'ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, রপ্তানি করা হবে'
(last modified Mon, 23 Sep 2024 10:29:26 GMT )
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ ১৬:২৯ Asia/Dhaka
  • 'ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, রপ্তানি করা হবে'

বাংলাদেশে বন-পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, এটা রপ্তানি করা হবে। রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না।

আজ(সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি। শুধু একটা সিন্ধান্ত হয়েছে। তার আগেই তো দাম বেড়ে গেছে। কাজেই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এ কথাটা ঠিক না।

তিনি আরও বলেন, যারা ইলিশ চাচ্ছে, তারাও কিন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। সেটা আমরা সকলে দেখেছি। আমরা কতগুলো সহজ কথা বলে ফেলি। আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে  প্রতিবেশীর সঙ্গে অনেক বিষয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে। আমরা সেই আলোচনার ধারাটা ছোট ছোট বিষয়ে বন্ধ হয়ে যাক সেটা চাই না।

নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেয়।

লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা  বলেন, রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীতে ক্যাপটেল ড্রেজিং এর পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। সরকারকে রেগুলেটর আর ড্রেজিং দুটোর কথাই ভাবতে হচ্ছে। সবচেয়ে কার্যকর কোনটি হবে তা আমরা ভেবে দেখবো। যেটি কার্যকর হবে সেটিই আগে বাস্তবায়ন হবে।#

ট্যাগ