এই সরকারকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আগের মূর্তি ধারণ করেছে। ২০১৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে যেমন বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে মাঠশূন্য করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এবারও ২০২৩ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই কাজ করছে।
আজ (শুক্রবার) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দেশ এখন সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী, এককথায় বলতে গেলে একটা ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে পড়েছে। এই সরকারকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না।
বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের নামে মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব পরানো এবং গায়েবি মামলা আছে, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য একটা সেল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই সেল তৈরি করে দিয়ে অতি দ্রুত মামলাগুলো শেষ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, যখনই বিরোধী দল কর্মসূচি নিয়ে মাঠে এসেছে তাদেরকে একইভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে, মামলা দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কখনোই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে না। তাদের শাসনামলে রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের আত্মাকে ধ্বংস করেছে তারা।
এসময় ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রসঙ্গে’ মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সাংবাদিকরাও কম ভুক্তভোগী নন। ইতিমধ্যে আপনাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন, মারা গেছেন। অনেককে জেলে যেতে হয়েছে সত্য কথা লেখার জন্যে। এখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। এখন গণমাধ্যম কর্মী আইন করতে যাচ্ছে। আমাদের তথ্যমন্ত্রী সাহেব উনি বলছেন এটা নাকি রিভিউ করা হবে। রিভিউ করে কী করবেন সেটা তো আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ক্ষেত্রে দেখেছি। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পক্ষে গণমাধ্যমের ‘আরো বেশি সহযোগিতা’ চান বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, পদের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করা খুবই অমর্যাদার ব্যাপার। পদ যদি আপনার পেছনে দৌড়ায় তাহলে আপনি মর্যাদা পাবেন। আর আপনি দৌড়ালে মর্যাদা পাবেন না।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়বাতাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘যদি আপনারা টিকে না থাকেন তাহলে আমরা কেউ টিকে থাকব না। কেউ বেঁচে থাকব না।’#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।