জন্য বইপুস্তক ও পত্রপত্রিকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সেলের আঙিনায় নিয়মিত শরীরচর্চার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে।
শুনানিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট এসেছে কি? তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, রিপোর্ট আসেনি। তখন আদালত বলেন, ‘তাহলে একটা তারিখ দিচ্ছি। ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক বিষয়ে লিখিত আকারে প্রতিবেদন দেবেন।’
তিন রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেথ সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আবদুর রশিদ ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির মো. শাহ আলম।
বললেন ওবায়দুল কাদের-সরকার চায় শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদল-কালের কণ্ঠ
সরকার চায় শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদল। কিন্তু বিএনপি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলতে চায়। তাদের আন্দোলন কথাসর্বস্ব এবং ভার্চুয়াল।'
আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) নিজের বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বিএনপির রাজনীতিতে নেই, নেই কোনো রাজনৈতিক ইতিবাচক কর্মসূচি। হঠকারী রাজনীতি এবং ধর্মান্ধ ও ক্ষমতালোভী নেতৃত্ব বিএনপিকে আজ কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সরকার চায় শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদল। কিন্তু বিএনপি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলতে চায়। তাদের আন্দোলন কথাসর্বস্ব এবং ভার্চুয়াল। বিএনপির এসব কর্মসূচির সঙ্গে জনগণ ও রাজপথের কোনো সংযোগ নেই।

ভুল থেকে শিক্ষা নিতে না পারাই বিএনপির বড় ব্যর্থতা বলেও উল্লেখ করে কাদের। বলেন, 'ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আছে বলেই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার পাল্লা এখন অনেক ভারি। ক্ষমতার রাজনীতিতে বিএনপিকে মানুষ আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পারছে না।' তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতারা সর্বত্র নৈরাজ্য দেখতে পায়, তারা দেশের ভালো কিছু দেখতে পায় না। বিএনপি সকালের স্নিগ্ধ আলোয় দেখে সন্ধ্যার অন্ধকার। তারা এতটাই একচোখা যে গত এক যুগের বেশি সময় সরকারের একটা ভালো কাজও দেখতে পায়নি। বিএনপি জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়েছে।'
'চতুর্দিকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা, মানুষ পরিবর্তন চায়'- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির অবস্থাই এখন শ্বাসরুদ্ধকর।' তিনি বলেন, 'একদিকে নির্বাচন ও আন্দোলনের ব্যর্থতা, অপরদিকে কর্মী সমর্থকদের হতাশা, সবমিলিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে।'
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, 'শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের প্রতিটি খাতে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা। এ অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির অপরাজনীতির পরিবর্তন চায়।' তিনি বলেন, 'বিএনপি যদি নিজেদের বদলাতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে মুসলিম লীগের মতো।'
নথি গায়েব: স্বাস্থ্যের ৬ কর্মচারীকে নিয়ে গেছে সিআইডি-যুগান্তর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বিভাগটির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে সিআইডি।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান যুগান্তরকে জানান, কাউকে আটক করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
কিন্তু শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ রোববার নথি গায়েবের ঘটনায় সচিবালয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা।

তারা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিচতলায় (২৯ নম্বর কক্ষ) অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসাইন ও যুগ্ম সচিব কাজী আনোয়ার হোসেনের কক্ষে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এ সময় সবার আঙ্গুলের ছাপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করা হয়। অন্তত ১৩ জনের আঙ্গুলের ছাপ নেয় সিআইডির ক্রাইম সিন।
তদন্তের জন্য এদিন সচিবালয়ে এসেছিলেন সিআইডির বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
শাহবাগ থানায় করা জিডি বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই।
যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।
জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, রিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথি।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাদিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য তহবিল গঠনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর-ইত্তেফাক
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে রক্ষার জন্য আরও তহবিলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, আমাদের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে আগামী দশকে ছয় ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সিভিএফের অধিকাংশ দেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত, নিম্ন বা অগ্রগণ্য মধ্যম-আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনে সহায়তায় তাদের তহবিল ও বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইতিমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন।’
শেখ হাসিনা ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের সিইও প্যাট্রিক ভারকইজেনের যৌথভাবে লেখা একটি প্রবন্ধ ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ প্রকাশ করেছে। ‘জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে বাঁচতে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জন্য আরও অর্থের যোগান দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক তাদের এ যৌথ প্রবন্ধে উন্নয়শীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে বাঁচাতে বার্ষিক তহবিলে উন্নত দেশগুলোর একশ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

