১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি শিশু শহীদদের স্মরণে তোলা ছবি
-
• ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি শিশু শহীদদের স্মরণে তোলা ছবি
পার্সটুডে - ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধে শহীদ শিশুদের স্মরণে তেহরানের জামান জাদুঘরের কিডেল ক্যাফেতে একটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্সটুডে-র মতে, আন্তর্জাতিক সমর্থনের ছত্রছায়ায় ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকরা তাদের হামলার টার্গেট নয় বলে দাবি করলেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা ইরানের মাটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে বহু শিশুকে হত্যা করেছে যা থেকে তাদের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।
যেসব শিশুরা সৈনিক ছিল না, রাজনীতিবিদ ছিল না, পারমাণবিক বিজ্ঞানীও ছিল না কিন্তু তাদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক স্বপ্ন ছিল, এমন স্বপ্ন যা আর কখনও তারা আর দেখতে পাবে না।

প্রতিটি যুদ্ধে এবং প্রতিটি সামরিক আগ্রাসনের পর শিশুদের নিহত হওয়ার চিত্র মানব ইতিহাসের দেখা সবচেয়ে অন্ধকার ও কষ্টদায়ক দৃশ্য। এই শিশুরা গাজায় নিহত হোক বা ইউক্রেনে, তেহরানের কেন্দ্রস্থলে হোক কিংবা বিশ্বের অন্য কোথাও; তাদের মৃত্যুর ঘটনা প্রতিটি জাগ্রত বিবেককে আঘাত করে।

ভয়াবহ বিস্ফোরণে তেহরানের সকালের নীরবতা ভাঙার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই নিহত শিশুদের ছবি মানুষকে গভীর শোকে নিমজ্জিত করেছিল।

ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের উপর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ সভায়, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ইরানের উপর ইসরায়েলের আক্রমণে শহীদ ইরানি শিশুদের ছবিগুলোকে কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার বিষয়ে ইসরাইলের মিথ্যাচারের প্রমাণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধের প্রথম দিনেই ইরানি শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই বেদনাদায়ক বাস্তবতা কেবল বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে একটি লজ্জাজনক কলঙ্কই নয় বরং আজকের বিশ্বে মানবতার গভীরতা পরিমাপের জন্য একটি মানদণ্ড।

অনেক শহীদের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এই জঘন্য অপরাধযজ্ঞ আবারও বিশ্বের কাছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আসল চেহারা তুলে ধরেছে।

অনেক শহীদের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এই অপরাধযজ্ঞ আবারও বিশ্বকে ইসরাইলের আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে।#
পার্সটুডে/এমআরএইচ/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।