রাসুল (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাল বিএনপি
(last modified Sun, 01 Nov 2020 13:35:22 GMT )
নভেম্বর ০১, ২০২০ ১৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • রাসুল (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাল বিএনপি

ফ্রান্সে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষে এই প্রথম এ প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক  প্রতিক্রিয়া জানান।

এর আগে শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে  সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ফখরুল ইসলাম । 

তিনি বলেন, “সকল ধর্মের মানুষের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিএনপি মনে করে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোনো ধর্মনেতার অবমাননা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। রাসুল (সা.) এর কার্টুন প্রকাশকে বিএনপি তাই একটি গর্হিত অপরাধ বলে গণ্য করে এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ধর্মীয় সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী বিএনপি মনে করে যে, মহানবী (সা.) এর কার্টুন প্রকাশ ও তা সমর্থন করা যেমন ধর্ম-বিদ্বেষকে উসকে দেয়ার মতো অপরাধ তেমনি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মানুষ হত্যাও গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে যিনি মানবতার ধর্ম ইসলাম প্রচার করেছেন সেই মহানবী (সা.) এর দীক্ষাই হোক আমাদের নির্দেশক।”

তিনি বলেন, “বিএনপি আরও মনে করে যে, পবিত্র ইসলাম ও মহানবী (সা.) এর অনুসারীদের আবেগকে আহত করে বিশ্বব্যাপী যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে তার গোটা মানবজাতির ঐক্য ও মিলনের জন্য এক অনতিক্রমণীয় হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধকে স্বীকৃতি দেয়ার মত মানবিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে উদ্যোগী হতে হবে। কারণ ঘৃণা ও সন্ত্রাস- কোনটাই বিশ্ববাসীর কাম্য নয়।”

এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশ সরকার কোনটাতে প্রতিবাদ জানায় আর কোনটাতে জানায় না- এটা বলা দুরূহ। কারণ আপনারা লক্ষ্য করে দেখেছেন যে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যেখানে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, সীমান্তে গুলি করে মারা হয় আমাদের নাগরিকদেরকে, সে বিষয়ে কিন্তু আমাদের সরকার কোনো প্রতিবাদ জানান না বা প্রতিবাদ করেন না। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের যে ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা বা তাদের যে সমস্ত চিন্তা-ভাবনা সেগুলোকে লক্ষ্য করে বা সেগুলোকে কেন্দ্র করে সরকার কখনো সেই ধরনের স্ট্যান্ড নেয়নি।

“আমার মনে হয়, সেই কারণে হয়ত তারা (সরকার) এখন পর্যন্ত কোনো রি-অ্যাকশন দেয়নি। সেটাতে তাদের যে চরিত্র তা পরিষ্কার হয়ে উঠে।


ভোটার ভোট দিতে না পরলে সরকার  পতনের আন্দোলন


ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনকে সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে দুই তরুণ মেয়র প্রার্থী নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি।

এ সময় হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে। তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এতিমখানা, উত্তরা টেলিফোন ভবন, উত্তরা কমিউনিটি ক্লাব, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষে ভোট চান । সবশেষে  বাংলাদেশ মেডিক্যাল সংলগ্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর।

এ সময় তাবিথ ও ইশরাককে জনতার মেয়র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দু’জন হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের রূপকার। তাদের নিয়ে আমরা ভোট কেন্দ্রে পাহারা বসাব। আগামী ১২ নভেম্বর যদি ভেটারদের ভোট দিতে দেয়া না হয়, তাহলে সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।’

পার্সটুডে/এআরকে/এমএএইচ/১

বিশ্বসংবাদসহগুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