তারা লিখেছেন, ‘আমাদের জলবায়ু সঙ্কট হচ্ছে বৈশ্বিক। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে সমভাবে এর প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চারটি মহাদেশের ৪৮টি দেশের একটি গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে একেবারে অস্তিত্বের হুমকি। আর এটি অতিশয়োক্তি না।’
এ প্রবন্ধে তারা জলবায়ু সঙ্কট থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিশ্বের বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জলবায়ুর উন্নতি ঘটাতে সিভিএফ দেশগুলোর জন্য বিপুল অর্থের যোগান দেওয়া হলে জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসতে তারা পদক্ষেপ গ্রহণে সমর্থ হবে। আর তা বর্তমানে মহাবিপদের মুখে থাকা ৪৮টি দেশের জন্য ভালো হবে।’
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলার ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্ববাদের জলবায়ু হুমকি মোকাবিলায় আমাদেরকে একই ধরনের ভূমিকা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। আসন্ন বিপদের মুখোমুখি হলে কি করা সম্ভব তা কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে দেখিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার।’
জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্দশার ব্যাপারে তারা বলেন, ‘ভানুয়াতু, মালদ্বীপ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মতো ছোট দ্বীপ দেশগুলো সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।’
পুতিনের ক্ষোভ, টিকা নিয়ে চলছে অসৎ প্রতিযোগিতা-মানবজমিন
করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, টিকা নিয়ে চলছে অসৎ এক প্রতিযোগিতা। কারণ, তার দেশ থেকে আবিষ্কার করা টিকা স্পুটনিক-ভি এর স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক মহল। এ নিয়ে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝারলেন পুতিন। করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে সারাবিশ্বে যখন কাড়াকাড়ি চলছে তখন রাশিয়ায় তৈরি টিকার আন্তর্জাতিক অনুমোদন পেতে ব্যর্থতার কথা ক্ষোভের সঙ্গে তুলে ধরেন তিনি। সম্মেলনে তিনি ভিডিও বার্তা পাঠান। এর মাধ্যমে শনিবার যুক্ত হন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে। এতে এসব দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ রাখেন তার দেশে উদ্ভাবিত টিকার স্বীকৃতি দিতে পারস্পারিক আলোচনা ও যত দ্রুত সম্ভব টিকার সনদ দিতে।
ভিডিও বার্তায় পুতিন বলেন, জি২০-এর অনুমোদন সত্ত্বেও যেসব দেশে টিকার খুব প্রয়োজন, যেসব দেশ এই টিকা পাচ্ছে না। পুতিনের এই ভাষণ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এতে পুতিন বলেন, অনেক দেশ টিকা পাচ্ছে না। এর কারণ, অসৎ প্রতিযোগিতা, সংরক্ষণবাদিতা। তার দেশের টিকার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, কিছু দেশ, বিশেষ করে জি২০-এর, এখনও টিকা ও টিকার সনদের বিষয়ে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত নয়।এ মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিায় টিকার ভয়াবহ সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও তারা রাশিয়ায় তৈরি টিকা অনুমোদন দিতে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এতে পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি স্পুটনিক-ভি।পুতিনের মতো জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রোমে যাননি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনিও ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। শি জিনপিংও টিকার স্বীকৃতি দিতে পুতিনের মতো আহ্বান জানান।

