গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০’র বেশি অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‍্যাবের বিরুদ্ধে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i143444-গুম_কমিশনে_জমা_পড়েছে_১৬০০’র_বেশি_অভিযোগ_সবচেয়ে_বেশি_র_্যাবের_বিরুদ্ধে
বাংলাদেশে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
নভেম্বর ০৫, ২০২৪ ১৭:০০ Asia/Dhaka
  • গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সংবাদ সম্মেলন
    গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৪০০টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, র‍্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, ৩৭টি সিটিসি, ডিবি ৫৫টি, ডিজিএফআই ২৬টি, পুলিশ ২৫টি এবং অন্যান্যভাবে গুমের ঘটনা ৬৮টি। এসব ঘটনা তদন্তে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দিশালা পেয়েছে কমিশন।

কমিশন অভিযোগ করে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যাঁরা আলামত নষ্ট করছেন, তাঁদের সতর্ক করেছে কমিশন। যাঁরা আালমত ধ্বংস করছেন, তাঁরা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণেই বেশিরভাগ ব্যক্তিদের গুম করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক কারণ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগের বাইরেও অনেককে গুম করা হয়। 

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০০-এর বেশি গুম হওয়া মানুষকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে গত ২৭ আগস্ট এই কমিশন গঠন করে সরকার।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।#

পার্সটুডে/এমএআর/৫