ভাসানচর শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গেলেন ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত
(last modified Sun, 04 Apr 2021 13:49:53 GMT )
এপ্রিল ০৪, ২০২১ ১৯:৪৯ Asia/Dhaka
  • ভাসানচর শরণার্থী শিবির
    ভাসানচর শরণার্থী শিবির

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণ করা নতুন আশ্রয়কেন্দ্র ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি কেমন তা দেখতে গেছেন ঢাকায় কর্মরত ১০ বিদেশি কূটনীতিক।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতকাল (শনিবার) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১০টি দেশ, জোটের রাষ্ট্রদূতেরা ভাসানচর পরিদর্শনে গেছেন। কূটনীতিকরা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের মানবিক সহায়তায় জড়িত সংশ্লিষ্ট সরকারি–বেসরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রেরিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি আলাদা হেলিকপ্টারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক ছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, তুরস্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতেরা ভাসানচরে যান। তাঁদের সফরসঙ্গী ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মহসিন।

ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে সরকার মানবিক এবং উন্নয়নমূলক কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা দেখাতেই কূটনীতিকদের জন্য এ সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। সফরে তারা ভাসানচরে নির্মাণ করা ভবন, আশ্রয় কেন্দ্র এবং অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করা ছাড়াও বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখেন। এছাড়া রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে যাতে তারা বিভিন্ন কর্মমুখী কাজ করতে পারে সেজন্য সেখানে নির্মাণ করা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোও পরিদর্শন করেন এসব দেশের কূটনীতিকরা।

বিদেশি কূটনীতিকরা এসময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। সামগ্রিকভাবে এ সফরের পর তাঁদের মধ্যে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে এক ধরনের ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য শুরু থেকেই সাহায্য ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা। বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কক্সবাজারের তুলনায় ভাসানচরকে অধিকতর নিরাপদ এবং অপরাধমুক্ত এলাকা হিসেবেও অভিহিত করেছেন রোহিঙ্গারা।#

পার্সটুডে/এমবিএ/এনএম/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