ডিসেম্বর ০৪, ২০২২ ১৮:৪৭ Asia/Dhaka
  • ৩ ব্যাংকের সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি, জড়িতদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক, সোসাল ইসলামী ব্যাংক ও ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ, দুদক ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুন্ধান করে আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তিন ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

আজ (রবিবার) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ব্যাংকের ঋণ নিয়ে পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে সে বিষয়ে কোর্ট আদেশ দিয়েছেন। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সংবাদের সত্যতা যাচাই করার আগামী ৫ এপ্রিল প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। ঋণ নেয়ার বিষয়ে এস আলম গ্রুপকেও জানাতে বলা হয়েছে।

শত সহস্র গ্রাহকের আমানত নিয়ে যে উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি চলছে, তাতে দুর্নীতি দমন কমিশন কি ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান রেডিও তেহরানকে বলেন, বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দ্রুততার সাথেই আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ শুরুর আশা করেন এ আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান

উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয় ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র।

সবমিলিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমকে। একইভাবে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকেও দুই হাজার ৩২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিগুলো। ফলে এ তিন ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদসহ দেনা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন সময়ে এসব অর্থ তুলে নেয়া হয়, যখন ব্যাংক খাতে ডলার-সংকটের পর টাকার সংকট বড় আলোচনার বিষয়। এদিকে, গত ২৯ নভেম্বর নিউ এইজ পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই প্রতিবেদনটিও আদালত নজরে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। #

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/৪

ট্যাগ