ইমাম রেজা (আ.)'র মাজার জিয়ারতকারী বেহেশতবাসী হবে: হাদিস
মুহাম্মাদি মহা-নক্ষত্র হযরত ইমাম রেজা (আ.)'র শাহাদাত-বার্ষিকী
জানো কি হে মুমিন/বলেছেন রাহমাতুললিল আলামিন/ 'শরীরের একটি টুকরা আমার হবে খোরাসানে শায়িত'!?/ আল্লামা জামীর শাওয়াহেদুন্নবুওয়্যাতে এ হাদিস বর্ণিত/ বেহেশত সেই পাক রওজা জিয়ারতের পুরস্কার/ ১২তম নক্ষত্রের অষ্টম তিনি মহান ইসলামের/ নেয়ামতের ফল্গুধারা খোদায়ি রহমতের!/
মুহাম্মাদি ফুলের সৌরভে ভরেছিল জীবন তাঁর
প্রাণবন্ত ও জীবন্ত যেখানে মহানবীর জীবনাচার!
ইরান হয়েছে ধন্য পেয়ে এ অমূল্য নুরের আধার!
অভিশপ্ত সে যে পেয়েও সঙ্গ, জ্ঞান ও গুণে অনন্য এ ইমামের
শহীদ করে তাঁরে পোখ্ত্ করে তখ্ত্ অবৈধ খেলাফতের!
হে নবীজীর দ্বীনের কর্ণধার!
/দুনিয়ায় চাই হতে ধন্য পেয়ে তোমার মাজারের স্পর্শ বারবার!
যেন বিচার-দিবসেও পাই তব শাফায়াত
তোমার আদর্শ হোক মোদের আবে-হায়াত
তব সংগ্রামের পথ ও মহান শাহাদাত
আজও দেখায় রাজপথ হেরার আলোকের
প্রমাণ তুমি আজও নুর-নবীর নবুওয়্যতের!
তব মাশহাদ যেন প্রতিচ্ছবি কাবার আর এশকে বেলায়াতের!-
৩০ সফর ইসলামের ইতিহাসের এক মহাশোকের দিন। কারণ, ২০৩ হিজরির এই দিনে শাহাদত বরণ করেন ইমাম রেজা (আ.)। তিনি পবিত্র মদিনায় ইমাম মুসা ইবনে জাফর সাদিক (আ.)'র ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন ১৪৮ হিজরিতে। তাঁর মায়ের নাম ছিল উম্মুল বানিন নাজমা। ১৮৩ হিজরিতে খলিফা হারুনের কারাগারে পিতা ইমাম কাজিম (আ.)'র শাহাদতের পর পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে মুসলিম উম্মাহর ইমামতের ঐশী দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইমাম রেজা (আ.)। এই মহান ইমামের শাহাদাত-বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বনবী (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি, বিশেষভাবে ইমাম রেজা (আ.)'র প্রতি পেশ করছি অসংখ্য সালাম ও দরুদ।
মহানবী (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতের ধারার মাসুম বা নিষ্পাপ ইমামরা ছিলেন মানব জাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ আদর্শ। অসাধারণ নানা গুণ ও যোগ্যতার জন্য আলী ইবনে মুসা রেজা (আ.) রেজা বা সন্তুষ্ট, সাদিক বা সত্যবাদী, ফাজেল বা গুণধর, মু'মিনদের চোখের প্রশান্তি বা আলো ও কাফিরদের ক্ষোভের উৎস প্রভৃতি উপাধি পেয়েছিলেন। 'আলেমে আ'লে মুহাম্মাদ' বা মুহাম্মাদ (সা.)'র আহলে বাইতের আলেম ছিল ইমাম রেজার (আ.) অন্যতম বড় উপাধি হল ।
ইমাম রেজার (আ.) ইমামতির বিশ বছর ছিল আব্বাসীয় বাদশাহ হারুন এবং তার দুই পুত্র আমিন ও মামুনের শাসনকাল। ইমাম তাঁর পিতা ইমাম মূসা কাজিমের ( আ. ) নীতি-আদর্শকে অব্যাহত রাখায় বাবার মত তিনিও রাজগোষ্ঠীর রোষের মুখে পড়েন। আব্বাসীয় বাদশা হারূন ও মামুন ইমামদের প্রেমিক হওয়ার ভান করলেও ভেতরে ভেতরে ছিল তাঁদের মহাশত্রু। অব্বাসিয়রা ইমামদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তির কথা বলে একদিকে আহলে বাইত ও নবীবংশ প্রেমিকদের সংগ্রাম ঠেকানোর ও অন্যদিকে এই ধারার তথা শিয়া মুসলমানদের মন জয়ের চেষ্টা করত। কিন্তু ইমাম রেজা (আ.) এই কূট-কৌশল বানচাল করেন।
