নির্বাচন কমিশন নিয়ে আগ্রহ নেই: ফখরুল
বাংলাদেশের নতুন সিইসি হাবিবুল আউয়াল, বিএনপির প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অন্য চার সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আজ (শনিবার) এই পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম সুপারিশ করে সার্চ কমিটি। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে সপ্তম ও শেষ বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
তবে, নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখনও পরিষ্কার করে বলছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নয় আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সব তাদের নিজেদের লোকদের দিয়ে করবে। সুতরাং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা আমাদেরকাছে অর্থবহ নয়, তাই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।
ওদিকে, শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদেআয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রচর্চা ফিরিয়ে এনে সাধারণ মানুষের অধিকার ফেরাতে রাজপথে আন্দোলনের ‘কোনো বিকল্প নেই’। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করতে হলে গায়ের জোরে বসে থাকা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আন্দোলন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা হলে জনগণ সমুচিত জবাব দেবে।
গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইন পাসের পর নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম বৈঠকের পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে নাম চেয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। এরপর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বাদে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে তিন শতাধিক নাম জমা পড়ে। এর মধ্যে কমিটি কয়েক দফায় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নেন। পরে ওয়েবসাইটে ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।