আগস্ট ০৩, ২০২১ ১৭:০৩ Asia/Dhaka
  • সীমান্তে লেবাননের একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার
    সীমান্তে লেবাননের একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার

লেবাননের একজন শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, তার দেশ এবং সিরিয়া সীমান্তের মধ্যে ব্রিটেনের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ পরিকল্পনার অর্থ হচ্ছে তারা ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর ওপর নজরদারি করতে চায়।

‘দি ক্র্যাডেল’ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের তৎপরতার ওপর নজরদারি করার জন্য ব্রিটিশ অর্থায়নে এসব পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ওই এলাকা থেকে আগেই দায়েশ নির্মূল হয়েছে। ফলে এখন সেখানে কোনো ঘোষণা ছাড়াই আরো নতুন পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণের আসল লক্ষ্য হচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের হিজবুল্লাহ আন্দোলন এবং সিরিয় সেনাদের ওপর নজরদারি করা।

বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় খালদে এলাকা সংঘর্ষের পর সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাদের পাশ দিয়ে মোটরবাইকে করে যাচ্ছেন হিজবুল্লাহর দুজন সমর্থক। 

পত্রিকাটির ভাষ্যমতে, প্রতিরোধ ফ্রন্ট মনে করে লেবানন সিরিয়া সীমান্তে ব্রিটেনের এই সমস্ত পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- হিজবুল্লাহর সরবরাহ লাইন, অস্ত্রের চালান এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের চলাচলের ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো।

সামরিক বাহিনী ও হিজবুল্লার মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে লেবাননের ওই সামরিক কর্মকর্তা এ ধরনের সম্ভাবনা একেবারেই নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, লেবাননের সামরিক বাহিনী এবং মার্কিন কর্মকর্তারা এটি খুব ভাল করেই জানেন যে, এই ধরনের দ্বন্দ্ব লেবাননের সামরিক বাহিনীতে বিভেদ সৃষ্টি করবে এবং বাহিনীতে ভাঙন ধরাবে। তিনি আরো বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য হিজবুল্লাহ দিকেই ঝুঁকে রয়েছে যা এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে। কেউই সামরিক বাহিনী এবং হিজবুল্লার মধ্যে দ্বন্দ্ব চায় না।

১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ২০০০ সালে এই সংগঠনের যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় ইহুদিবাদী ইসরাইল। এরপর ২০০৬ সালে ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করলেও হিজবুল্লার প্রতিরোধের মুখে ৩৩ দিন পর যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়। সিরিয়ার চলমান সংকটে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৩

ট্যাগ