বাংলাদেশে কোটা সংস্কার ইস্যুতে সংঘর্ষে আজও বহু হতাহত; কারাগার থেকে পালাল শত শত বন্দি
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আজ শুক্রবারও নানা স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আজকের সংঘর্ষ ও সংঘাতে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। তবে কোনো কোনা সূত্র বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। ঢাকার বণশ্রীতেই তিন জন মারা গেছে বলে সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সকাল থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিকেলে ঢাকার বনশ্রীতে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ৩০০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বনশ্রীর ফরাজি হাসপাতালের ম্যানেজার রুবেল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, “হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিকেল পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে। অন্তত ২০০ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ”। তিনি জানান, আরো অন্তত একশোরও বেশি গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন, কিন্তু চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ না থাকায় তাদের পাশের অ্যাডভান্স হাসপাতাল ও আল রাজী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রুবেল হোসেন বলেন, রাস্তায় আন্দোলনকারীর বাইরে বনশ্রীর একটি বাসায়ও একজন নারী গুলিতে আহত অবস্থায় ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, নরসিংদীর কারাগারে হামলা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এরপর কয়েকশ বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, "বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা কারাগারে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি জানি না পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের সংখ্যা কত, তবে এ সংখ্যা কয়েকশও হতে পারে।''
নরসিংদীর এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার এএফপিকে কারাগারে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি তিনি।
কারাগারের পাশে বাস করা রিপন নামের এক ব্যক্তি এএফপিকে জানিয়েছেন, অন্তত ২০ জনকে ব্যাগে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন।
আজ শুক্রবারও সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে এর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। তবে রাজধানীতে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।#
পার্সটুডে/এসএ/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।