রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ, অংশ নেয়নি বিএনপি: বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ
(last modified Sat, 04 Nov 2023 14:25:38 GMT )
নভেম্বর ০৪, ২০২৩ ২০:২৫ Asia/Dhaka

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগমুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন। এই সংলাপে অংশ নিলেও ছিল না বিএনপি ও তাদের সমমনা কোন রাজনৈতিক দলের কোন প্রতিনিধি।

নির্বাচন ইস্যুতে কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় প্রথমধাপে সকালে অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দল। এসময় ভোটের প্রেক্ষাপট ও প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আলোচনায় অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। এসময়ে তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, জনস্বার্থ রক্ষা করে আস্থার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আর এনডিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি নাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই নির্বাচন কমিশনকে বেশ কিছু সুপারিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেছেন, বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই। যাদের জনসমর্থন নেই, তারা নির্বাচনে আসবে না।

নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, পোলিং এজেন্টদের মাধ্যমে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে প্রস্তুতি নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। আর বিএনপিকে রাজনীতির মতভেদ ভুলে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন সিইসি।

তবে, নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, তা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলগুলোর এই সংলাপ কতখানি বাস্তবিক, তা জানতে কথা হয় নির্বাচন পর্যবেক্ষন সংস্থা জানিপপ চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরা বারবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের তাগিদ ও পরামর্শ দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কমিশনের এ আয়োজন হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। 

প্রথম পর্বের সংলাপে অংশ নেয়া ১৩টি রাজনৈতিক দল হলো—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-(এনডিএম)।

আর অনুপস্থিত ছিলো যে ৯ টি দল—লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-(এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-(বিএমএল), বাংলাদেশ কল্যান পার্টি, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলদেশ মুসলিম লীগ।

১৩টি দলের প্রতিনিধিরা ২য় দফার সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন। দলগুলো হলো- জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন।

বিকেলের সংলাপে অংশ নেয়নি- বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ)।#

পার্সটুডে/বাদশা রহমান/বাবুল আকতার/৪

ট্যাগ