সিরিয়া সংকটের সময়কার বিক্ষোভের জের
তুরস্কের বিরোধী নেতাকে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত
তুরস্কের কুর্দিপন্থী বিরোধী নেতা সালাউদ্দিন দেমিরতাসকে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
২০১৪ সালে সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে ‘প্রাণঘাতী’ বিক্ষোভের ডাক দেয়ায় তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হলো। একই মামলায় দেমিরতাসের আরো প্রায় এক ডজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তুর্কি গণমাধ্যম জানিয়েছে- ষড়যন্ত্র, সহিংসতা, উস্কানি, রাষ্ট্রীয় সংহতিতে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষে প্রচারণায় যুক্ত থাকাসহ মোট ৪৭টি অভিযোগে দেমিরতাসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ৫১ বছর বয়সী দেমিরতাস যদি এই মামলার আপিলে হেরে যান তাহলে তাকে সম্ভবত কারাগারে মৃত্যুবরণ করতে হবে।
কথিত ‘কুবানি মামলা’য় দেমিরতাস-সহ ১০৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কুবানি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিরিয়ার কুর্দি জনগোষ্ঠী এবং উগ্র সন্ত্রাসী দায়েশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তু্র্কি সেনারা সীমান্ত থেকে কুর্দিদের বিরুদ্ধে গুলি চালায় এবং আইএস সন্ত্রাসীরা কুবানি শহরটি অবরুদ্ধ করলে কুর্দি জনগোষ্ঠীকে শহর ছেড়ে পালাতে বাধা দেয় তুর্কি সেনারা। এর বিরুদ্ধে দেমিরতাস বিক্ষোভের ডাক দেন এবং দ্রুতই সে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে যাতে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়।
এই বিক্ষোভের দুই মাস আগে দেমিরতাস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন যেখানে তিনি তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের বিরুদ্ধে আবারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তৃতায় গত বছর দেমিরতাস বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় আদালত বারবার তার মুক্তি দাবি করেছে। তুর্কি আদালতের ওপর রজব তাইয়েব এরদোগানের বিশেষ প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে, তুর্কি সরকার কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে এবং এই সংগঠনের সাথে দেমিরতাসের সম্পর্ক রয়েছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।