সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১ ১৬:১২ Asia/Dhaka
  •  জামায়াত নেতাদের নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইন মামলা, ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ গ্রেপ্তারকৃত ১০ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আজ ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রুজু করা মামলায় আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ “মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য” ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায়  দলীয় বৈঠক  চলাকালে  জামায়াতের এ দশজনকে  গ্রেপ্তার করা হয়। 

এরা হলেন, সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন, আব্দুর রব, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, জামায়াতের কর্মী মনিরুল ইসলাম ও আব্দুল কালাম। রাতে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত  জামায়াতের নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। পুলিশ বলেছে, তাদের আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজ  রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা। আজ সকালে মিরপুরে শাহ আলী মাজার মোড় থেকে একটি  বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাবতলী গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতারা দাবী করেন , জামায়াতে ইসলামী দেশে একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশে বিদ্যমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে সার্বিক সেবা সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় , সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরার একটি বাসা থেকে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

 এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় আর একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  সমাবেশে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া জামাত নেতৃবৃন্দের  আটকের ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক অভিহিত করে এর  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে অবিলম্বে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে  তিনি হুমকি দিয়েছেন,  অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করা হবে।

নীলফামারীতে  জামায়াত-শিবিরের ২৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ

ওদিকে নীলফামারী জেলার  ডোমার উপজেলায় ২০১৮ সালের এক নাশকতার মামলায় জামায়াত-শিবিরের ২৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার সকালে দলের ৩০ নেতাকর্মী এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে  জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম সরকার দু'জনের জামিন মঞ্জুর করে অন্যদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই মামলার আরও ২১ আসামি পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে জামায়াত-শিবিরের ৭০/৮০ জন নেতাকর্মী গোপন বৈঠকে বসে। এ খবরে থানা পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে কামরুজ্জান ওরফে কামু (৩৮) ও ইয়াকুব আলীকে (৪৫) আটক করে।

এ ঘটনায় ডোমার থানার পুলিশ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ (সংশোধীত/২০১৩) এর ৬ (২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর ৭৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।#

 

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

 

ট্যাগ