ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর স্বীকারোক্তি
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় ইহুদিবাদীরা আতঙ্কে রয়েছে
পার্সটুডে- ইসরাইলি রেডিও খবর দিয়েছে, তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর ইহুদিবাদীদের অন্তরে আতঙ্ক চেপে বসেছে। ইরান যেকোনো মুহূর্তে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে পারে ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইহুদিবাদীরা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক দেশগুলো এই সংঘাত অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইহুদিবাদী ইসরাইল এই যুদ্ধকে অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিতই লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা করছে এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া সম্প্রতি তেহরানে ইসরাইলি হামলায় শহীদ হয়েছেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা ও তার প্রতি প্রতিরোধ ফ্রন্টের সমর্থন এখন নিশ্চিত হয়ে গেছে। পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, মার্কিন গণমাধ্যম এক্সিওসের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ইরান ইসরাইলে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর এবং এই হামলা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।
এদিকে, ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ পরিচালিত নিউজ চ্যানেল ইরান-ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইসরাইলে ইরানের হামলা চূড়ান্ত হয়েছে এবং এর দিনক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে।
ইসরাইলের ১২ নম্বর টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কূটনৈতিক চ্যানেলে আঞ্চলিক দেশগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে, দেশটি ইসরাইলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরেকটি ইসরাইলি গণমাধ্যম লিখেছে: ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর সর্বোচ্চ সতর্কতার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে, ১২ আগস্ট লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রথমে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করবে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরান তাতে যোগ দেবে; যদিও তাদের এই ভবিষ্যদ্বাণী এরইমধ্যে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।
ফলে সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ড এবং বৈরুতে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইরান ও হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় ইহুদিবাদীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইসরাইলি রেডিও একথা স্বীকার করেছে যে, তেহরানে হানিয়ার শাহাদাতের পর ইহুদিবাদীরা আতঙ্কের চাদরে ঢাকা পড়েছে এবং তারা যেকোনো মুহূর্তে ইরানি হামলার ভয়ে ভীত হয়ে রয়েছে।
এমনকি ইরানি হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলের রাস্তাঘাটে সুনসান নীরবতা চলছে। কখন ইরানের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র এসে মাথায় পড়ে সে আশঙ্কায় অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। ইসরাইলি রেডিও এই পরিস্থিতিকে করোনাকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছে। #
পার্সটুডে/এমএমআই/১৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।