ইসলামী খেলাফত কেবল নবী পরিবারের পবিত্র ইমামগণের ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং তাঁরা ছাড়া কেউ ঐ পদের যোগ্য নয়- জনগণ যাতে এই খোদায়ি বিধান ভুলে থাকে সে লক্ষ্যে ধূর্ত মামুন ইমাম রেজাকে (আ) সবসময়ই জন-বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করে। প্রায় সকল ইমামকেই এভাবে গণ-বিচ্ছিন্ন রাখতে চেয়েছে উমাইয়া ও আব্বাসীয় শাসকরা গৃহবন্দী করে ও কঠোর প্রহরায় রেখে। কিন্তু তারপরও নিষ্পাপ ইমামদের বার্তা জনগণের কাছে ঠিকই পৌঁছে যেত নানা কৌশলে।
জনগণ নবীবংশের মহান ইমামদের বার্তা পেয়ে তাঁদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করত । ইমাম রেজা (আ.) যখন বাদশাহ মামুনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন, তখন অধিকাংশ ইরাকী মামুনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। হযরত আলী(আ.)’র পবিত্র খান্দানের কেউ বাদশাহর বিরুদ্ধে গেলে বাদশাহি যে হারাতে হবে-মামুন তা বুঝত। ফলে বাদশাহ মামুন ইমামকে খোরাসানে আসার আমন্ত্রণ জানায়। ইমাম প্রথমত রাজি হন নি, কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁকে বাধ্য করা হয়। বাধ্য হয়ে ইমাম রেজা বসরা হয়ে ইরানে আসেন। তিনি যেখানেই গেছেন জনগণ তাঁকে সাদরে গ্রহণ করে। ইমামও মহানবীর আহলে বাইত ও নিষ্পাপ ইমামদের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য এবং ইসলামের সঠিক বিধি-বিধান জনগণের কাছে তুলে ধরেন। সেইসাথে বাদশাহর আমন্ত্রণের কথাও তাদেরকে জানান।
ধূর্ত মামুন ইমামের হাতে খেলাফত ন্যস্ত করার প্রস্তাব দেয়। ইমাম, মামুনের এই কূটচালের জবাবে বলেছিলেন, মহান আল্লাহ যদি খিলাফত তোমাকে দান করে থাকেন তাহলে তা অন্যকে দেয়া উচিত হবে না। আর যদি তুমি আল্লাহর পক্ষ থেকে খেলাফতের অধিকারী না হও, তাহলে সে দায়িত্ব কারো উপর ন্যস্ত করার অধিকারও তোমার নেই। ইমাম খেলাফতের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় মামুন ইমামকে তার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী হতে বাধ্য করে। ইমাম রেজা (আ.) শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে দূরে থেকে খেলাফতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন না করার শর্তসাপেক্ষে যুবরাজের পদ গ্রহণ করেন।
ইমাম রেজা'র এই দায়িত্ব গ্রহণে আব্বাসীয়রা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। বাদশা মামুন তার আসল উদ্দেশ্যের কথা তাদেরকে খুলে বলে। আসলে ইমামকে খোরাসানে আমন্ত্রণ জানানোসহ মামুনের পরবর্তী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল, শিয়াদের বৈপ্লবিক সংগ্রামকে স্তব্ধ করা ও আব্বাসীয় খেলাফতকে বৈধ বলে প্রমাণ করা।
