ভারত তথ্য দিলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i108042
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বাংলাদেশকে কোনো তথ্য দেয়নি। তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
মে ১৭, ২০২২ ১৫:২৮ Asia/Dhaka
  • ভারত তথ্য দিলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বাংলাদেশকে কোনো তথ্য দেয়নি। তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে তিনি ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জেনেছি পি কে হালদার গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে, আমাদের কাছে এখনও তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু আসেনি। তথ্য পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছি। সে গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক ছিল।’

পি কে হালদারসহ ছয় জনকে গতকাল শনিবার ভারতে গ্রেপ্তার করে দেশটির তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা-সংলগ্ন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁদের দফায় দফায় জেরা চলে। জেরার মধ্য দিয়ে ইডি’র হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে শনিবার গভীর রাতে কলকাতার সিবিআই স্পেশাল কোর্টে গ্রেপ্তার করা ছয় জনের নথিপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার মাধ্যমে রিমান্ডের আবেদন জানায় ইডি। আজ রোববার সকালে তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। আপাতত, তাঁদের ইডি হেফাজতে রেখে ম্যারাথন জেরা চালিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে, পি কে হালদার মামলায় একে একে জড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাঘববোয়ালদের নাম। কখনও উঠে আসছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নাম, কখনও বা শাসক দলের নেতাদের নাম। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পর স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত ধরে পি কে হালদার এবং তাঁর সহযোগীরা ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে ফেলা থেকে শুরু করে রেশন কার্ড ও অন্যান্য পরিচয়পত্র বানিয়ে ফেলে বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

ইডি’র প্রাথমিক তদন্তে প্রথমেই উঠে আসে রাজ্যের এক প্রভাবশালী নেতার নাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে শুরু থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠে আসে—স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এবং তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ সীমান্তের এত কাছে গা ঢাকা দিয়েছিলেন পি কে হালদার এবং তাঁর সহযোগীরা। জানা গেছে—মামলাটির গুরুত্ব অনুধাবন করে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ মামলায় ইডি’র পাশাপাশি যোগ দিতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিবিআই ও সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস-এসএফআইও।#

পার্সটুডে/ বাবুল আখতার/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।