ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বাস্তবতা বর্জিত: শিক্ষক সমিতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বক্তব্যকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গত ২৬ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রাণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন- নীলক্ষেতের ফুটপাত থেকে বেনামী লেখকদের বই কিনে তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়। ফলে ছাত্ররা ফেল করে।
শিক্ষামন্ত্রীর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাবি উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রীকে তার বক্তব্য স্পষ্ট করার আহ্বান জানান।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং যুগোপযোগী প্রক্রিয়া। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাসকে ভিত্তি করেই কয়েকটি ধাপে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে রেডিও তেহরানকে বলেন ভর্তিচ্ছুকদের মেধা ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা নেয়া হয় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে।
তিনি উল্লেখ করেন, ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার অনেক কম হলেও তাদের সবাইকেও আবার ভর্তি নেয়া যায় না । কারণ, আসন সংখ্যা সীমিত।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. আরিফুর রহমান রেডিও তেহরানকে বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিমাণ বা সংখ্যাগত দিক দিয়ে অনেক অর্জন হলেও গুনগত মানের উন্নতি হয় নি। সে ব্যাপারে সকলের গুরুত্ব দেয়া দরকার।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নিয়ে নানা মহল থেকে সমালোচনার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতি বর্তমানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব ইউনিটের প্রশ্ন প্রণয়ন কমিটি। তাই ঢাবির প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনোই শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে না। বরং এর মাধ্যমে মেধাবীদের মধ্যে থেকে সেরাদের খুঁজে বের করা হয়। সেরা মোধাবীদেরকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে ভর্তি করা হয়।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/আব্দুর রহমান খান/৩০