মামুন ও তার দলবল ইমামকে নানাভাবে হেয় করতে চেয়েও খোদায়ি জ্ঞান ও প্রজ্ঞা-সমৃদ্ধ ইমামকে তারা কিছুতেই অপদস্থ করতে পারে নি। যেমন, বিভিন্ন ধর্মের পণ্ডিতদের দিয়ে জটিল প্রশ্ন করে ইমাম রেজা (আ.)-কে জব্দ করার চেষ্টা করে তারা। খরা-পীড়িত অঞ্চলে বৃষ্টির জন্য ইমামকে দিয়ে তারা এই আশায় দোয়া করায় যে দোয়া কবুল না হলে ইমামের মর্যাদা ধূলিসাৎ হবে। কিন্তু ইমাম প্রতিটি জ্ঞানগত বিতর্কে বিজয়ী হতেন এবং বৃষ্টির জন্য করা তাঁর দোয়াও কবুল হয়েছিল। ফলে ইমাম রেজার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ও মামুনের হিংসা ও ক্রোধও বাড়তে থাকে। ইমাম মামুনের বিরুদ্ধে অকপট সত্য বলতেন নির্ভয়ে। কোনোভাবেই ইমামকে জব্দ করতে না পেরে মামুন ইমামকে বিষ পানে বাধ্য করে। ২০৩ হিজরির ৩০ সফর পঞ্চান্ন বছর বয়সে ইমাম রেজা-আ শাহাদাত বরণ করে অমর হন।
শাহাদাতের সিঁড়ি বেয়ে যে ইসলাম জমিয়েছে পাড়ি
কালের যাত্রায় আজো তা বিশ্বময় দীপ্তিমান
নবীবংশীয় ইমামতের সুদীপ্ত ধারায়-
প্রায় হাজার বছর আগে লিখিত 'শাওয়াহেদুন্নবুওয়াত' নামক বইয়ের একটি হাদিস অনুযায়ী, যারা ইরানের খোরাসানে অবস্থিত ইমাম রেজা (আ.)'র মাজার জিয়ারত করবে তারা বেহেশতবাসী হবে। বিশিষ্ট কবি ও আধ্যাত্মিক সাধক মাওলানা আবদুর রহমান জামির লিখিত এই বইটি বহু বছর আগে বাংলা ভাষায়ও হয়েছে অনূদিত (মাওলানা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে) (পৃ.১৪৩-১৪৪)। এ বইয়ের ২৭২ পৃষ্ঠায় পবিত্র কোম শহরে অবস্থিত হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.)’র পবিত্র মাজার জিয়ারত সম্পর্কেও একই কথা বলা হয়েছে। এই ফাতিমা মাসুমা ছিলেন ইমাম রেজা-আ.’র ছোট বোন। মাসুমা বা নিষ্পাপ ছিল তাঁর উপাধি।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ইরানের খোরাসানে তাঁর শরীরের একটি অংশকে তথা তাঁর পবিত্র বংশধারার একজন সদস্যকে দাফন করা হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। ইমাম রেজার শাহাদাতের স্থান অর্থে মাশহাদ নামটিই এখন এই ইমামের পবিত্র মাজার ধারণকারী খোরাসান প্রদেশের প্রধান শহরের নাম হয়ে পড়েছে। মাশহাদ শহরকে মনে করা হয় ইরানের আধ্যাত্মিক রাজধানী।
লক্ষ-কোটি মানুষ প্রতি বছর ইরানের মাশহাদ শহর জিয়ারত করতে আসেন ইমাম রেজার পবিত্র মাজারের আকর্ষণে। অনেক অমুসলমান প্রায় প্রতি বছর এই মাজারে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
বাদশাহ মামুন হযরত ইয়াহিয়া (আ.)'র অনুসারী হওয়ার দাবিদার তথা সাবেয়ি ধর্মের এক বিখ্যাত পণ্ডিতকে একবার নিয়ে আসে এই আশায় যে তার সঙ্গে জ্ঞানগত বিতর্কে ইমাম রেজা-আ. হেরে যাবেন। সেখানে ইহুদি, খ্রিস্টান ও অগ্নি-উপাসকদের পণ্ডিতরাও উপস্থিত ছিল। এই আসরে ইমাম রেজা (আ.) ইসলামের বিরোধিতা সম্পর্কে কারো কোনো বক্তব্য, যুক্তি বা প্রশ্ন থাকলে তা তুলে ধরার আহ্বান জানান এবং তিনি এর জবাব দেবেন বলে ঘোষণা করেন। ইমরান নামের ওই সাবেয়ি পণ্ডিত অবজ্ঞাভরে বলল: "তুমি যদি না চাইতে তবে তোমার কাছে আমি প্রশ্ন করতাম না। আমি কুফা, বসরা, সিরিয়া ও আরব দেশে গিয়েছি এবং তাদের সব দার্শনিক বা যুক্তিবাদীদের সঙ্গে বিতর্ক করেছি। কিন্তু তাদের কেউই প্রমাণ করতে পারেনি যে আল্লাহ এক ও তিনি ছাড়া অন্য কোনো খোদা নেই এবং তিনি এই একত্বের মধ্যে বহাল রয়েছেন। এ অবস্থায় আমি কি তোমার কাছে প্রশ্ন করতে পারি ?
