এই মুহূর্তে ঢাকায় আমাদের হাতে কেউ আটক নেই: ডিজিএফআই
(last modified Wed, 07 Aug 2024 11:00:15 GMT )
আগস্ট ০৭, ২০২৪ ১৭:০০ Asia/Dhaka
  • ডিজিএফআই সদরদপ্তরের সামনে ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর গুম হওয়া আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা।
    ডিজিএফআই সদরদপ্তরের সামনে ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর গুম হওয়া আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা।

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিরেকটরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স (ডিজিএফআই) জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের হাতে কেউ আটক নেই।

আজ (বুধবার) সকালে শিরিন হকের নেতৃত্বে মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিনিধি দল ঢাকা সেনানিবাসে ডিজিএফআই সদরদপ্তরে যায়।ডিজিএফআইয়ের সদরদপ্তরে যাওয়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন 'অধিকার' সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, 'মায়ের ডাক'র সহপ্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম তুলি ও শিক্ষাবিদ সিআর আবরার। 

বৈঠকের পর শিরিন হক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বলেন, 'ডিজিআইএফ জানিয়েছে ঢাকায় এই মুহূর্তে তাদের হাতে কেউ আটক নেই। তারা আমাদেরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। ডিজিআইএফ আরও জানিয়েছে যে তারা যৌথ কমিশন গঠন করে খতিয়ে দেখবেন দেশের অন্যান্য জায়গায় সেনাদের হাতে কেউ গুম হয়ে আছেন কি না।'

ডিজিআইএফের বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবাররা সন্তুষ্ট নন। আজ দুপুর দেড়টায় তাদেরকে ডিজিএফআইয়ের সদরদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর গুম হওয়া আতাউর রহমানের স্ত্রী নাদিরা সুলতানা আজ ঢাকায় ছুটে আসেন তার নিখোঁজ স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য।

আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)

এদিকে, ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে গুম হওয়া ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী মাইকেল চাকমা (৪০) আজ চট্টগ্রামে তার এক বন্ধুর বাসায় ফিরেছেন।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে যখন মানবাধিকারকর্মীরা আলোচনা করছেন ঠিক তখনই দীর্ঘ পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকার পর মাইকেল চাকমার ফিরে আসার খবর পাওয়া গেল। এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) ভোরে বন্দীশালা থেকে মুক্ত হয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)।আবদুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের ছেলে। আর আহমাদ বিন কাসেম একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ছেলে।

‘আয়নাঘরের বন্দীদের’ মুক্তির জন্য মানবাধিকার কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরে (ডিজিএফআই) গিয়েছিলেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় ডিজিএফআই সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানবাধিকারকর্মীদের বৈঠকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসও অংশ নেন। সেখানে ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান মানবাধিকার সংগঠন মায়ার ডাকের সহপ্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম, ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলম ও নারী অধিকার নেত্রী শিরীন হক।

ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় মানবাধিকারকর্মীরা আয়নাঘরের বিষয়ে জানতে চান। তাঁরা আয়নাঘরে আটক বন্দীদের মুক্তি দাবি করেন। তখন তাঁদের বলা হয়, ডিজিএফআই সদর দপ্তরে আয়নাঘরের কোনো অস্তিত্ব নেই।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭

ট্যাগ