তার এ ভাষণও চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে। নিজেদের দেশে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে কঠোর বিধিনিষেধ থাকার কারণে ইতালি সফর এড়িয়ে চলছেন ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং। এর মধ্যে স্পুটনিক-ভি টিকার সহজপ্রাপ্যতা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ায় নতুন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। এর প্রেক্ষিতে এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী ছুটি ঘোষণা করেছেন পুতিন। কর্তৃপক্ষ বলেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে একদিনে রাশিয়ায় রেকর্ড ৪০,২৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে শতকরা মাত্র ৩২.৫ ভাগ মানুষকে পূর্ণ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।যেসব মানুষকে পূর্ণ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে তাদেরকে বুস্টার ডোজ হিসেবে স্পুটনিক লাইট নামের টিকা দেয়ার সুপারিশ করেছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে স্পুটনিক লাইট অনুমোদন করেছে রাশিয়া।
এটি হলো স্পুটনিক-ভি টিকার দুটি ডোজের সমন্বয়। একে কার্যকর টিকা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে বুস্টার ডোজ হিসেবেও। বার্তা সংস্থা তাস’কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলেছেন, যেহেতু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সামনে এগিয়ে আসছে, তাই টিকা প্রয়োগের বিষয়টিতে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন করে শুধু স্পুটনিক লাইট দিলেই চলবে। তিনি আরো বলেছেন, দুই ডোজ টিকা দেয়ার পরে আমরা উচ্চ মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখেছি। বিষয়টি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।তবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি বলেছেন, ২০২১ সাল শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই বিশ্বের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার টার্গেট নির্ধারণ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই টার্গেট পূরণের খুব কাছাকাছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এখন আমাদেরকে দেখতে হবে ২০২২ সালের মধ্যভাগের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ টিকা নিশ্চিত করতে পারি কিনা। এটা আমাদেরকে করতেই হবে।সম্মেলনের আলোচনা শেষে, সূত্র বলেছেন, সব নেতাই মারিও দ্রাঘির টার্গেট মেনে নিতে প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছেন।
ত্রিপুরায় ডিসেম্বরে সভা করবেন মমতা, বিপ্লব দেবের স্বপ্নপূরণ করে দেব: অভিষেক ‘–আজকাল
আগরতলার রবীন্দ্রভবনে প্রথমেই চমক দিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলে ফিরলেন রাজীব ব্যানার্জি। আর সেই সভাস্থল থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়লেন অভিষেক। এদিনের প্রথমেই তিনি বলেন, ‘আজ হয়তো ৫০০ মানুষ সভায় এসেছে। কিন্তু আমি জানি ২০ লক্ষ মানুষ বাড়িতে বসে সভা শুনছেন। ছুটির দিনেই বিপ্লব দেবের ছুটি হয়ে গেল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও রাগ থাকলে আমাকে বলুন। ত্রিপুরার মানুষকে কষ্ট দেবেন না। আমি এলেই ১৪৪ ধারা জারি করে দেন। কিন্তু কেন? রাজ্য পুরো জঙ্গলপুরীতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য কিছু নেই।’
এরপরেই ঘোষণা করেন, ডিসেম্বরেই ত্রিপুরার বিবেকানন্দ মাঠে সভা করবেন মমতা ব্যানার্জি। অভিষেক বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল এখান থেকে সরিয়ে বিবেকানন্দ মাঠে সভা করতে। বিপ্লব দেবের স্বপ্নপূরণ করে দেব। ওই মাসে ডিসেম্বরে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার আগে আমি নভেম্বরে দু থেকে তিনবার আসব। আজ ত্রিপুরায় খুঁটিপুজো করলাম, ২০২৩-এ বিজেপিকে বিসর্জন দেব।’
ভুল বুঝিয়েছিল বিজেপি, দশ মাসের গেরুয়া সফর শেষে বললেন ‘লজ্জিত’ রাজীব-আনন্দবাজার পত্রিকা
অভিমানে, জেদে তৃণমূল ছেড়েভুল করেছিলেন, এ জন্য অনুতপ্তও। রবিবার ত্রিপুরায় তৃণমূলে যোগ দিয়ে এমন অনুতাপের কথা শোনালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় কুণাল ঘোষ ও সুস্মিতা দেবের উপস্থিতিতে যোগদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক আশিস দাসও তৃণমূলে যোগ দেন। প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব তৃণমূলে যোগ দিয়েই ধন্যবাদ দেন মমতা ও অভিষেককে। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি ভোটের সময় ওদের সভা থেকেই বলেছিলাম, ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনওই মানুষ ভাল ভাবে মেনে নেবে না। তাই হয়েছে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঠিক, তা বাংলার মানুষ তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। আর আমি এবং আমরা যে ভুল ছিলাম, তাও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’
সর্দার প্যাটেলের আদর্শেই যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ভারত, দাবি মোদির -সংবাদ প্রতিদিন
রবিবার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Patel) জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রতি বছরই এই দিনটি পালিত হয় ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ হিসেবে। এদিন সেই উপলক্ষে গুজরাটের নর্মদা জেলার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন সর্দার প্যাটেলের আদর্শ মেনে সকলে একসঙ্গে পথ চললে কোনও লক্ষ্যই কঠিন হবে না ভারতের সামনে। সেই সঙ্গে এও জানালেন, ‘লৌহমানবে’র অনুপ্রেরণাতেই আজ ভারত যে কোনও অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম।

এই মুহূর্তে দেশে নেই প্রধানমন্ত্রী। জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালি গিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রিটেনেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এরই মাঝে ভারচুয়াল বক্তৃতায় সর্দার বল্লভভাইকে সম্মান জানালেন মোদি। এদিন তিনি বলেন, ”আজ গোটা দেশ সর্দার প্যাটেলকে সম্মান জানাচ্ছে, যিনি ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতে’র আদর্শকে সত্যি করে তুলতে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। তিনি কেবল ইতিহাসের অংশ হয়েই বেঁচে আছেন তা নয়। তিনি সমস্ত ভারতীয়র হৃদয়ে বাস করেন।” সেই সঙ্গে মোদি বলেন, যে কোনও অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত চ্যালেঞ্জকে আজ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারত। এবং তা সম্ভব হয়েছে সর্দার প্যাটেলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য়ই।#
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৩১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।