রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ
https://parstoday.ir/bn/news/event-i138106-রাফায়_ইসরাইলি_আগ্রাসনের_প্রতিবাদে_হোয়াইট_হাউজের_সামনে_বিক্ষোভ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভে জড়ো হয়েছেন কয়েক শ' মানুষ। তারা ইসরাইলকে অর্থের যোগান বন্ধ করতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ২৯, ২০২৪ ১৭:২৪ Asia/Dhaka

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভে জড়ো হয়েছেন কয়েক শ' মানুষ। তারা ইসরাইলকে অর্থের যোগান বন্ধ করতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন, পার্টি ফর সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন এবং মেরিল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা বুধবার হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

বিক্ষোভে যোগ দেয়া লোকজনের হাতে লেখা ব্যানারে ‘অল আইজ অন রাফা’ (সবার চোখ এখন রাফায়) উল্লেখ ছিল। গাজায় ইসরাইলি ‘গণহত্যা’ বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ইসরাইল গাজার রাফাহ শহরে পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন চালিয়েছে- আমেরিকা এমনটা মনে করে না।

দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রাফা শহরের কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং মিশর সীমান্তে নজরদারির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাহাড় দখলের খবর আসার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।

রাফায় রোববার বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুর ইসরাইলি হামলার পর আগুন ধরে গেলে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়, যাদের মধ্যে অনেক নারী, শিশু ও বৃ্দ্ধও ছিল।

ওই হামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে জন কিরবি বলেন, “একটি বড় ধরনের স্থল অভিযান হয়েছে এমনটি আমরা এখনো বিশ্বাস করি না এবং এ পর্যায়ে আমরা সেটি দেখিনি।  আমরা রাফাহ শহরে তাদের তেমন ধ্বংস করতে দেখিনি। সেখানে তেমন ধরনের অভিযান ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে প্রেসিডেস্ট আগেই জানিয়েছেন।”

তবে, জন কিরবি বলেছেন, রোববারের অভিযানের যেসব ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ মারা গেছে- তা ছিল ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘ভয়ঙ্কর’। সংঘাতের কারণে কোনো নিরীহ মানুষের জীবনহানি হওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) রায়ে রাফায় ইসরাইলকে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সে নির্দেশ অমান্য করে গত রোববার রাফার একটি শরণার্থী শিবির বিমান থেকে বোমা ছোঁড়ে ইসরাইল। এতে শরণার্থীদের তাঁবুতে আগুন লেগে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এছাড়া রাফায় ত্রাণ পৌঁছানো নিশ্চিত করতেও ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে। কিন্তু সে নির্দেশও অমান্য করে চলেছে তেল আবিব।

জাতিসংঘ তথ্য দিয়েছে গত দুই সপ্তাহে যেখানে ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রয়োজন ছিল সেখানে মাত্র ২০০ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। এতে চরম খাদ্য সংকটেও রয়েছে গাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা।#