মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস: মোদিকে সরাসরি দায়ী করলেন রাহুল
(last modified Thu, 20 Jun 2024 12:56:01 GMT )
জুন ২০, ২০২৪ ১৮:৫৬ Asia/Dhaka
  • নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধী
    নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধী

মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা নির্ধারণমূলক সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা (নিট) পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এবং ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিল নিয়ে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

আজ (বৃহস্পতিবার) দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিজেপি এবং আরএসএস হাইজ্যাক করে নিয়েছে। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এইভাবে বন্দি থাকবে, ততদিন দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস চলতেই থাকবে।"

প্রশ্নপত্র ফাঁসকে দেশবিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে মন্তব্য করে রাহুল বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।এতদিন কাজের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছিল। এবার পড়াশোনার সুযোগও ছিনিয়ে নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।"

নিট কেলেঙ্কারির জন্য সরাসরি মোদিকে দায়ী করে রাহুল বলেন, বলা হলো মোদি নাকি ইসরাইল-গাজার যুদ্ধ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আটকে দিয়েছেন। অথচ দেশে যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে তা আটকাচ্ছে না বা চাইছে না।

রায়বরেলির সংসদ সদস্য রাহুল অভিযোগ করে বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বিজেপি-আরএসএসের লোক। মেধা, যোগ্যতার বাইরে শুধু নিজেদের বিচারধারা মেনে চলা লোককে ভিসি করে বসালে এই হয়। মধ্য-মেধার লোককে দায়িত্বে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিটকে (NEET) শুধু শিক্ষার্থীদের সমস্যা হিসেবে না দেখে গোটা দেশের সমস্যা হিসেবে দেখছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, এই মুহূর্তে দেশের পড়ুয়াদের উপর ভীষণ চাপ। অন্যতম কারণ হল দেশের বেকারত্ব। দেশের যুবসমাজের কাছে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। এটা শুধু শিক্ষায় ক্রাইসিস নয়, এটা জাতীয় সমস্যা।

কংগ্রেস নেতা সরাসরি বরেন, "প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু সেটারও আগে ঠিক করতে হবে সিস্টেম। আরএসএসের লোকজনকে না সরালে সেটা সম্ভব নয়।

রাহুলের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট হল বিজেপির দুর্নীতির ল্যাবরেটারি। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম হয়েছিল, এখন সারা দেশে সেটাই ছড়িয়ে দিতে চাইছে। কেন্দ্র পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

কংগ্রেস নেতা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, আগামী সোমবার সংসদ অধিবেশনে নিট ইস্যুতে সরব হতে চলেছেন তিনি। আর বিজেপি এখন ব্যস্ত শুধু স্পিকার নির্বাচন নিয়ে। তাই এসব ভাবার সময় নেই।

গত ১৮ জুন ইউজিসি-নেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও একদিন পরেই তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল (বুধবার) রাতে ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিলের পর আজ (বৃহস্পতিবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।