ইহুদিবাদীদের বর্বরতা থেকে গাজাবাসীর যেন নিস্তার নেই
উত্তর গাজায় আবার ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী
ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকায় নতুন করে ভয়াবহ বিমান ও স্থল আগ্রাসন শুরু করেছে। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ হামলাকে ‘পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা সিটির পূর্বে অবস্থিত শুজাইয়া আবাসিক এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত ও আরো অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ভয়াবহ ওই হামলা চলতে থাকায় হতাহত মানুষের সংখ্যা মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়ছে।
এছাড়া, কয়েকবার এলাকাটি খালি করে সামরিক অভিযান চালানোর পর বৃহস্পতিবার আবার শুজাইয়া এলাকার অধিবাসীদের আবার অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মানবতার শত্রু ইসরাইল। এর ফলে বৃহস্পতিবার দিনভর হাজার হাজার অসহায় ফিলিস্তিনি তাদের সহায় সম্বল ত্যাগ করে অজানা গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন। ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, গাজায় কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই যেখানে গিয়ে এই মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাই করে নিতে পারেন।
আল-জাযিরার একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শত শত মানুষ যখন জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে আশ্রয় নেন তখন সেখানেও হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এছাড়া একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালানোর পর সেখান থেকে পলায়নরত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আবার বিমান হামলা চালায় বর্বর ইসরাইলি সেনারা।
শুজাইয়া এলাকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্মী নূহ আশ-শারনুবি। তিনি বলেন, আকাশ ও স্থলপথে এত ভয়াবহ হামলা তিনি গত আট মাসে আর দেখেননি। গাজার সাংবাদিক আলী আবু শানাব শুজাইয়ার পরিস্থিতিকে ‘ভয়ঙ্কর ও ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মানুষের যাওয়ার যেমন কোনো জায়গা নেই তেমনি হামলা থেকে বাঁচতে মানুষ এক কাপড়ে তাদের আশ্রয়স্থল থেকে বেরিয়ে পড়েছেন, সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারেননি।#
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ২৮