ইচ্ছামতো গ্রেফতার নয়: ইডির ক্ষমতায় রাশ টানল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
https://parstoday.ir/bn/news/event-i137696-ইচ্ছামতো_গ্রেফতার_নয়_ইডির_ক্ষমতায়_রাশ_টানল_ভারতের_সুপ্রিম_কোর্ট
‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলার ১৯ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে চাইলে ইডি-কে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
মে ১৬, ২০২৪ ১৭:৫৪ Asia/Dhaka
  • ইচ্ছামতো গ্রেফতার নয়: ইডির ক্ষমতায় রাশ টানল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলার ১৯ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে চাইলে ইডি-কে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি।

আজ (বৃহস্পতিবা) ইডির ক্ষমতা খর্ব করে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। লোকসভা নির্বাচনের ভোট চলাকালীন দেশের শীর্ষ আদালতের এই আদেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বেশ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চের আদেশে বলা হয়েছে, যদি একজন অভিযুক্ত সমনে সাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ইডিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া হাজিরা দেওয়া অভিযুক্তকে ইডি হেফাজতে নিতে পারবে না। এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে অভিযুক্তের আলাদা ভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার জোড়া শর্ত কার্যকরী হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমলে কার্যকর হয়েছে সংশোধিত পিএমএলএ আইন। গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো বা নগদ সম্পত্তি আটকের ক্ষেত্রে ইডির হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে এই আইনের দ্বারা। যার প্রতিবাদে মুখর ছিল, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সংশোধিত পিএমএলএ আইনে ইডির ক্ষমতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলেও অভিযোগ উঠেছিল। ইডি তদন্ত শুরুর আগে যে ইসিআইআর করত তা গ্রাফতারের আগে দেখানোর দাবিতে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। যদিও ২০২২ সালে জুলাইয়ে এক নির্দেশে জানানো হয়েছিল যে, ইসিআইআর ইডির নিজস্ব নথি, তা দেখানোর দরকার নেই।

পরে অবশ্য ইডির এই অতিরিক্ত ক্ষমতা বিবেচনায় রাজি হয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২২ সালের আগস্টে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার বেঞ্চ জানিয়েছিল, ইডির বাড়তি ক্ষমতা দু’টি ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করা হবে। যেমন, গ্রেফতারির আগে ইডি যে ইসিআইআর দায়ের করে, সেটি দেখাতে তারা বাধ্য নয় বলে ঘোষিত রায়। অন্যটি হল, পিএমএলএ-তে অভিযুক্তের উপরেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের যে দায় বর্তায়, সেই বিষয়টিও। শেষপর্যন্ত ইডির ক্ষমতা খর্ব করল শীর্ষ আদালত।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।