ইমাম রেজা (আ.) ওই সাবেয়ি পণ্ডিতকে জবাবে বললেন, যত খুশি প্রশ্ন করতে পার। ফলে সে ইমামকে বিভিন্ন ধরনের অনেক প্রশ্ন করে। ইমাম রেজা (আ.)ও বহু সংখ্যক পণ্ডিত ও বিপুল দর্শকদের উপস্থিতিতে একে-একে সাবেয়ি পণ্ডিত ইমরানের সব প্রশ্নের এত সুন্দর জবাব দিলেন যে ওই সাবেয়ি পণ্ডিত সেখানেই মুসলমান হয়ে যান।
প্রকাশ্যে বিপুল সংখ্যক পণ্ডিত, বাদশাহ মামুন ও তার দরবারের লোকজন এবং সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে ইমাম রেজার কাছে জ্ঞানগত বিতর্কে হেরে গিয়ে বিখ্যাত ইহুদি সর্দার ও পণ্ডিত রাস উল জালুত ইমাম রেজা (আ.)-কে বলেছিলেন:"আল্লাহর কসম! হে মুহাম্মদের সন্তান (বংশধর)! ইহুদি জাতির ওপর আমার নেতৃত্বের পথে যদি বাধা হয়ে না দাঁড়াত তাহলে আমি আপনার নির্দেশই মান্য করতাম। সেই খোদার কসম দিয়ে বলছি, যে খোদা মুসার ওপর নাজেল করেছেন তাওরাত ও দাউদের ওপর নাজেল করেছি যাবুর! এমন কাউকে দেখিনি যিনি তাওরাত ও ইঞ্জিল আপনার চেয়ে ভালো তিলাওয়াত করেন এবং আপনার চেয়ে ভালোভাবে ও মধুরভাবে এইসব ধর্মগ্রন্থের তাফসির করেন।"-
ইমাম রেজা (আ) ছিলেন ধৈর্যের পরীক্ষা ও ত্যাগের পরাকাষ্ঠায় উন্নীত পুরুষ। আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ ইমানের কারণে তিনি কাউকে ভয় পেতেন না। ইসলামী ইরানের শীর্ষ নেতারাও একই ধারার অনুসারী বলেই খোদাদ্রোহী পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সংগ্রামে নির্ভীক।
ইমাম রেজা (আ) তাঁর অকাট্য যুক্তির মাধ্যমে সবার জন্য সর্বোত্তম ও বোধগম্যভাবে ইসলামের বিশ্বাসগুলো তুলে ধরতেন। তিনি বলেছেন, "জ্ঞান ও প্রজ্ঞা হচ্ছে এমন এক গচ্ছিত সম্পদের মত যার চাবি হল, প্রশ্ন। আল্লাহর রহমত তোমাদের ওপর বর্ষিত হোক, কারণ প্রশ্নের মাধ্যমে চার গ্রুপ তথা প্রশ্নকারী, শিক্ষার্থী, শ্রবণকারী ও প্রশ্নের উত্তর-দাতা সবাই-ই সাওয়াব লাভ করেন।"
ইমাম রেজা (আ) ইরানের নিশাপুরে এক হাদিসে বলেছেন, মহানবী (সা) বলেছিলেন, মহান ফেরেশতা জিব্রাইল (আ) গৌরবময় মহান আল্লাহকে বলতে শুনেছেন যে তিনি বলেছেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা'বুদ বা উপাস্য নেই- এই বাক্যটি হচ্ছে আমার দুর্গ, তাই যে তাতে প্রবেশ করবে সে আমার শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকবে। -এতটুকু বলার পর ইমামের কাফেলার যানবাহন নিশাপুর থেকে বাদশাহ মামুনের প্রাসাদ অভিমুখে চলা শুরু করলে তিনি আরও বলেন, অবশ্য এর তথা মহান আল্লাহর ওই ঘোষণার শর্তাবলী রয়েছে এবং আমি হচ্ছি এর অন্যতম শর্ত! অর্থাৎ তিনি এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে তাঁর ইমামত আল্লাহর পক্ষ থেকেই মনোনীত। আর তাই তাঁর আনুগত্য করা ফরজ।
ইমাম রেজা আ.' বলেছেন, যে মানুষের মাঝে সবচেয়ে প্রিয় হতে চায় সে যেন আল্লাহ সম্পর্কে সতর্ক বা মুত্তাকী হয় গোপনে ও প্রকাশ্যে।…মুমিন ক্রোধান্বিত হলেও, ক্রোধ তাকে অপরের অধিকার সংরক্ষণ থেকে বিরত করে না। কিয়ামতে সেই ব্যক্তি আমাদের তথা মহানবীর আহলে বাইতের সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে, যে সদাচরণ করে এবং তার পরিবারের সাথে সদ্ব্যবহার করে। যদি কেউ কোন মুসলমানকে প্রতারণা করে, তবে সে আমাদের কেউ নয়। তিনটি ভালো কাজ সবচেয়ে কঠিন : এক. ন্যায়-পরায়নতা ও সত্যবাদিতা যদিও এর ফল নিজের বিরুদ্ধে যেয়ে থাকে। দুই. সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণে থাকা। তিন. ইমানদার ভাইকে নিজ সম্পদের অংশীদার করা।
ইমাম রেজা (আ)'র শাহাদাত-বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি আবারও গভীর শোক ও সমবেদনা। মহান আল্লাহ অশেষ দরুদ বর্ষণ করুন এই মহান ইমামের প্রতি।
পার্সটুডে/মু.আমির হুসাইন/ ২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।