গ্যাস-বিদ্যুতের উচ্চ দামে দিশেহারা মানুষ
প্রতিমাসে অল্প করে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে সরকার: প্রতিক্রিয়া জোনায়েদ সাকির
বাংলাদেশে জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সেক্টরেই দেখা দিয়েছে নানা সংকট। অনেকে বলছেন চাহিদা মত গ্যাস বিদ্যুৎ না পেলেও বিল ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন সরবাহ দাবি ব্যবসায়ীসহ শিল্পমালিকদের।
এ অবস্থায় একবারেই দাম না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির চিন্তা করছে সরকার। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন একবারেই গ্রাহক পর্যায়ে দাম ১৫ ভাগ বাড়ানোর চিন্তা করছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী আদেশে দাম বৃদ্ধির আগে মানুষের ওপর এর কতটা চাপ পড়বে সেই বিবেচনা করার কথা বলা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুতের দাম একবারে ১৫ থেকে ২০ ভাগ বাড়লে বাজারে পণ্যের দাম অনেকটা বেড়ে যায়। এজন্য সরকারের যদি কিছুটা লোকসানও হয় তাহলেও ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে মানুষের ওপর পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব খুব একটা পড়ে না।
মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সরকার সম্প্রতি বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে গ্যাস বিক্রি থেকে অতিরিক্ত যে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে বিশ্ববাজার থেকে এলএনজি কেনা হবে। এই এলএনজি দিয়ে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাহলে গড়ে এলএনজি চালিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে সাড়ে আট টাকা। কিন্তু দেশের তেল চালিত (ফার্নেস) অয়েলে উৎপাদন খরচ ২৯ টাকার কাছাকাছি। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০ টাকার মতো কম প্রয়োজন হবে। যাতে সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি কম প্রয়োজন হবে। যাতে বিদ্যুৎ জ্বালানিতে সামগ্রিক ভর্তুকির হার কমবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রতি মাসে অল্প অল্প করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে। এতে মানুষের ওপর চাপ কম পড়বে।
এ বিষয়ে বাম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি রেডিও তেহরানকে বলেছেন, সরকারের ভুল জ্বালানি নীতি ও আমদানি নির্ভরতায় আজ দেশে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এবং জনগণের সংকটকে পুঁজি করে রাজনীতির বিরুপ ফল বলেও মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।#
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/৩১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।