মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ফেরার মতো অগ্রগতি নেই: জাতিসংঘ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i69979
জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয় বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বলেছেন, রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
এপ্রিল ৩০, ২০১৯ ১২:৪৮ Asia/Dhaka
  • মার্ক লোকক
    মার্ক লোকক

জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয় বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বলেছেন, রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।

সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্ক লোকক বলেন, মিয়ানমার আত্মবিশ্বাস যোগাতে ব্যর্থ হয়েছে, যাতে করে তারা (রোহিঙ্গা) সেখানে ফেরার ব্যাপারে নিরাপদ বোধ ভাবতে পারে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে এটা ‘অত্যন্ত উদ্বেগের’ বিষয় যে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের ভুক্তভোগী জনসংখ্যার জন্য ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করা হলেও চলতি বছরে মাত্র ১৭ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে বিশ্ব তার আগ্রহ হারাচ্ছে। গত বছরে যা চেয়েছি (অর্থ), তার ৭০ শতাংশ পেয়েছি। আমরা এখন পেছন ফিরে যাচ্ছি, যোগ করেন তিনি।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক এ প্রধান কর্মকর্তা মনে করেন, পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়া না গেলে এর পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী

গত ২৪ এপ্রিল জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রানডি, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মহাপরিচালক অ্যান্তনিও ভিতোরিনো এবং মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয় বিষয়ক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বাংলাদেশে আসেন।

২৬ এপ্রিল বিকেলে কক্সবাজারের একটি হোটেল তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে এখনও রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি। সে দেশের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, কফি আনান কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে। কারণ এখনও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ চলাফেরা, নাগরিকত্বের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০